জয়ের চাপ বাংলাদেশের ওপর
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল নিয়ে এমন হইচই যে, বলা হচ্ছিল এবারের দলটি সেমিফাইনালের যোগ্য। কিন্তু এক ম্যাচ যেতেই পরিস্থিতি এমন যে ওমানের বিপক্ষে আজকের প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচই ‘ফাইনাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের। জিততে না পারলে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত! তবে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই ছেলেদের। দলের সবাই মানছেন এখনো মূল পর্ব সম্ভব। তার জন্য ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয়ের একমাত্র পথই ধরতে চায় বাংলাদেশ। পিএনজিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করা ওমানও অপেক্ষায় মূল পর্বের। তারাও স্বপ্ন দেখছে হোমে প্রথম আসরটি স্মরণীয় করে প্রতিবেশী আরব আমিরাতের বিমানে উঠবে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়ে খাদের কিনারায় বাংলাদেশ। গ্রুপ ২-এর অবস্থা কী দাঁড়ায় তা আজকের ম্যাচ ডে’র পরই জানা যাবে। বাংলাদেশের সমীকরণ হলো প্রথমত ওমানের সঙ্গে জিততেই হবে। ওদিকে স্কটল্যান্ড পিএনজির সঙ্গে জিতলে কঠিন হবে পথ। তখন শেষ ম্যাচে খুব সম্ভব ওমানকে পেছনে ফেলতে হলে হিসাবে আসবে রানরেট। সমীকরণটা কত তা এখনো জানা যায়নি অবশ্য। তবে বাংলাদেশের গ্রুপসেরা হতে হলে স্কটিশদের এক ম্যাচে হারতেই হবে।
ডমিঙ্গো অবশ্য এখনো সমীকরণের হিসাব ঘাঁটছেন না। গত ম্যাচ ভুলে তিনি তাকিয়ে আজকের দিকে। গতকাল জানালেন মানুষ মাত্রই ভুল, ক্রিকেটাররাও মানুষ; তারা ভুল করবেনই। তার মানে এই নয় যে, সবাইকে শূলে চড়াতে হবে। উল্টো ভুল শুধরে সামনে তাকিয়ে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। সঙ্গে কোচ এটাও মনে করিয়ে দিলেন এমন কঠিন মুহূর্তগুলোতেই বাংলাদেশ ভালো করে এসেছে, ‘বিশ্বকাপে এমনিতেই বিশাল চাপ থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো ক্রিকেটপাগল দেশে দলের ওপর প্রত্যাশা থাকে বেশি। এখানে প্রতিটি বাজে পারফরম সমালোচিত হয়, প্রতিটি ভুল আতশ কাচের নিচে আসে। ক্রিকেটাররা খুব চাপে পড়েন। কিন্তু এটাও ঠিক, এই অবস্থার জন্যই ওরা ক্রিকেটার। এই চাপ মানিয়ে নিয়েই তাদের ভালো করতে হবে। আমরা জানি কালকের (আজ) ম্যাচটি আমাদের জন্য বিশাল উপলক্ষ্য হয় জিতো নয় বাড়ি যাও। আমরা বুঝছি চাপটা কেমন। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, গত এক বছরে এমন কঠিন সময়েই বাংলাদেশ ভালো করেছে। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে ওমান ও পিএনজিকে হারিয়ে আমরা মূল পর্বে যেতে পারব।’
মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করেছেন গত ম্যাচে ভুল হয়েছে। গতকাল কোচও স্বীকার করলেন। তবে স্কটল্যান্ডকে হালকাভাবে নেননি তারা। আর ভুল শোধরানোর জন্যই নাঈম শেখকে ফিরিয়ে আনা হবে একাদশে। সেই নিশ্চয়তা দিয়ে কোচ বলেন, ‘গত ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ বল করার মতো ফিট ছিল না। তাই আমাদের ব্যাকআপ বোলার হিসেবে সৌম্যকে ধরে রাখতে হয়েছে। কিন্তু এখন মাহমুদউল্লাহ বল করার মতো ফিট। তাই নাঈম খেলবে।’ পাশাপাশি ওমানকে সমীহ করেই মাঠে নামার কথা বলেছেন, ‘ওমান কিন্তু ওদের মাঠে সত্যি ভালো খেলেছে। ওরা অবশ্যই আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ দেবে। তবে আমরা জানি এ ম্যাচে কীভাবে খেলতে হবে।’
২০১৬ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ওমান। সেবার তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে ৫৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এবার ওমান বেশ ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী। পিএনজিকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। ২০১৬ ওমান দলের চার ক্রিকেটার আজকের ম্যাচেও আছেন। বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা তারা জানেন। তবুও আজ হোক বাংলাদেশের দিন, মূল পর্বের পথে এক পা বাড়ানোর দিন।
