২৪ ঘণ্টায় ৩৯ মৃত্যু, শনাক্ত ২১৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন রোগী শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুও ফের বাড়ছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ রোগী মৃত্যুবরণ করেছে, যা গত ৬৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে গত নয় দিনের মধ্যে দুই দিন ৩৯ জন করে রোগীর মৃত্যু হলো। এর আগে সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় ৪০ রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে ২৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা এবং ৩৪ জনের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। এদিকে অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২ হাজার ১৫৬ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। প্রায় ১৬ হাজার পরীক্ষায় এদিন ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত ছয় দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত ছয় দিনের মধ্যে পাঁচ দিনই সাড়ে ১৪ বা ১৫ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল ছিল দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ২৬৩তম দিন। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে ১১৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা চলমান। এসব পরীক্ষাগারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) ১৫ হাজার ৭৭৭টি নমুনা সংগৃহীত হয়। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ১টি। এসব পরীক্ষায় ২ হাজার ১৫৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৩০২ রোগী সুস্থ হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে গতকাল পর্যন্ত ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৬ হাজার ৪৮৭ এবং সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৯ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। এ পর্যন্ত যত পরীক্ষা হয়েছে তার বিপরীতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ ও সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৭ ও নারী ১২ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৬, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ৩, খুলনা ও রংপুরে ২ জন করে এবং সিলেটে ১ জন মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ২২, ৫১-৬০ বছরের ১২ এবং ৪১-৫০ বছরের ছিল ৫ জন। ৩৯ জনের সবাই হাসপাতালে মারা গেছে।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৮২ ও নারী ১ হাজার ৫০৫ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৮০ ও নারী ২৩ দশমিক ২০ ভাগ। বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৪৮ জন মারা গেছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৪৭, খুলনায় ৪৯০, রাজশাহীতে ৩৯৭, রংপুরে ২৯৪, সিলেটে ২৬৪, বরিশালে ২১৫ ও ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন ১৩২ জন মারা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২০২ রোগীকে আইসোলেশনে ও ৯৪৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে ১২ হাজার ৫৮৩ ও কোয়ারেন্টাইনে আছে ৪০ হাজার ২৩৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনগুলোতে ৪১ হাজার ১১০টি কল এসেছে। সারা দেশে কভিড হাসপাতালগুলোতে ১১ হাজার ৪২৮টি সাধারণ বেডের মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ২ হাজার ৯২১টিতে। বাকিগুলো খালি ছিল। এ ছাড়া ৫৫৫টি আইসিইউর মধ্যে খালি ছিল ২৫৬টি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন রোগী শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুও ফের বাড়ছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ রোগী মৃত্যুবরণ করেছে, যা গত ৬৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে গত নয় দিনের মধ্যে দুই দিন ৩৯ জন করে রোগীর মৃত্যু হলো। এর আগে সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় ৪০ রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে ২৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা এবং ৩৪ জনের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। এদিকে অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২ হাজার ১৫৬ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। প্রায় ১৬ হাজার পরীক্ষায় এদিন ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত ছয় দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত ছয় দিনের মধ্যে পাঁচ দিনই সাড়ে ১৪ বা ১৫ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল ছিল দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ২৬৩তম দিন। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে ১১৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা চলমান। এসব পরীক্ষাগারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) ১৫ হাজার ৭৭৭টি নমুনা সংগৃহীত হয়। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ১টি। এসব পরীক্ষায় ২ হাজার ১৫৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৩০২ রোগী সুস্থ হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে গতকাল পর্যন্ত ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৬ হাজার ৪৮৭ এবং সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৯ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। এ পর্যন্ত যত পরীক্ষা হয়েছে তার বিপরীতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ ও সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৭ ও নারী ১২ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৬, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ৩, খুলনা ও রংপুরে ২ জন করে এবং সিলেটে ১ জন মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ২২, ৫১-৬০ বছরের ১২ এবং ৪১-৫০ বছরের ছিল ৫ জন। ৩৯ জনের সবাই হাসপাতালে মারা গেছে।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৮২ ও নারী ১ হাজার ৫০৫ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৮০ ও নারী ২৩ দশমিক ২০ ভাগ। বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৪৮ জন মারা গেছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৪৭, খুলনায় ৪৯০, রাজশাহীতে ৩৯৭, রংপুরে ২৯৪, সিলেটে ২৬৪, বরিশালে ২১৫ ও ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন ১৩২ জন মারা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২০২ রোগীকে আইসোলেশনে ও ৯৪৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে ১২ হাজার ৫৮৩ ও কোয়ারেন্টাইনে আছে ৪০ হাজার ২৩৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনগুলোতে ৪১ হাজার ১১০টি কল এসেছে। সারা দেশে কভিড হাসপাতালগুলোতে ১১ হাজার ৪২৮টি সাধারণ বেডের মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ২ হাজার ৯২১টিতে। বাকিগুলো খালি ছিল। এ ছাড়া ৫৫৫টি আইসিইউর মধ্যে খালি ছিল ২৫৬টি।