‘জোড়া’ প্লট না ছাড়লে ফৌজদারি মামলা!
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল | ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি প্লট যেন ‘সোনার হরিণ’। ফলে এ সংস্থার প্লট পেতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। হাতেগোনা কিছু ব্যক্তি এ সুবিধা পেলেও আবেদন করে প্লট পান না এমন সংখ্যাই বেশি। যারা প্লট বরাদ্দ পান তাদের কয়েকটি শর্ত মেনে তা নিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্বামী/স্ত্রী বা পোষ্য কেউ এর আগে রাজউকের প্লট বা ফ্ল্যাট পাননি। কিন্তু অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বরাদ্দ নীতিমালার শর্ত লঙ্ঘন করে স্বামী এবং স্ত্রী দুজন মিলে একাধিক প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজউক এমআইসএস (যেখানে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়) শাখার দুর্বলতার কারণে ইতিমধ্যে এভাবে বিপুলসংখ্যক প্লট হাতছাড়া হয়েছে। এবার সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড সভা করে জোড়া প্লটের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে প্লট বাতিল, জমা দেওয়া সমুদয় অর্থ বাজেয়াপ্ত ও প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম গতকাল সোমবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি একটি বড় অংশ তথ্য গোপন করে রাজউক থেকে প্লট/ফ্ল্যাট নিয়েছেন। এগুলো এমআইএস থেকে যাচাই করতে গেলেই এসব বের হয়ে আসছে। এবার আমরা সংশ্লিষ্ট প্লট বরাদ্দ গ্রহীতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য গোপন করে যারা স্বামী-স্ত্রী অথবা তাদের পোষ্যের নামে একাধিক প্লট/ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও নেব। ইতিমধ্যে বেশকিছু প্লট বাতিল করা হয়েছে। যাদের দুটি আছে তাদের একটি রেখে কর্র্তৃপক্ষের বরাবরে সমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পার হলে তাদের জমা দেওয়া অর্থ বাজেয়াপ্তসহ প্লটও বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে আমরা সর্বশেষ বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
রাজউকের পরিচালক (এস্টেট) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বেআইনিভাবে নেওয়া প্লট/ফ্ল্যাটগুলো বাতিল করা গেলে কর্র্তৃপক্ষের হাতে কমপক্ষে ৭০০-৮০০ প্লট আসবে। এগুলো একসঙ্গে না এলেও শক্ত তদারকির মাধ্যমে বের করে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে আগামী দুই মাস সময় দিয়ে একাধিক বরাদ্দ গ্রহীতা বা স্বামী-স্ত্রী মিলে একাধিক বরাদ্দ গ্রহীতাদের প্রথম বরাদ্দটি রেখে দ্বিতীয়টি সমর্পণের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যারা এরপরও সাড়া না দেবেন তাদের প্লট বাতিল, পরিশোধিত সমুদয় অর্থ রাজউকের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।’
রাজউক কর্মকর্তারা জানান, প্রচলিত প্লট বরাদ্দ বিধি অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি বা তার স্বামী অথবা পোষ্য একটিমাত্র প্লট বরাদ্দ নিতে পারবে। সে অনুযায়ী একই পরিবারের স্বামী ও স্ত্রী দুটি প্লট রাজউক থেকে বরাদ্দ পেতে পারে না। কিন্তু সব প্রকল্প মিলে প্রকৃত তথ্য বের করা গেলে কমপক্ষে হাজারখানেক প্লট/ফ্ল্যাট শর্ত ভঙ্গ করে বরাদ্দ নেওয়ার তথ্য পাওয়া যাবে। রাজউকের বোর্ড সভায় এর আগেও এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজউকের প্রকল্পে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো একজনের নামে প্লট বরাদ্দ বহাল রাখা হবে। এরই মধ্যে রাজউক অনুসন্ধান করে একাধিক প্লট গ্রহীতা স্বামী ও স্ত্রীর নামে থাকা একটি প্লট বাতিলও করছে।
জানা গেছে, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ উত্তরা প্রকল্প থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এ কর্মকর্তা রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প থেকে পরে ১০ কাঠা আয়তনের আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। একই প্রকল্পে ডা. কাজী নূর আফফীনা ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী’ ক্যাটাগরিতে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ পান। ৩ নম্বর সেক্টরের ৪০৫ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই ক্যাটাগরিতে মো. শামসুল আলমকে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ বরাদ্দ পান ৭ নম্বর সেক্টরের ৩০১-ডি সড়কের ২ নম্বর প্লটটি। পাঁচ কাঠা আয়তনের এ প্লট গ্রহীতা শামসুল আলম সম্পর্কে ডা. কাজী নূর আফফীনার স্বামী। ডা. মো. জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তিন কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ পান। