এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০
দেশে গত এক দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। এ সময় শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এর আগের দিন যেখানে শনাক্ত হার ছিল ২৩.৪৫ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে তা কমে ২২.৪৬ শতাংশ এসেছে। আগের দিন বুধবার সারা দেশে ১০ হাজার ৪২০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এসময় ও মৃত্যু কমেছে মৃত্যু হয় ২৩৭ জনের। সেই হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত রোগীর আর মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই আরও কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা কর হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ১২৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৮ জন কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৬১৩ জনের। সরকারি হিসাবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯৯০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৪৫ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ১ হাজার ৫৪৯টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশে।
বেশি মৃত্যু ও রোগী ঢাকায় : গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৫ হাজার ৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্ত রোগীর অর্ধেক। আর এই সময়ে যে ২১৫ জন মারা গেছেন, তাদের ৬৫ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৪ জন, ময়মনসিংহ ১০ জন, রাজশাহী ৯ জন, রংপুর ১৬ জন, খুলনা ২৮ জন, বরিশাল ১১ জন ও সিলেট বিভাগে ২২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।
মৃত ২১৫ জনের মধ্যে ১০৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১০৭ জন ছিল পুরুষ, ১০৮ জন নারী। ১৭৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শেয়ার করুন
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০

দেশে গত এক দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। এ সময় শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এর আগের দিন যেখানে শনাক্ত হার ছিল ২৩.৪৫ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে তা কমে ২২.৪৬ শতাংশ এসেছে। আগের দিন বুধবার সারা দেশে ১০ হাজার ৪২০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এসময় ও মৃত্যু কমেছে মৃত্যু হয় ২৩৭ জনের। সেই হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত রোগীর আর মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই আরও কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা কর হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ১২৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৮ জন কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৬১৩ জনের। সরকারি হিসাবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯৯০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৪৫ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ১ হাজার ৫৪৯টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশে।
বেশি মৃত্যু ও রোগী ঢাকায় : গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৫ হাজার ৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্ত রোগীর অর্ধেক। আর এই সময়ে যে ২১৫ জন মারা গেছেন, তাদের ৬৫ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৪ জন, ময়মনসিংহ ১০ জন, রাজশাহী ৯ জন, রংপুর ১৬ জন, খুলনা ২৮ জন, বরিশাল ১১ জন ও সিলেট বিভাগে ২২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।
মৃত ২১৫ জনের মধ্যে ১০৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১০৭ জন ছিল পুরুষ, ১০৮ জন নারী। ১৭৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।