কেন বিদেশ নিতে হবে জানালেন মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রের অসুখের চিকিৎসা দেশে নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কী রোগ, কেন তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করা দরকার তা জানালেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুখ পরিপাকতন্ত্রের। শরীরের কোন জায়গা থেকে রক্তপাত হচ্ছে তা জানতে চিকিৎসকরা একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেও কারণ জানতে পারেননি। কারণ জানতে যে পরীক্ষা দরকার তার সুযোগ দেশে নেই। তাই তাকে বিদেশে নিতে হবে।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চেয়ারপারসনের অসুখ পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে এটাকে বের করার জন্য চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। রক্তপাতের কারণ জানতে পারছেন না। কারণ এটা বের করতে যে টেকনোলজি দরকার তা দেশে নেই। যে কারণে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, খালেদা জিয়াকে একটি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া দরকার যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে। অ্যাডভান্স সেন্টারে গেলে তার সঠিক যে রোগ সেই রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন। চিকিৎসা দিতে পারবেন।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা যেসব কথা বলছেন তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা অনেকে কথা বলেছেন। তারা বিদ্রƒপ করতেও দ্বিধা করেন না। আসলে এরা এত অমানুষ।’
শহীদ ডাক্তার মিলনকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডা. মিলন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তিনি তার কাজের মধ্যদিয়ে, সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বছরের পর বছর, যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। একটা সত্যিকারের পরিবর্তনে একটি স্ফুলিঙ্গের সূচনা হয়েছিল তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে। তার মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নব্বইর প্রেক্ষাপট আর আজকের প্রেক্ষাপট এক নয়। কারণ স্বৈরাচারের চেয়ে ফ্যাসিবাদের পার্থক্য বিশাল। সেদিন একটি অংশের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, আজকে লড়তে হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এখন গুলি করে পুলিশ, গুলি করছে রাষ্ট্রÑবাংলাদেশকে সুপরিকল্পিতভাবে বিরাজনীতিকরণ করার জন্য, রাজনীতিকে সরিয়ে ফেলার জন্য। বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিকভাবে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে, এটা শুরু হয়েছে ওয়ান ইলেভেন থেকে। সেই চক্রান্তের কারণে খালেদা জিয়া মৃত্যুপ্রহর গুনছেন।’
নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ’৯০-এর ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
মিলনকে শ্রদ্ধা ছাত্রদলের : গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান দিবসে মিলন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, পার্থ দেব মন্ডল, মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, সাজিদ হাসান বাবু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুগ্ম সম্পাদক মইনুদ্দিন রাজু, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, আরিফুল হক, নিজাম উদ্দিন রিপন, মারুফ এলাহি রনি, মাহমুদ সর্দার, সহ-সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আউয়াল প্রমুখ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কী রোগ, কেন তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করা দরকার তা জানালেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুখ পরিপাকতন্ত্রের। শরীরের কোন জায়গা থেকে রক্তপাত হচ্ছে তা জানতে চিকিৎসকরা একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেও কারণ জানতে পারেননি। কারণ জানতে যে পরীক্ষা দরকার তার সুযোগ দেশে নেই। তাই তাকে বিদেশে নিতে হবে।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চেয়ারপারসনের অসুখ পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে এটাকে বের করার জন্য চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। রক্তপাতের কারণ জানতে পারছেন না। কারণ এটা বের করতে যে টেকনোলজি দরকার তা দেশে নেই। যে কারণে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, খালেদা জিয়াকে একটি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া দরকার যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে। অ্যাডভান্স সেন্টারে গেলে তার সঠিক যে রোগ সেই রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন। চিকিৎসা দিতে পারবেন।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা যেসব কথা বলছেন তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা অনেকে কথা বলেছেন। তারা বিদ্রƒপ করতেও দ্বিধা করেন না। আসলে এরা এত অমানুষ।’
শহীদ ডাক্তার মিলনকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডা. মিলন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তিনি তার কাজের মধ্যদিয়ে, সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বছরের পর বছর, যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। একটা সত্যিকারের পরিবর্তনে একটি স্ফুলিঙ্গের সূচনা হয়েছিল তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে। তার মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নব্বইর প্রেক্ষাপট আর আজকের প্রেক্ষাপট এক নয়। কারণ স্বৈরাচারের চেয়ে ফ্যাসিবাদের পার্থক্য বিশাল। সেদিন একটি অংশের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, আজকে লড়তে হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এখন গুলি করে পুলিশ, গুলি করছে রাষ্ট্রÑবাংলাদেশকে সুপরিকল্পিতভাবে বিরাজনীতিকরণ করার জন্য, রাজনীতিকে সরিয়ে ফেলার জন্য। বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিকভাবে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে, এটা শুরু হয়েছে ওয়ান ইলেভেন থেকে। সেই চক্রান্তের কারণে খালেদা জিয়া মৃত্যুপ্রহর গুনছেন।’
নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ’৯০-এর ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
মিলনকে শ্রদ্ধা ছাত্রদলের : গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান দিবসে মিলন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, পার্থ দেব মন্ডল, মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, সাজিদ হাসান বাবু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুগ্ম সম্পাদক মইনুদ্দিন রাজু, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, আরিফুল হক, নিজাম উদ্দিন রিপন, মারুফ এলাহি রনি, মাহমুদ সর্দার, সহ-সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আউয়াল প্রমুখ।