চট্টগ্রামে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ১
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
চট্টগ্রামে নগরের পাঠানটুলীতে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকের এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
ডবলমুরিং থানা সূত্র জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম আজগর আলী ওরফে বাবুল (৫৫) । তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. মাহবুব নামে একজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে দুই প্রার্থীর অনুসারীরা মগপুকুর এলাকায় মুখোমুখি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। কয়েকজন আহত হয়।
ডবলমুরিং থানার ওসি সুদীপ কুমার দাশ বলেন, নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মোগলটুলী মগপুকুরপাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থকদের সঙ্গে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ওয়ার্ডের গতবারের কাউন্সিলর আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এবার দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বাহাদুরকে মনোনয়ন দেয়। বাহাদুর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
বাবুল ও মাহবুবকে নিজের কর্মী দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া নজরুল ইসলাম বাহাদুর। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে (গতকাল) ওই এলাকায় আমার জনসংযোগ ছিল। আমি জনসংযোগ করে রেজাউল ভাইর (আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী) নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে নজিরভাণ্ডার লেইনে যাওয়ার কথা ছিল। তখনই এ সময় কাদেরের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা এসে হামলা চালায়।’
তিনি দাবি করেন, তাকে বাঁচাতে গিয়েই বাবুল ও মাহব্বু গুলিবিদ্ধ হন। তবে এই ঘটনায় বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের।
শেয়ার করুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

চট্টগ্রামে নগরের পাঠানটুলীতে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকের এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
ডবলমুরিং থানা সূত্র জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম আজগর আলী ওরফে বাবুল (৫৫) । তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. মাহবুব নামে একজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে দুই প্রার্থীর অনুসারীরা মগপুকুর এলাকায় মুখোমুখি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। কয়েকজন আহত হয়।
ডবলমুরিং থানার ওসি সুদীপ কুমার দাশ বলেন, নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মোগলটুলী মগপুকুরপাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থকদের সঙ্গে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ওয়ার্ডের গতবারের কাউন্সিলর আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এবার দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বাহাদুরকে মনোনয়ন দেয়। বাহাদুর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
বাবুল ও মাহবুবকে নিজের কর্মী দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া নজরুল ইসলাম বাহাদুর। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে (গতকাল) ওই এলাকায় আমার জনসংযোগ ছিল। আমি জনসংযোগ করে রেজাউল ভাইর (আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী) নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে নজিরভাণ্ডার লেইনে যাওয়ার কথা ছিল। তখনই এ সময় কাদেরের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা এসে হামলা চালায়।’
তিনি দাবি করেন, তাকে বাঁচাতে গিয়েই বাবুল ও মাহব্বু গুলিবিদ্ধ হন। তবে এই ঘটনায় বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের।