আইইডিসিআরের গবেষণা
টিকাগ্রহীতা করোনা রোগীর জটিলতা ও মৃত্যুঝুঁকি কম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের শারীরিক জটিলতা ও ঝুঁকির মাত্রা কম থাকে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, টিকা নেওয়া করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের তুলনায় না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শ^াস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। টিকাগ্রহীতাদের ৭ শতাংশ, আর না নেওয়াদের ২৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
গত মে ও জুন মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নিয়ে করা এক গবেষণার বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটির গবেষকরা।
আইইডিসিআর বলছে, যারা অসংক্রামক রোগে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা) আক্রান্ত কিন্তু টিকা নেননি তাদের ৩২ শতাংশকে কভিড-১৯ আক্রান্তের পর হাসপাতালে যেতে হয়েছে। টিকাগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে এটি ১০ শতাংশ ছিল। একাধিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা নেওয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ দুই ডোজ টিকাগ্রহণকারীদের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি ছিল।
এ গবেষণায় করোনাভাইরাসের টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পাশাপাশি রোগের গতিবিধিও পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণায় গত মে ও জুন মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাতীয় তালিকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৩৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। তাদের সবার বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই ১ হাজার ৩৩৪ জনের মধ্যে ৫৯২ জন কোনো টিকা নেননি। বাকিরা টিকা নিয়েছেন। টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন টিকা নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গবেষণায় সংস্থাটি দেখেছে, টিকা না নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতায় ভুগেছেন ১১ শতাংশ, যা পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪ শতাংশ ছিল। আর অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা না নেওয়া করোনা পজিটিভ রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতার হার এবং দুই ডোজ টিকাগ্রহণকারী করোনা পজিটিভ রোগীদের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে।
টিকাগ্রহণকারীরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে তাদের আইসিইউও কম লেগেছে এবং মৃত্যুর হারও কম বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আইইডিসিআর বলছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী টিকা না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে, যা ৩ শতাংশ। পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে, যা ১ শতাংশের কম। করোনাভাইরাসের টিকা নেননি এমন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, শতকরা হিসাবে যা ৩ শতাংশ। অন্যদিকে টিকা নিয়েছেন এমন একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের শারীরিক জটিলতা ও ঝুঁকির মাত্রা কম থাকে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, টিকা নেওয়া করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের তুলনায় না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শ^াস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। টিকাগ্রহীতাদের ৭ শতাংশ, আর না নেওয়াদের ২৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
গত মে ও জুন মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নিয়ে করা এক গবেষণার বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটির গবেষকরা।
আইইডিসিআর বলছে, যারা অসংক্রামক রোগে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা) আক্রান্ত কিন্তু টিকা নেননি তাদের ৩২ শতাংশকে কভিড-১৯ আক্রান্তের পর হাসপাতালে যেতে হয়েছে। টিকাগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে এটি ১০ শতাংশ ছিল। একাধিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা নেওয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ দুই ডোজ টিকাগ্রহণকারীদের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি ছিল।
এ গবেষণায় করোনাভাইরাসের টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পাশাপাশি রোগের গতিবিধিও পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণায় গত মে ও জুন মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাতীয় তালিকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৩৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। তাদের সবার বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই ১ হাজার ৩৩৪ জনের মধ্যে ৫৯২ জন কোনো টিকা নেননি। বাকিরা টিকা নিয়েছেন। টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন টিকা নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গবেষণায় সংস্থাটি দেখেছে, টিকা না নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতায় ভুগেছেন ১১ শতাংশ, যা পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪ শতাংশ ছিল। আর অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা না নেওয়া করোনা পজিটিভ রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতার হার এবং দুই ডোজ টিকাগ্রহণকারী করোনা পজিটিভ রোগীদের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে।
টিকাগ্রহণকারীরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে তাদের আইসিইউও কম লেগেছে এবং মৃত্যুর হারও কম বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আইইডিসিআর বলছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী টিকা না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে, যা ৩ শতাংশ। পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে, যা ১ শতাংশের কম। করোনাভাইরাসের টিকা নেননি এমন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, শতকরা হিসাবে যা ৩ শতাংশ। অন্যদিকে টিকা নিয়েছেন এমন একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।