মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা
বরিশাল সংবাদদাতা | ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশালের উজিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত ও তার পরিবারের চার সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে হামলার শিকার হন তারা।
নিহত মুক্তিযোদ্ধার নাম মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৭০)। তিনি আটিপাড়া গ্রামের প্রয়াত হাশেম তালুকদারের ছেলে। প্রতিপক্ষের হামলায় নিহতের তিন ছেলে বিপ্লব তালুকদার (৪০), সোহাগ তালুকদার (৩৭), জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও পুত্রবধূ রোজিনা বেগম (২৫) আহত হয়েছেন। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের মামাতো ভাই শফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে জানান, প্রতিবেশী আজগর ও জলিল সিপাহীর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিরোধে জড়ায় দুই পরিবার। এর জেরে আজগর ও জলিল সিপাহীসহ তাদের পরিবারের ৮-১০ জন সদস্য গতকাল সকাল ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দেলোয়ারসহ পাঁচজনকে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে অন্য প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি চারজনকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনের (মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার) মৃত্যু হয়েছে। যিনি মারা গেছেন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখম রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্ত করে জানা যাবে।’
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারসহ রেঞ্জ এবং জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে পুলিশ।
উজিরপুর থানার ওসি আলী আরশাদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তরা ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে থানা পুলিশের একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হবে।’
শেয়ার করুন
বরিশাল সংবাদদাতা | ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশালের উজিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত ও তার পরিবারের চার সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে হামলার শিকার হন তারা।
নিহত মুক্তিযোদ্ধার নাম মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৭০)। তিনি আটিপাড়া গ্রামের প্রয়াত হাশেম তালুকদারের ছেলে। প্রতিপক্ষের হামলায় নিহতের তিন ছেলে বিপ্লব তালুকদার (৪০), সোহাগ তালুকদার (৩৭), জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও পুত্রবধূ রোজিনা বেগম (২৫) আহত হয়েছেন। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের মামাতো ভাই শফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে জানান, প্রতিবেশী আজগর ও জলিল সিপাহীর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিরোধে জড়ায় দুই পরিবার। এর জেরে আজগর ও জলিল সিপাহীসহ তাদের পরিবারের ৮-১০ জন সদস্য গতকাল সকাল ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দেলোয়ারসহ পাঁচজনকে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে অন্য প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি চারজনকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনের (মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার) মৃত্যু হয়েছে। যিনি মারা গেছেন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখম রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্ত করে জানা যাবে।’
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারসহ রেঞ্জ এবং জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে পুলিশ।
উজিরপুর থানার ওসি আলী আরশাদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তরা ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে থানা পুলিশের একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হবে।’