রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় চলবে আ.লীগ
পাভেল হায়দার চৌধুরী | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
যেকোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে ক্ষমতাসীনরা মনে করছে, এ ধরনের চক্রান্তে যেহেতু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর যোগসাজশ থাকে তাই তাদের সঙ্গে এ নীতি মেনে চলবে না তারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, তাদের প্রথম লক্ষ্য দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হলে মানুষ স্বস্তিতে থাকার পাশাপাশি সরকারও চাপমুক্ত থাকবে। আর তাই সরকারের এ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত বাদে অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতার নীতি অব্যাহত রাখবে ক্ষমতাসীন দলটি। পাশাপাশি আগামীতে কোটা সংস্কার বা সড়ক আন্দোলনের মতো যেকোনো ইস্যুতে অরাজনৈতিক কোনো আন্দোলন গড়ে উঠলে তা ঠিক একই কায়দায় মোকাবিলা করবে ক্ষমতাসীনরা।
২০১৮ সালে সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেছিল সরকার। একই বছরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক আইনে পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়। আর তার আগের বছর ইসলামি সংগঠনগুলোর দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ছাড়া অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দল ও অরাজনৈতিক সংগঠন সবার সঙ্গে সমঝোতার মানসিকতা রয়েছে আমাদের। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি বজায়ে রাখতে হলে এ নীতির কোনো বিকল্প নেই।’
সম্পাদকম-লীর এ সদস্য আরও বলেন, ‘সরকারের এ মেয়াদে একমাত্র লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলা। তাই সমঝোতার নীতি নিয়েছে সরকারি দল।’
আন্দোলনের ভয়ে এ নীতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য বলেন, ‘মোটেও না। কারণ সরকার বা আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকার বড় কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার সুফল দেশের মানুষ পাবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই সমঝোতার নীতি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।’
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নতুন মাত্রায় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আলজাজিরার প্রতিবেদন চক্রান্তেরই অংশ। সরকারবিরোধী মহলের এখন অন্যতম লক্ষ্য হলো কিছু ইস্যু পুঁজি করে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা।’
একই ধরনের মত প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রেখে সরকারের নেওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নির্বিঘেœ চালিয়ে যাওয়াই এখন প্রধান কাজ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌক্তিক সমঝোতা থাকবে আওয়ামী লীগের।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অন্য নেতারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। কোথাও কোনো ইস্যু সৃষ্টি হলে অস্থির পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে রাস্তা খোঁজে। তাই অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো কোনো ইস্যুতে মাঠে নামলেই সরকার নড়বড়ে করে তোলার স্বপ্ন দেখে বিএনপি। অন্য কারও শক্তির ওপর ভর করার সুযোগ না দেওয়ার জন্যই মূলত সমঝোতার নীতি। এসব নেতা আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু অরাজনৈতিক সংগঠন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর সেসব সংগঠনের ওপর ভর করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি। তাই সরকারবিরোধী ওই আন্দোলনগুলো যেন হালে পানি খুঁজে না পায় সেজন্য আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক কিছু দাবি বিভিন্নভাবে মেনে নিয়ে অস্থির পরিবেশ থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করে যাওয়া হয়। সরকারে রয়েছি হিসেবে আওয়ামী লীগ এ নীতিতে থাকতে চাই। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মতে, এসব কৌশল গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দেশের জন্য এ নীতি ইতিবাচক হয়ে উঠেছে। তাই সমঝোতার নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আরও বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মৌলবাদী শক্তিগুলোকে কেনাবেচার চেষ্টা চলছে সরকারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোকে সঙ্গে রেখে মৌলবাদী শক্তিকে কাছে নিয়ে সরকারকে অস্থির করা এখন সরকারবিরোধী মহলের অন্যতম টার্গেট। এ বিষয়টিকে বেশ সতর্কবস্থায় দেখছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাই মাঠের কোনো আন্দোলনই জমতে দিতে চায় না সরকার। এরই অংশ হিসেবে দলকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তত সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখতে দলের শীর্ষ সারির নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতি চাঙ্গা করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এজন্য দলের অভ্যন্তরে দলাদলি দূর করার জন্য শিগগিরই সারা দেশ সফরে নামতে শুরু করবে দলের নেতারা। এ দলাদলি দূর করতে প্রয়োজনে নেতাদের ঢাকায় এনে একসঙ্গে বসানোরও নির্দেশ রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো দলে ঐক্যের সুর নিশ্চিত করা।’
