সংসদীয় কমিটির বৈঠক
টিকা বেসরকারি খাতে না দেওয়ার পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০
করোনার টিকা বেসরকারি খাতে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বেসরকারি খাতে করোনাভাইরাসের টিকা গেলে এতে অব্যবস্থাপনা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে কমিটি। একই সঙ্গে টিকা আমদানির ক্ষেত্রে মেয়াদ যাতে ৬ মাস থাকে তা নিশ্চিতের পরামর্শ দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সদস্যরা এ সুপারিশ করেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার জন্য মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই এ ধরনের এসএমএস পেয়েছি। কোন কোন ধরনের টিকা পাওয়া যায় সেটাও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। কোনোভাবেই বেসরকারিভাবে টিকা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ বেসরকারি খাতে টিকা এলে অব্যবস্থাপনা বেড়ে যাবে। দেখা যাবে, মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা নিয়ে আসবে। পানি ভরে টিকা দেওয়া হবে। আর সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। আবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বেন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। তারপরও কমিটি তাদের বলেছে, টিকার মেয়াদ কত দিন আছে, সেটা আনার আগে দেখে নিতে। দেখা গেল, বাংলাদেশে এসে যখন পৌঁছাল, তার মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ দিন রয়েছে। ওই টিকা পরে মাঠপর্যায়ে যেতে যেতে আর মেয়াদই থাকবে না।’
বৈঠকে জানানো হয়, দেশে এখন চার কোম্পানির টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা।
গত ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে এসব কোম্পানির মোট ২ কোটি ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা এসেছে। আর ১০ আগস্ট পর্যন্ত ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৬২০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মজুদ আছে আরও ৫৯ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ ডোজ টিকা।
বৈঠকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আবদুল মজিদ খান এবং হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০

করোনার টিকা বেসরকারি খাতে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বেসরকারি খাতে করোনাভাইরাসের টিকা গেলে এতে অব্যবস্থাপনা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে কমিটি। একই সঙ্গে টিকা আমদানির ক্ষেত্রে মেয়াদ যাতে ৬ মাস থাকে তা নিশ্চিতের পরামর্শ দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সদস্যরা এ সুপারিশ করেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার জন্য মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই এ ধরনের এসএমএস পেয়েছি। কোন কোন ধরনের টিকা পাওয়া যায় সেটাও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। কোনোভাবেই বেসরকারিভাবে টিকা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ বেসরকারি খাতে টিকা এলে অব্যবস্থাপনা বেড়ে যাবে। দেখা যাবে, মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা নিয়ে আসবে। পানি ভরে টিকা দেওয়া হবে। আর সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। আবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বেন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। তারপরও কমিটি তাদের বলেছে, টিকার মেয়াদ কত দিন আছে, সেটা আনার আগে দেখে নিতে। দেখা গেল, বাংলাদেশে এসে যখন পৌঁছাল, তার মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ দিন রয়েছে। ওই টিকা পরে মাঠপর্যায়ে যেতে যেতে আর মেয়াদই থাকবে না।’
বৈঠকে জানানো হয়, দেশে এখন চার কোম্পানির টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা।
গত ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে এসব কোম্পানির মোট ২ কোটি ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা এসেছে। আর ১০ আগস্ট পর্যন্ত ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৬২০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মজুদ আছে আরও ৫৯ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ ডোজ টিকা।
বৈঠকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আবদুল মজিদ খান এবং হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।