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ক্যাটাগরিতে তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমও আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। এমন ঘটনা ঘটে মো. শওকত আলী মোল্লার ক্ষেত্রেও। তাকে পূর্বাচল ১০ নম্বর সেক্টরের ৪০৭ নম্বর সড়কে তিন কাঠা আয়তনের ২৩ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার স্ত্রী রেহেনা আক্তারও ১০ নম্বর সেক্টরের ৪০৭ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পান। স্বায়ত্তশাসিত ক্যাটাগরিতে দিল আফরোজা নামে এক নারী ৩০ নম্বর সেক্টরের ৪০২ নম্বর সড়কে পাঁচ কাঠা আয়তনের ৩৪ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পান। আবার তার স্বামী এসএম খলিলুর রহমান এবং স্ত্রী দিল আফরোজা যৌথ নামে উত্তরা তৃতীয় পর্বে ১৭/জি-০৬-০৪ প্লটটিও বরাদ্দ নেন। আবুল কালাম আজাদ নামে একজন পূর্বাচল প্রকল্প সাড়ে সাত কাঠা ও সম্প্রসারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকল্পে (১৭-ডি-৩এ-০৩৮) নম্বর প্লটটি বরাদ্দ নেন। তোফায়েল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি নিকুঞ্জ (দক্ষিণ) আবাসিক এলাকার ৮/এ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ নেন। তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম পূর্বাচল প্রকল্পে ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৮ নম্বর সড়কে সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের ৭৮ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ নিয়েছেন। বেসরকারি চাকরিজীবী ক্যাটাগরিতে তিন কাঠা আয়তনের একটি প্লট নেন ডা. শামসুন নাহার নামে একজন। একই প্রকল্পে তার স্বামী ডা. খন্দকার শাহনেওয়াজের সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের একটি প্লট রয়েছে।
রাজউক বলছে, ইতিমধ্যে এ ধরনের বেশকিছু প্লট গ্রহীতাকে একটি রেখে অন্যটি সমর্পণ করতে বলা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করে এখনো যারা একাধিক প্লট ধরে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল | ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি প্লট যেন ‘সোনার হরিণ’। ফলে এ সংস্থার প্লট পেতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। হাতেগোনা কিছু ব্যক্তি এ সুবিধা পেলেও আবেদন করে প্লট পান না এমন সংখ্যাই বেশি। যারা প্লট বরাদ্দ পান তাদের কয়েকটি শর্ত মেনে তা নিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্বামী/স্ত্রী বা পোষ্য কেউ এর আগে রাজউকের প্লট বা ফ্ল্যাট পাননি। কিন্তু অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বরাদ্দ নীতিমালার শর্ত লঙ্ঘন করে স্বামী এবং স্ত্রী দুজন মিলে একাধিক প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজউক এমআইসএস (যেখানে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়) শাখার দুর্বলতার কারণে ইতিমধ্যে এভাবে বিপুলসংখ্যক প্লট হাতছাড়া হয়েছে। এবার সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড সভা করে জোড়া প্লটের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে প্লট বাতিল, জমা দেওয়া সমুদয় অর্থ বাজেয়াপ্ত ও প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম গতকাল সোমবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি একটি বড় অংশ তথ্য গোপন করে রাজউক থেকে প্লট/ফ্ল্যাট নিয়েছেন। এগুলো এমআইএস থেকে যাচাই করতে গেলেই এসব বের হয়ে আসছে। এবার আমরা সংশ্লিষ্ট প্লট বরাদ্দ গ্রহীতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য গোপন করে যারা স্বামী-স্ত্রী অথবা তাদের পোষ্যের নামে একাধিক প্লট/ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও নেব। ইতিমধ্যে বেশকিছু প্লট বাতিল করা হয়েছে। যাদের দুটি আছে তাদের একটি রেখে কর্র্তৃপক্ষের বরাবরে সমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পার হলে তাদের জমা দেওয়া অর্থ বাজেয়াপ্তসহ প্লটও বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে আমরা সর্বশেষ বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