শেয়ার করুন
পাভেল হায়দার চৌধুরী | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

যেকোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে ক্ষমতাসীনরা মনে করছে, এ ধরনের চক্রান্তে যেহেতু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর যোগসাজশ থাকে তাই তাদের সঙ্গে এ নীতি মেনে চলবে না তারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, তাদের প্রথম লক্ষ্য দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হলে মানুষ স্বস্তিতে থাকার পাশাপাশি সরকারও চাপমুক্ত থাকবে। আর তাই সরকারের এ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত বাদে অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতার নীতি অব্যাহত রাখবে ক্ষমতাসীন দলটি। পাশাপাশি আগামীতে কোটা সংস্কার বা সড়ক আন্দোলনের মতো যেকোনো ইস্যুতে অরাজনৈতিক কোনো আন্দোলন গড়ে উঠলে তা ঠিক একই কায়দায় মোকাবিলা করবে ক্ষমতাসীনরা।
২০১৮ সালে সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেছিল সরকার। একই বছরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক আইনে পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়। আর তার আগের বছর ইসলামি সংগঠনগুলোর দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ছাড়া অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দল ও অরাজনৈতিক সংগঠন সবার সঙ্গে সমঝোতার মানসিকতা রয়েছে আমাদের। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি বজায়ে রাখতে হলে এ নীতির কোনো বিকল্প নেই।’
সম্পাদকম-লীর এ সদস্য আরও বলেন, ‘সরকারের এ মেয়াদে একমাত্র লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলা। তাই সমঝোতার নীতি নিয়েছে সরকারি দল।’
আন্দোলনের ভয়ে এ নীতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য বলেন, ‘মোটেও না। কারণ সরকার বা আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকার বড় কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার সুফল দেশের মানুষ পাবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই সমঝোতার নীতি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।’
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নতুন মাত্রায় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আলজাজিরার প্রতিবেদন চক্রান্তেরই অংশ। সরকারবিরোধী মহলের এখন অন্যতম লক্ষ্য হলো কিছু ইস্যু পুঁজি করে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা।’
একই ধরনের মত প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রেখে সরকারের নেওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নির্বিঘেœ চালিয়ে যাওয়াই এখন প্রধান কাজ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌক্তিক সমঝোতা থাকবে আওয়ামী লীগের।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অন্য নেতারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। কোথাও কোনো ইস্যু সৃষ্টি হলে অস্থির পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে রাস্তা খোঁজে। তাই অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো কোনো ইস্যুতে মাঠে নামলেই সরকার নড়বড়ে করে তোলার স্বপ্ন দেখে বিএনপি। অন্য কারও শক্তির ওপর ভর করার সুযোগ না দেওয়ার জন্যই মূলত সমঝোতার নীতি। এসব নেতা আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু অরাজনৈতিক সংগঠন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর সেসব সংগঠনের ওপর ভর করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি। তাই সরকারবিরোধী ওই আন্দোলনগুলো যেন হালে পানি খুঁজে না পায় সেজন্য আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক কিছু দাবি বিভিন্নভাবে মেনে নিয়ে অস্থির পরিবেশ থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করে যাওয়া হয়। সরকারে রয়েছি হিসেবে আওয়ামী লীগ এ নীতিতে থাকতে চাই। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মতে, এসব কৌশল গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দেশের জন্য এ নীতি ইতিবাচক হয়ে উঠেছে। তাই সমঝোতার নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আরও বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মৌলবাদী শক্তিগুলোকে কেনাবেচার চেষ্টা চলছে সরকারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোকে সঙ্গে রেখে মৌলবাদী শক্তিকে কাছে নিয়ে সরকারকে অস্থির করা এখন সরকারবিরোধী মহলের অন্যতম টার্গেট। এ বিষয়টিকে বেশ সতর্কবস্থায় দেখছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাই মাঠের কোনো আন্দোলনই জমতে দিতে চায় না সরকার। এরই অংশ হিসেবে দলকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তত সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখতে দলের শীর্ষ সারির নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতি চাঙ্গা করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এজন্য দলের অভ্যন্তরে দলাদলি দূর করার জন্য শিগগিরই সারা দেশ সফরে নামতে শুরু করবে দলের নেতারা। এ দলাদলি দূর করতে প্রয়োজনে নেতাদের ঢাকায় এনে একসঙ্গে বসানোরও নির্দেশ রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো দলে ঐক্যের সুর নিশ্চিত করা।’