বিদ্যুতের খুঁটিতে আটকা ১২৯ কোটি টাকার প্রকল্প!
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার | ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
বিদ্যুৎ বিভাগের খুঁটির কারণে কক্সবাজার পৌরসভার ১২৯ কোটি টাকার ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে। ইতিমধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ ড্রেন সংস্কারের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের খুঁটির কারণে রাস্তা সংস্কারকাজে এখনো হাত পড়েনি। এছাড়া কিছু এলাকায় ড্রেনের কাজ শেষ না হওয়ায় নালা-নর্দমার ময়লা ও কাদা পানি রাস্তায় এসে একাকার হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী এবং কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষের সমঝোতায় খুব দ্রুত সময়ে বড় এ প্রকল্পের কাজ সহসা আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার পৌরসভার ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের জন্য ১২৯ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয় বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে আটটি প্যাকেজের মাধ্যমে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পৌর প্রশাসন ও পরিষেবা প্রকল্পের (এমজিএসপি) আওতায় প্রকল্পের কাজ করছে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজার পৌর শহরের শহীদ সরণি, বিমানবন্দর সড়ক, মহাজেরপাড়া, বাহারছড়া গোলচত্বর, বাদশাঘোনা, গোলদীঘিরপাড়া, জেলেপার্ক ও কলাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারকাজ শুরু করে পৌর কর্র্তৃপক্ষ। কিন্তু মাঝপথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তত আড়াইশর বেশি বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌর কর্র্তৃপক্ষের মধ্যে খুঁটি অপসারণ করার অর্থ নিয়ে রশি টানাটানির কারণে প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে। ফলে কিছু এলাকায় ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হলেও আবার কিছু এলাকায় কাজ শেষ না হওয়ায় নালা-নর্দমার ময়লা ও কাদা পানি রাস্তায় এসে একাকার হয়ে পড়েছে। এতে করে পথচারী, পৌরবাসী ও কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা পড়েছেন নানা দুর্ভোগে। কক্সবাজার শহরের প্রেস ক্লাব মোড়, মহাজেরপাড়া, বাহারছড়া ও কলাতলী এলাকার অলিগতিতে রাস্তায় উঠে এসেছে এসব নোংরা পানি। পানি সরানোর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে ঢুকে পড়েছে নোংরা পানি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌর কর্র্তৃপক্ষের সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের মাধ্যমে ড্রেন সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি হচ্ছে ‘এসএস ইন্টারন্যাশনাল’। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী মোফাশ্বের হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় তা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পের জন্য সংস্কারকাজ আটকে থাকায় নির্ধারিত সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
কক্সবাজার পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ১২৯ কোটি টাকার অর্থায়নে কক্সবাজার পৌরসভার অধীনে আটটি প্যাকেজের মাধ্যমে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কার যথানিয়মে শুরু করি। বর্তমানে প্রকল্পের অধীন ড্রেনের শতকরা ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩০ শতাংশ কাজ। আর এ ৩০ শতাংশ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের আড়াই শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। এসব বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণে বিদ্যুৎ বিভাগ বেশি অর্থ দাবি করায় সংস্কারকাজ আটকে আছে।’
কক্সবাজার পৌরসভার এ প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুৎ বিভাগ জনস্বার্থে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো খুঁটি সরানোর জন্য ৫-৮ হাজার টাকা চার্জ নেয়। কিন্তু প্রকল্পের খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কয়েকগুণ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাচ্ছে। এটি প্রকল্পের বাজেটের চেয়ে অস্বাভাবিক। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেছি, আমাদের প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করতে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তা না হলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ ও উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার ওই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ করতে হবে। ওই প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার যদি আমাদের সহযোগিতা চায়, তবে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এছাড়াও পৌর কর্র্তৃপক্ষ যথাযথ অর্থ বরাদ্দ দিলে তা আমাদের মাধ্যমে করা সম্ভব। আর যদি আমরা এ কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে করি তাহলে ঢাকা থেকে মালামাল নিয়ে আসাসহ নানা জটিলতায় প্রকল্পের কাজ দেরি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভার এমজিএসপি প্রকল্পে যেসব বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে তা অপসারণের খরচ যথাযথ নয়। এছাড়াও ওই প্রকল্পে কতটি খুঁটি পড়েছে তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। আগামী সপ্তাহে একজন সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জরিপ করে প্রকৃত তথ্য জানতে পারব। তবে আনুমানিক দুই-তিনশো খুঁটি হতে পারে। সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানসহ পৌর কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে। ইতিমধ্যে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজ আটকে রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, আমাদের সহযোগিতা করবে। তাই আগামীতে বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতা পেলে চলতি বছর জুন মাসে পুরো কাজের সমাপ্তি হবে বলে আমি আশাবাদী।’
শেয়ার করুন
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার | ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

বিদ্যুৎ বিভাগের খুঁটির কারণে কক্সবাজার পৌরসভার ১২৯ কোটি টাকার ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে। ইতিমধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ ড্রেন সংস্কারের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের খুঁটির কারণে রাস্তা সংস্কারকাজে এখনো হাত পড়েনি। এছাড়া কিছু এলাকায় ড্রেনের কাজ শেষ না হওয়ায় নালা-নর্দমার ময়লা ও কাদা পানি রাস্তায় এসে একাকার হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী এবং কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষের সমঝোতায় খুব দ্রুত সময়ে বড় এ প্রকল্পের কাজ সহসা আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার পৌরসভার ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের জন্য ১২৯ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয় বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে আটটি প্যাকেজের মাধ্যমে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পৌর প্রশাসন ও পরিষেবা প্রকল্পের (এমজিএসপি) আওতায় প্রকল্পের কাজ করছে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজার পৌর শহরের শহীদ সরণি, বিমানবন্দর সড়ক, মহাজেরপাড়া, বাহারছড়া গোলচত্বর, বাদশাঘোনা, গোলদীঘিরপাড়া, জেলেপার্ক ও কলাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারকাজ শুরু করে পৌর কর্র্তৃপক্ষ। কিন্তু মাঝপথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তত আড়াইশর বেশি বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌর কর্র্তৃপক্ষের মধ্যে খুঁটি অপসারণ করার অর্থ নিয়ে রশি টানাটানির কারণে প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে। ফলে কিছু এলাকায় ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হলেও আবার কিছু এলাকায় কাজ শেষ না হওয়ায় নালা-নর্দমার ময়লা ও কাদা পানি রাস্তায় এসে একাকার হয়ে পড়েছে। এতে করে পথচারী, পৌরবাসী ও কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা পড়েছেন নানা দুর্ভোগে। কক্সবাজার শহরের প্রেস ক্লাব মোড়, মহাজেরপাড়া, বাহারছড়া ও কলাতলী এলাকার অলিগতিতে রাস্তায় উঠে এসেছে এসব নোংরা পানি। পানি সরানোর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে ঢুকে পড়েছে নোংরা পানি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌর কর্র্তৃপক্ষের সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের মাধ্যমে ড্রেন সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি হচ্ছে ‘এসএস ইন্টারন্যাশনাল’। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী মোফাশ্বের হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় তা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পের জন্য সংস্কারকাজ আটকে থাকায় নির্ধারিত সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
কক্সবাজার পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ১২৯ কোটি টাকার অর্থায়নে কক্সবাজার পৌরসভার অধীনে আটটি প্যাকেজের মাধ্যমে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কার যথানিয়মে শুরু করি। বর্তমানে প্রকল্পের অধীন ড্রেনের শতকরা ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩০ শতাংশ কাজ। আর এ ৩০ শতাংশ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের আড়াই শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। এসব বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণে বিদ্যুৎ বিভাগ বেশি অর্থ দাবি করায় সংস্কারকাজ আটকে আছে।’
কক্সবাজার পৌরসভার এ প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুৎ বিভাগ জনস্বার্থে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো খুঁটি সরানোর জন্য ৫-৮ হাজার টাকা চার্জ নেয়। কিন্তু প্রকল্পের খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কয়েকগুণ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাচ্ছে। এটি প্রকল্পের বাজেটের চেয়ে অস্বাভাবিক। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেছি, আমাদের প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করতে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তা না হলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ ও উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার ওই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ করতে হবে। ওই প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার যদি আমাদের সহযোগিতা চায়, তবে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এছাড়াও পৌর কর্র্তৃপক্ষ যথাযথ অর্থ বরাদ্দ দিলে তা আমাদের মাধ্যমে করা সম্ভব। আর যদি আমরা এ কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে করি তাহলে ঢাকা থেকে মালামাল নিয়ে আসাসহ নানা জটিলতায় প্রকল্পের কাজ দেরি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভার এমজিএসপি প্রকল্পে যেসব বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে তা অপসারণের খরচ যথাযথ নয়। এছাড়াও ওই প্রকল্পে কতটি খুঁটি পড়েছে তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। আগামী সপ্তাহে একজন সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জরিপ করে প্রকৃত তথ্য জানতে পারব। তবে আনুমানিক দুই-তিনশো খুঁটি হতে পারে। সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানসহ পৌর কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে। ইতিমধ্যে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজ আটকে রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, আমাদের সহযোগিতা করবে। তাই আগামীতে বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতা পেলে চলতি বছর জুন মাসে পুরো কাজের সমাপ্তি হবে বলে আমি আশাবাদী।’