বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায় আজ
সবার ফাঁসি চায় পরিবার
আদালত প্রতিবেদক ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ রবিবার। গত ২১ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করা হয়। ঘটনার দুই বছরেরও বেশি সময় পর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা গতকাল শনিবার বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল (আজ) এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এদিকে এ মামলার ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে এ দাবি করে তাদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুর রহমান জাহিদ বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ তার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তার আসামি খালাস পাবেন।
এই মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ইসতিয়াক হাসান মুন্না, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম। পলাতক তিন আসামি হলেনÑমাহমুদুল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ। পলাতক আসামিরা হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তফা রাফিদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, ‘শিবির সন্দেহে’ তাকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী (পরে বহিষ্কৃত)।
সবার ফাঁসি চায় পরিবার : আবরার হত্যা মামলার সব আসামির ফাঁসি চায় তার পরিবার। তাদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করলে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এভাবে চলে যেতে হবে না বলে মনে করেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। গতকাল কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। গতকাল দুপুরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কুষ্টিয়া ছাড়েন। মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ওদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকা- চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গিয়েছে, কাল আরেক মায়ের কোল খালি হবে। আমার মতো আর যেন কোনো মায়ের কষ্ট নিতে না হয়।
শেয়ার করুন
সবার ফাঁসি চায় পরিবার
আদালত প্রতিবেদক ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ রবিবার। গত ২১ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করা হয়। ঘটনার দুই বছরেরও বেশি সময় পর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা গতকাল শনিবার বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল (আজ) এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এদিকে এ মামলার ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে এ দাবি করে তাদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুর রহমান জাহিদ বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ তার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তার আসামি খালাস পাবেন।
এই মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ইসতিয়াক হাসান মুন্না, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম। পলাতক তিন আসামি হলেনÑমাহমুদুল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ। পলাতক আসামিরা হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তফা রাফিদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, ‘শিবির সন্দেহে’ তাকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী (পরে বহিষ্কৃত)।
সবার ফাঁসি চায় পরিবার : আবরার হত্যা মামলার সব আসামির ফাঁসি চায় তার পরিবার। তাদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করলে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এভাবে চলে যেতে হবে না বলে মনে করেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। গতকাল কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। গতকাল দুপুরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কুষ্টিয়া ছাড়েন। মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ওদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকা- চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গিয়েছে, কাল আরেক মায়ের কোল খালি হবে। আমার মতো আর যেন কোনো মায়ের কষ্ট নিতে না হয়।