কিবরিয়া-সুরঞ্জিতের ওপর গ্রেনেড
সিলেটের মেয়র আরিফুল অভিযুক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহারিয়ার কবিরের আদালত এসব মামলার অভিযোগ গঠন করে। ওই তিন মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ১১ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনার দুটি ও শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সারওয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনার দুটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক মামলায়ও লুৎফুজ্জামান বাবর, আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে এই তিন মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো। সারওয়ার আরও জানান, বৃহস্পতিবার এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ থাকলেও সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।
আদালত সূত্র জানায়, ওই তিন মামলায় কারাবন্দি আছেন লুৎফুজ্জামান বাবর। তাকেসহ কারাবন্দি ৯ আসামিকে বেলা ১১টায় আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা মেয়র আরিফুল হক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছও আদালতে হাজির হন। ১১ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন হয়।
সাবেক রেলমন্ত্রী ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাইবাজারে ২০০৪ সালের ২১ জুন একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক যুবলীগের কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় দিরাই থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। এতে আহত হন ৭০ জন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১১ সালে অধিকতর তদন্তে আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে তৃতীয় দফায় তদন্তে লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, মেয়র আরিফুল হক, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ প্রায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহারিয়ার কবিরের আদালত এসব মামলার অভিযোগ গঠন করে। ওই তিন মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ১১ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনার দুটি ও শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সারওয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনার দুটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক মামলায়ও লুৎফুজ্জামান বাবর, আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে এই তিন মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো। সারওয়ার আরও জানান, বৃহস্পতিবার এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ থাকলেও সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।
আদালত সূত্র জানায়, ওই তিন মামলায় কারাবন্দি আছেন লুৎফুজ্জামান বাবর। তাকেসহ কারাবন্দি ৯ আসামিকে বেলা ১১টায় আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা মেয়র আরিফুল হক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছও আদালতে হাজির হন। ১১ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন হয়।
সাবেক রেলমন্ত্রী ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাইবাজারে ২০০৪ সালের ২১ জুন একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক যুবলীগের কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় দিরাই থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। এতে আহত হন ৭০ জন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১১ সালে অধিকতর তদন্তে আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে তৃতীয় দফায় তদন্তে লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, মেয়র আরিফুল হক, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ প্রায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।