মন্ত্রিসভা ঘোষণা হতে যাচ্ছে
ব্লিনকেন হচ্ছেন বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী!
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো না হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কদিন আগেই হোয়াইট হাউজের নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে রন ক্লাইনের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন তিনি। গত রবিবার রন ক্লাইনই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (আজ) নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বাইডেন। বাইডেনের টিমের ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ব্লুমবার্গসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ ব্লিনকেনকেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাইডেন। বারাক ওবামা প্রশাসনে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলেছেন ৫৮ বছর বয়সী ব্লিনকেন। প্রসঙ্গত, বারাক ওবামা প্রশাসনে দুই মেয়াদে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রন ক্লাইন বলেন, মঙ্গলবার আপনারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রথম মন্ত্রিসভার নিয়োগ দেখতে পাবেন। প্রথম ধাপে কোন কোন মন্ত্রণালয় থাকছে বা কারা এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পচ্ছেন সেটি জানতে চাইলে মঙ্গলবার পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। এদিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মুখেই আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের টিমকে অসহযোগিতার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে দোষারোপ করেন রন ক্লাইন। তিনি বলেন, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস এখনো গোয়েন্দা ব্রিফিং পাচ্ছেন না। করোনাভাইরাসসংক্রান্ত ডেটাও তাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।
এদিকে নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে একের পর বোমা ফাটিয়েছেন। আর এতে হতভম্ব হয়েছেন তার শত্রু এবং মিত্র উভয়ই। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ ছাড়া প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পরও আগের মেয়াদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে বেপরোয়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর গত সপ্তাহে তিনি আফগানিস্তান থেকে বেশি পরিমাণ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আফগান সরকারের আশঙ্কা, মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমে গেলে দেশটিতে তালেবান আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।
সেনা কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্পের নিজ দলের কিছু নেতাও। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম কিনজিনজার ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা পরবর্তী প্রশাসনকে বিপদে ফেলার একটি চেষ্টা।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো না হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কদিন আগেই হোয়াইট হাউজের নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে রন ক্লাইনের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন তিনি। গত রবিবার রন ক্লাইনই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (আজ) নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বাইডেন। বাইডেনের টিমের ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ব্লুমবার্গসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ ব্লিনকেনকেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাইডেন। বারাক ওবামা প্রশাসনে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলেছেন ৫৮ বছর বয়সী ব্লিনকেন। প্রসঙ্গত, বারাক ওবামা প্রশাসনে দুই মেয়াদে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রন ক্লাইন বলেন, মঙ্গলবার আপনারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রথম মন্ত্রিসভার নিয়োগ দেখতে পাবেন। প্রথম ধাপে কোন কোন মন্ত্রণালয় থাকছে বা কারা এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পচ্ছেন সেটি জানতে চাইলে মঙ্গলবার পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। এদিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মুখেই আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের টিমকে অসহযোগিতার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে দোষারোপ করেন রন ক্লাইন। তিনি বলেন, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস এখনো গোয়েন্দা ব্রিফিং পাচ্ছেন না। করোনাভাইরাসসংক্রান্ত ডেটাও তাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।
এদিকে নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে একের পর বোমা ফাটিয়েছেন। আর এতে হতভম্ব হয়েছেন তার শত্রু এবং মিত্র উভয়ই। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ ছাড়া প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পরও আগের মেয়াদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে বেপরোয়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর গত সপ্তাহে তিনি আফগানিস্তান থেকে বেশি পরিমাণ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আফগান সরকারের আশঙ্কা, মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমে গেলে দেশটিতে তালেবান আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।
সেনা কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্পের নিজ দলের কিছু নেতাও। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম কিনজিনজার ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা পরবর্তী প্রশাসনকে বিপদে ফেলার একটি চেষ্টা।