২০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে রোগী শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে নতুন রোগী শনাক্ত কিছুটা বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে, তা গত ২০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি এরচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত কয়েক দিন ধরেই সীমিত মাত্রায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে গত রবিবার ১৪ হাজারের বেশি পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩২৭ জন। সেখানে গতকাল প্রায় তিন হাজার পরীক্ষা কম হলেও রোগী শনাক্ত কমার পরিবর্তে উল্টো ৩৯ জন বেড়েছে। এদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বাড়লেও মৃত্যু অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন আগের দিনের সমান ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ৫ জনই ঢাকা বিভাগের এবং ৬ জনের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব।
গতকাল ছিল দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ৩৫১তম দিন। অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ২১৪ পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৯টি জিন-এক্সপার্ট, ৬৮টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও ১১৭টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার। এসব পরীক্ষাগারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১১ হাজার ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছুসহ পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১০৩ জনের নমুনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গতকাল পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গড় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ৩৫৬ জন এবং শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৯২ জনসহ সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫৯ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৪ এবং সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪ ও নারী ৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩২৫ পুরুষ ও ২ হাজার ৩১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছে। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭০ ও নারী ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা পাঁচজন ঢাকা বিভাগের এবং বাকিদের একজন রাজশাহী ও অন্যজন বরিশাল বিভাগের। এ নিয়ে করোনায় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬৭৪ জন মারা গেল ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫২৭, খুলনায় ৫৫৮, রাজশাহীতে ৪৭৬, রংপুরে ৩৬২, সিলেটে ৩১০, বরিশালে ২৫৩ এবং ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন ১৯৬ রোগী মারা গেছে। বয়স অনুযায়ী সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব চার, ৫১-৬০ বছরের দুই এবং ৪১-৫০ বছরের ছিল একজন। এদিন সবাই হাসপাতালে মারা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫০ রোগীকে আইসোলেশনে এবং ২৩৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে ৯ হাজার ৯৪৩ এবং কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩১ হাজার ৭২৫ জন। সারা দেশে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার ৩২৩টি সাধারণ বেডের মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ১ হাজার ৩০০টিতে। বাকিগুলো খালি ছিল। এ ছাড়া ৫৮২টি আইসিইউর মধ্যে রোগী ভর্তি ছিল ১৫৬টিতে।
শেয়ার করুন
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে নতুন রোগী শনাক্ত কিছুটা বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে, তা গত ২০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি এরচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত কয়েক দিন ধরেই সীমিত মাত্রায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে গত রবিবার ১৪ হাজারের বেশি পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩২৭ জন। সেখানে গতকাল প্রায় তিন হাজার পরীক্ষা কম হলেও রোগী শনাক্ত কমার পরিবর্তে উল্টো ৩৯ জন বেড়েছে। এদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বাড়লেও মৃত্যু অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন আগের দিনের সমান ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ৫ জনই ঢাকা বিভাগের এবং ৬ জনের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব।
গতকাল ছিল দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ৩৫১তম দিন। অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ২১৪ পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৯টি জিন-এক্সপার্ট, ৬৮টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও ১১৭টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার। এসব পরীক্ষাগারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১১ হাজার ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছুসহ পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১০৩ জনের নমুনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গতকাল পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গড় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ৩৫৬ জন এবং শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৯২ জনসহ সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫৯ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৪ এবং সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪ ও নারী ৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩২৫ পুরুষ ও ২ হাজার ৩১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছে। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭০ ও নারী ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা পাঁচজন ঢাকা বিভাগের এবং বাকিদের একজন রাজশাহী ও অন্যজন বরিশাল বিভাগের। এ নিয়ে করোনায় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬৭৪ জন মারা গেল ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫২৭, খুলনায় ৫৫৮, রাজশাহীতে ৪৭৬, রংপুরে ৩৬২, সিলেটে ৩১০, বরিশালে ২৫৩ এবং ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন ১৯৬ রোগী মারা গেছে। বয়স অনুযায়ী সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব চার, ৫১-৬০ বছরের দুই এবং ৪১-৫০ বছরের ছিল একজন। এদিন সবাই হাসপাতালে মারা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫০ রোগীকে আইসোলেশনে এবং ২৩৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে ৯ হাজার ৯৪৩ এবং কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩১ হাজার ৭২৫ জন। সারা দেশে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার ৩২৩টি সাধারণ বেডের মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ১ হাজার ৩০০টিতে। বাকিগুলো খালি ছিল। এ ছাড়া ৫৮২টি আইসিইউর মধ্যে রোগী ভর্তি ছিল ১৫৬টিতে।