রাজউকের পরিচালক (এস্টেট) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বেআইনিভাবে নেওয়া প্লট/ফ্ল্যাটগুলো বাতিল করা গেলে কর্র্তৃপক্ষের হাতে কমপক্ষে ৭০০-৮০০ প্লট আসবে। এগুলো একসঙ্গে না এলেও শক্ত তদারকির মাধ্যমে বের করে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে আগামী দুই মাস সময় দিয়ে একাধিক বরাদ্দ গ্রহীতা বা স্বামী-স্ত্রী মিলে একাধিক বরাদ্দ গ্রহীতাদের প্রথম বরাদ্দটি রেখে দ্বিতীয়টি সমর্পণের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যারা এরপরও সাড়া না দেবেন তাদের প্লট বাতিল, পরিশোধিত সমুদয় অর্থ রাজউকের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।’
রাজউক কর্মকর্তারা জানান, প্রচলিত প্লট বরাদ্দ বিধি অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি বা তার স্বামী অথবা পোষ্য একটিমাত্র প্লট বরাদ্দ নিতে পারবে। সে অনুযায়ী একই পরিবারের স্বামী ও স্ত্রী দুটি প্লট রাজউক থেকে বরাদ্দ পেতে পারে না। কিন্তু সব প্রকল্প মিলে প্রকৃত তথ্য বের করা গেলে কমপক্ষে হাজারখানেক প্লট/ফ্ল্যাট শর্ত ভঙ্গ করে বরাদ্দ নেওয়ার তথ্য পাওয়া যাবে। রাজউকের বোর্ড সভায় এর আগেও এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজউকের প্রকল্পে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো একজনের নামে প্লট বরাদ্দ বহাল রাখা হবে। এরই মধ্যে রাজউক অনুসন্ধান করে একাধিক প্লট গ্রহীতা স্বামী ও স্ত্রীর নামে থাকা একটি প্লট বাতিলও করছে।
জানা গেছে, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ উত্তরা প্রকল্প থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এ কর্মকর্তা রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প থেকে পরে ১০ কাঠা আয়তনের আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। একই প্রকল্পে ডা. কাজী নূর আফফীনা ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী’ ক্যাটাগরিতে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ পান। ৩ নম্বর সেক্টরের ৪০৫ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই ক্যাটাগরিতে মো. শামসুল আলমকে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ বরাদ্দ পান ৭ নম্বর সেক্টরের ৩০১-ডি সড়কের ২ নম্বর প্লটটি। পাঁচ কাঠা আয়তনের এ প্লট গ্রহীতা শামসুল আলম সম্পর্কে ডা. কাজী নূর আফফীনার স্বামী। ডা. মো. জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তিন কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ পান। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ক্যাটাগরিতে তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমও আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। এমন ঘটনা ঘটে মো. শওকত আলী মোল্লার ক্ষেত্রেও। তাকে পূর্বাচল ১০ নম্বর সেক্টরের ৪০৭ নম্বর সড়কে তিন কাঠা আয়তনের ২৩ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার স্ত্রী রেহেনা আক্তারও ১০ নম্বর সেক্টরের ৪০৭ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পান। স্বায়ত্তশাসিত ক্যাটাগরিতে দিল আফরোজা নামে এক নারী ৩০ নম্বর সেক্টরের ৪০২ নম্বর সড়কে পাঁচ কাঠা আয়তনের ৩৪ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পান। আবার তার স্বামী এসএম খলিলুর রহমান এবং স্ত্রী দিল আফরোজা যৌথ নামে উত্তরা তৃতীয় পর্বে ১৭/জি-০৬-০৪ প্লটটিও বরাদ্দ নেন। আবুল কালাম আজাদ নামে একজন পূর্বাচল প্রকল্প সাড়ে সাত কাঠা ও সম্প্রসারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকল্পে (১৭-ডি-৩এ-০৩৮) নম্বর প্লটটি বরাদ্দ নেন। তোফায়েল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি নিকুঞ্জ (দক্ষিণ) আবাসিক এলাকার ৮/এ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ নেন। তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম পূর্বাচল প্রকল্পে ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৮ নম্বর সড়কে সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের ৭৮ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ নিয়েছেন। বেসরকারি চাকরিজীবী ক্যাটাগরিতে তিন কাঠা আয়তনের একটি প্লট নেন ডা. শামসুন নাহার নামে একজন। একই প্রকল্পে তার স্বামী ডা. খন্দকার শাহনেওয়াজের সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের একটি প্লট রয়েছে।
রাজউক বলছে, ইতিমধ্যে এ ধরনের বেশকিছু প্লট গ্রহীতাকে একটি রেখে অন্যটি সমর্পণ করতে বলা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করে এখনো যারা একাধিক প্লট ধরে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।