শেয়ার করুন

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল নিয়ে এমন হইচই যে, বলা হচ্ছিল এবারের দলটি সেমিফাইনালের যোগ্য। কিন্তু এক ম্যাচ যেতেই পরিস্থিতি এমন যে ওমানের বিপক্ষে আজকের প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচই ‘ফাইনাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের। জিততে না পারলে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত! তবে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই ছেলেদের। দলের সবাই মানছেন এখনো মূল পর্ব সম্ভব। তার জন্য ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয়ের একমাত্র পথই ধরতে চায় বাংলাদেশ। পিএনজিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করা ওমানও অপেক্ষায় মূল পর্বের। তারাও স্বপ্ন দেখছে হোমে প্রথম আসরটি স্মরণীয় করে প্রতিবেশী আরব আমিরাতের বিমানে উঠবে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়ে খাদের কিনারায় বাংলাদেশ। গ্রুপ ২-এর অবস্থা কী দাঁড়ায় তা আজকের ম্যাচ ডে’র পরই জানা যাবে। বাংলাদেশের সমীকরণ হলো প্রথমত ওমানের সঙ্গে জিততেই হবে। ওদিকে স্কটল্যান্ড পিএনজির সঙ্গে জিতলে কঠিন হবে পথ। তখন শেষ ম্যাচে খুব সম্ভব ওমানকে পেছনে ফেলতে হলে হিসাবে আসবে রানরেট। সমীকরণটা কত তা এখনো জানা যায়নি অবশ্য। তবে বাংলাদেশের গ্রুপসেরা হতে হলে স্কটিশদের এক ম্যাচে হারতেই হবে।
ডমিঙ্গো অবশ্য এখনো সমীকরণের হিসাব ঘাঁটছেন না। গত ম্যাচ ভুলে তিনি তাকিয়ে আজকের দিকে। গতকাল জানালেন মানুষ মাত্রই ভুল, ক্রিকেটাররাও মানুষ; তারা ভুল করবেনই। তার মানে এই নয় যে, সবাইকে শূলে চড়াতে হবে। উল্টো ভুল শুধরে সামনে তাকিয়ে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। সঙ্গে কোচ এটাও মনে করিয়ে দিলেন এমন কঠিন মুহূর্তগুলোতেই বাংলাদেশ ভালো করে এসেছে, ‘বিশ্বকাপে এমনিতেই বিশাল চাপ থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো ক্রিকেটপাগল দেশে দলের ওপর প্রত্যাশা থাকে বেশি। এখানে প্রতিটি বাজে পারফরম সমালোচিত হয়, প্রতিটি ভুল আতশ কাচের নিচে আসে। ক্রিকেটাররা খুব চাপে পড়েন। কিন্তু এটাও ঠিক, এই অবস্থার জন্যই ওরা ক্রিকেটার। এই চাপ মানিয়ে নিয়েই তাদের ভালো করতে হবে। আমরা জানি কালকের (আজ) ম্যাচটি আমাদের জন্য বিশাল উপলক্ষ্য হয় জিতো নয় বাড়ি যাও। আমরা বুঝছি চাপটা কেমন। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, গত এক বছরে এমন কঠিন সময়েই বাংলাদেশ ভালো করেছে। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে ওমান ও পিএনজিকে হারিয়ে আমরা মূল পর্বে যেতে পারব।’
মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করেছেন গত ম্যাচে ভুল হয়েছে। গতকাল কোচও স্বীকার করলেন। তবে স্কটল্যান্ডকে হালকাভাবে নেননি তারা। আর ভুল শোধরানোর জন্যই নাঈম শেখকে ফিরিয়ে আনা হবে একাদশে। সেই নিশ্চয়তা দিয়ে কোচ বলেন, ‘গত ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ বল করার মতো ফিট ছিল না। তাই আমাদের ব্যাকআপ বোলার হিসেবে সৌম্যকে ধরে রাখতে হয়েছে। কিন্তু এখন মাহমুদউল্লাহ বল করার মতো ফিট। তাই নাঈম খেলবে।’ পাশাপাশি ওমানকে সমীহ করেই মাঠে নামার কথা বলেছেন, ‘ওমান কিন্তু ওদের মাঠে সত্যি ভালো খেলেছে। ওরা অবশ্যই আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ দেবে। তবে আমরা জানি এ ম্যাচে কীভাবে খেলতে হবে।’
২০১৬ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ওমান। সেবার তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে ৫৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এবার ওমান বেশ ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী। পিএনজিকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। ২০১৬ ওমান দলের চার ক্রিকেটার আজকের ম্যাচেও আছেন। বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা তারা জানেন। তবুও আজ হোক বাংলাদেশের দিন, মূল পর্বের পথে এক পা বাড়ানোর দিন।