আইসিডিডিআর,বির গবেষণা
দেশে করোনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের দাপট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০
দেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্টটি (ধরন) বেশি সক্রিয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে তারা।
গতকাল বুধবার আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণার ফলে দেখা যাচ্ছে, মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাসের যে ধরনগুলো সক্রিয় ছিল, তার ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের সঙ্গে মিলে গত ডিসেম্বর থেকে এ গবেষণা শুরু করে আইসিডিডিআর,বি। তারা বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করেন গবেষকরা। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৫১টি নমুনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়; যা ১৭ শতাংশ। পজিটিভ নমুনাগুলোর মধ্যে ৪৪৩টি নমুনার স্পাইক জিন সিকোয়েন্সিং করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৬ জানুয়ারি প্রথম ইউকে ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয় এবং মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ভ্যারিয়ান্টটি বাংলাদেশে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দেখা যায়, বাংলাদেশে সক্রিয় সব ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্টটি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্টের আবির্ভাব বাংলাদেশে ভাইরাসের প্রসারের ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন আনে। মার্চের চতুর্থ সপ্তাহেই দেখা যায়, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে এখন ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট।
আইসিডিডিআর,বি বলছে, করোনার ইউকে ভ্যারিয়ান্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্ট এবং ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়ান্টই বিশ্বে ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ তিনটি ধরনের সংক্রমণের হার বেশি এবং এদের জিনগত পরিবর্তনও ঘটে বেশি। ফলে এখন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং রোগী ব্যবস্থাপনার দিকটি নতুন করে ভাবতে হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০

দেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্টটি (ধরন) বেশি সক্রিয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে তারা।
গতকাল বুধবার আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণার ফলে দেখা যাচ্ছে, মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাসের যে ধরনগুলো সক্রিয় ছিল, তার ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের সঙ্গে মিলে গত ডিসেম্বর থেকে এ গবেষণা শুরু করে আইসিডিডিআর,বি। তারা বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করেন গবেষকরা। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৫১টি নমুনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়; যা ১৭ শতাংশ। পজিটিভ নমুনাগুলোর মধ্যে ৪৪৩টি নমুনার স্পাইক জিন সিকোয়েন্সিং করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৬ জানুয়ারি প্রথম ইউকে ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয় এবং মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ভ্যারিয়ান্টটি বাংলাদেশে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দেখা যায়, বাংলাদেশে সক্রিয় সব ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্টটি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্টের আবির্ভাব বাংলাদেশে ভাইরাসের প্রসারের ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন আনে। মার্চের চতুর্থ সপ্তাহেই দেখা যায়, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে এখন ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট।
আইসিডিডিআর,বি বলছে, করোনার ইউকে ভ্যারিয়ান্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্ট এবং ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়ান্টই বিশ্বে ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ তিনটি ধরনের সংক্রমণের হার বেশি এবং এদের জিনগত পরিবর্তনও ঘটে বেশি। ফলে এখন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং রোগী ব্যবস্থাপনার দিকটি নতুন করে ভাবতে হবে।