৫ বছর জেল খেটে মুক্ত নিরপরাধ আরমান
গাজীপুর প্রতিনিধি | ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাগারে আটক থাকা রাজধানীর পল্লবী এলাকার বেনারসি কারিগর মো. আরমান হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি দেওয়ার পর তাকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। ওই কারাগারের জেল সুপার আবদুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে এলে আরমানের দুই সন্তান ও স্বজনরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় স্বজনরা আরমানকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে এক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিদের দেওয়া তথ্যে তাদের সহযোগীদের ধরতে ডিবির এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী পল্লবীর বিহারি ক্যাম্পের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন বিহারি ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয় মাদক দ্রব্য আইনে। পরে ২০০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শাহাবুদ্দিনসহ গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন শাহাবুদ্দিন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঢাকার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। এরপর পলাতক শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবীর ব্লক-এ, সেকশন ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালায় পল্লবী থানার পুলিশ। আরমান বাসায় নাশতা করে চা পানের জন্য পাশের একটি দোকানে যান। সেখান থেকে শাহাবুদ্দিনের বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকায় আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে আরমানকে কাশিমপুর কারাগার-২-এ রাখা হয়।
পরে আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লবের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আরমানকে মুক্তি দেওয়াসহ তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেন।
শেয়ার করুন
গাজীপুর প্রতিনিধি | ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাগারে আটক থাকা রাজধানীর পল্লবী এলাকার বেনারসি কারিগর মো. আরমান হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি দেওয়ার পর তাকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। ওই কারাগারের জেল সুপার আবদুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে এলে আরমানের দুই সন্তান ও স্বজনরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় স্বজনরা আরমানকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে এক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিদের দেওয়া তথ্যে তাদের সহযোগীদের ধরতে ডিবির এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী পল্লবীর বিহারি ক্যাম্পের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন বিহারি ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয় মাদক দ্রব্য আইনে। পরে ২০০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শাহাবুদ্দিনসহ গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন শাহাবুদ্দিন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঢাকার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। এরপর পলাতক শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবীর ব্লক-এ, সেকশন ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালায় পল্লবী থানার পুলিশ। আরমান বাসায় নাশতা করে চা পানের জন্য পাশের একটি দোকানে যান। সেখান থেকে শাহাবুদ্দিনের বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকায় আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে আরমানকে কাশিমপুর কারাগার-২-এ রাখা হয়।
পরে আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লবের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আরমানকে মুক্তি দেওয়াসহ তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেন।