তৃতীয় ঢেউ হবে আরও ভয়ংকর
| ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তাণ্ডব বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১৩ লাখ ৯৫ হাজার মানুষর। চলতি নভেম্বর জুড়েই প্রতিদিন ৫ লাখের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে, আর আক্রান্তদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার করে মারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে করোনার তৃতীয় ঢেউ হবে আরও ভয়ংকর।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজারের বেশি।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৬ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় তৃতীয় ঢেউ হবে আরও ভয়ংকর!
অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে ৯১ লাখ ৪০ হাজার ৩১২ জন এবং মারা গেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭৩ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৬০ লাখ ৭১ হাজার ৪০১ জনের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৯৭ জনের।
আক্রান্তে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ২১ লাখ ৪০ হাজার ২০৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৮ হাজার ৭৩২ জন।
আক্রান্তে পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ২০ লাখ ৮৯ হাজার ৩২৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ১৭৯ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। মার্চ নাগাদ তা ছড়িয়ে পরে সারা বিশ্বে। জুন-জুলাই মাসে এসে সংক্রমণের গতি কিছুটা কমলে অক্টোবর থেকে ফের বাড়তে শুরু করে। চলতি নভেম্বর মাসে অনেক রেকর্ড হয়েছে এই মহামারীর। বিশেষ করে ইউরোপ এখন সবচেয়ে ভয়ংকর সময় পার করছে। এই অবস্থায় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে ২০২১ সালের শুরুর দিকে ইউরোপ জুড়ে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক বিশেষ দূত।
ডব্লিউএইচওর কভিড-১৯বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড নাবারো সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গরমের মাসগুলোতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যদি তারা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ না করে তবে আগামী বছরের শুরুতে তৃতীয় ঢেউ দেখতে হবে। আর তা হবে আরও ভয়ংকর।
সুইজারল্যান্ড পর্যটকদের জন্য তাদের স্কি রিসোর্টগুলো খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সমালোচনা করেছেন নাবারোর। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডে সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয়ই অনেক বেশি হতে পারে। ডেভিড নাবারো অবশ্য ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার দেশগুলোর প্রশংসা করেছেন।
শেয়ার করুন
| ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তাণ্ডব বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে অন্তত ১৩ লাখ ৯৫ হাজার মানুষর। চলতি নভেম্বর জুড়েই প্রতিদিন ৫ লাখের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে, আর আক্রান্তদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার করে মারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে করোনার তৃতীয় ঢেউ হবে আরও ভয়ংকর।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজারের বেশি।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৬ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় তৃতীয় ঢেউ হবে আরও ভয়ংকর!
অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে ৯১ লাখ ৪০ হাজার ৩১২ জন এবং মারা গেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭৩ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৬০ লাখ ৭১ হাজার ৪০১ জনের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৯৭ জনের।
আক্রান্তে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ২১ লাখ ৪০ হাজার ২০৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৮ হাজার ৭৩২ জন।
আক্রান্তে পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ২০ লাখ ৮৯ হাজার ৩২৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ১৭৯ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। মার্চ নাগাদ তা ছড়িয়ে পরে সারা বিশ্বে। জুন-জুলাই মাসে এসে সংক্রমণের গতি কিছুটা কমলে অক্টোবর থেকে ফের বাড়তে শুরু করে। চলতি নভেম্বর মাসে অনেক রেকর্ড হয়েছে এই মহামারীর। বিশেষ করে ইউরোপ এখন সবচেয়ে ভয়ংকর সময় পার করছে। এই অবস্থায় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে ২০২১ সালের শুরুর দিকে ইউরোপ জুড়ে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক বিশেষ দূত।
ডব্লিউএইচওর কভিড-১৯বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড নাবারো সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গরমের মাসগুলোতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যদি তারা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ না করে তবে আগামী বছরের শুরুতে তৃতীয় ঢেউ দেখতে হবে। আর তা হবে আরও ভয়ংকর।
সুইজারল্যান্ড পর্যটকদের জন্য তাদের স্কি রিসোর্টগুলো খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সমালোচনা করেছেন নাবারোর। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডে সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয়ই অনেক বেশি হতে পারে। ডেভিড নাবারো অবশ্য ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার দেশগুলোর প্রশংসা করেছেন।