ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেবে সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
দেশের ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক ও একাধিক রোগে (কো-মর্বিডিটি) রোগে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরুর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা টিকা নিতে আগ্রহী করে তুলতে ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ কর্মসূচি চালু হচ্ছে। এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য জেলা পর্যায় থেকে শিগগির দেশের সর্বত্র চিঠি পাঠানো হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে ওমিক্রন চলে এলে তা মোকাবিলা সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রস্তুতি তুলে ধরেন।
বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশই বুস্টার ডোজ দিয়েছে। আমাদের দেশের ষাটোর্ধ্ব ও কো-মর্বিডিটি যাদের আছে সেসব ব্যক্তিকে বুস্টার ডোজ দিলে করোনায় মৃত্যুহার আরও অনেকটাই কমে আসবে।
‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকেই টিকার আওতায় আনতে শিগগির ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ সেøাগান বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য মানুষকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কারণ সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে অনেকেরই আগ্রহ কম থাকায় এখন থেকে এ নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন সনদ ছাড়া কোথাও কোনো ধরনের সার্ভিস পাওয়া যাবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জন নিখোঁজ : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া প্রথম দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে দেশে আসা ২৪০ জনের অধিকাংশের খোঁজ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় গত এক মাসে ২৪০ জন লোক এসেছে সাউথ আফ্রিকা থেকে। তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা আমরা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয়, তারা সবাই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ঠিকানাও ভুল দিয়েছে। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছে, তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাধ্য হয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলতে হয়েছে। তারা ঠিকানাটাও ভুল দিয়েছে। এ ধরনের কাজও হয়ে থাকে! আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে তবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব জেলায় করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটিকে চিঠি দেওয়া হবে। সেই কমিটি উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটিকে জানাবে। কমিটিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম চালাতে বলা হবে। তাদের বলা হবে বিদেশ থেকে যদি কেউ আসে সেসব বিষয়ও মনিটরিং করার জন্য। তারা (বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি) যদি বিভিন্নজনের বাড়িতে যায় সেটাকেও নজরদারিতে রাখে। প্রয়োজন হলে পতাকা টানিয়ে দেয়।’
১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন : আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা নিরুৎসাহিত করা হবে। কেউ চলে এলে তার ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকার সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। দেশে প্রথম করোনা চলে আসার ঘটনা আমাদের সবারই জানা আছে। ইতালি থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে যেভাবে করোনা চলে এসেছিল, এবার আর সেই ঝুঁকিতে যাওয়া যাবে না। এজন্য আফ্রিকা অঞ্চলের আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারাই দেশে আসবে তাদের দেশের সেনাসদস্যদের সহায়তায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আক্রান্ত অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সেই দেশে কী রকম আক্রান্ত হয়েছে তা দেখে একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক জানান, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশসহ ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, এমন দেশ থেকে কেউ এলে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের খরচ ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে। এ পর্যন্ত ১৫-২০টি দেশে (ওমিক্রন) ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে গেছে। সেসব দেশের বিষয়ে আমরা আলাদাভাবে দেখব। তাদের পরীক্ষার বিষয়টা জোরদার করব।’
আরও কিছু নির্দেশনা : গতকালের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ যে অবস্থায় আছে সেভাবেই থাকবে। আর যেন সময় বা ক্লাসের দিন বাড়ানো না হয়।
ওমিক্রন ঠেকাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনার প্রকোপ কমায় যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে।’
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা পর্যায় থেকে সর্বত্র সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সব কার্যক্রম পালনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
গতকালের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সঞ্চালন করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিনিধি | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

দেশের ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক ও একাধিক রোগে (কো-মর্বিডিটি) রোগে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরুর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা টিকা নিতে আগ্রহী করে তুলতে ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ কর্মসূচি চালু হচ্ছে। এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য জেলা পর্যায় থেকে শিগগির দেশের সর্বত্র চিঠি পাঠানো হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে ওমিক্রন চলে এলে তা মোকাবিলা সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রস্তুতি তুলে ধরেন।
বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশই বুস্টার ডোজ দিয়েছে। আমাদের দেশের ষাটোর্ধ্ব ও কো-মর্বিডিটি যাদের আছে সেসব ব্যক্তিকে বুস্টার ডোজ দিলে করোনায় মৃত্যুহার আরও অনেকটাই কমে আসবে।
‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকেই টিকার আওতায় আনতে শিগগির ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ সেøাগান বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য মানুষকেও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কারণ সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে অনেকেরই আগ্রহ কম থাকায় এখন থেকে এ নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন সনদ ছাড়া কোথাও কোনো ধরনের সার্ভিস পাওয়া যাবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জন নিখোঁজ : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া প্রথম দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে দেশে আসা ২৪০ জনের অধিকাংশের খোঁজ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় গত এক মাসে ২৪০ জন লোক এসেছে সাউথ আফ্রিকা থেকে। তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা আমরা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয়, তারা সবাই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ঠিকানাও ভুল দিয়েছে। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছে, তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাধ্য হয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলতে হয়েছে। তারা ঠিকানাটাও ভুল দিয়েছে। এ ধরনের কাজও হয়ে থাকে! আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে তবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব জেলায় করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটিকে চিঠি দেওয়া হবে। সেই কমিটি উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটিকে জানাবে। কমিটিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম চালাতে বলা হবে। তাদের বলা হবে বিদেশ থেকে যদি কেউ আসে সেসব বিষয়ও মনিটরিং করার জন্য। তারা (বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি) যদি বিভিন্নজনের বাড়িতে যায় সেটাকেও নজরদারিতে রাখে। প্রয়োজন হলে পতাকা টানিয়ে দেয়।’
১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন : আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা নিরুৎসাহিত করা হবে। কেউ চলে এলে তার ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকার সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। দেশে প্রথম করোনা চলে আসার ঘটনা আমাদের সবারই জানা আছে। ইতালি থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে যেভাবে করোনা চলে এসেছিল, এবার আর সেই ঝুঁকিতে যাওয়া যাবে না। এজন্য আফ্রিকা অঞ্চলের আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারাই দেশে আসবে তাদের দেশের সেনাসদস্যদের সহায়তায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আক্রান্ত অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সেই দেশে কী রকম আক্রান্ত হয়েছে তা দেখে একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক জানান, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশসহ ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, এমন দেশ থেকে কেউ এলে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের খরচ ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে। এ পর্যন্ত ১৫-২০টি দেশে (ওমিক্রন) ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে গেছে। সেসব দেশের বিষয়ে আমরা আলাদাভাবে দেখব। তাদের পরীক্ষার বিষয়টা জোরদার করব।’
আরও কিছু নির্দেশনা : গতকালের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ যে অবস্থায় আছে সেভাবেই থাকবে। আর যেন সময় বা ক্লাসের দিন বাড়ানো না হয়।
ওমিক্রন ঠেকাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনার প্রকোপ কমায় যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে।’
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা পর্যায় থেকে সর্বত্র সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সব কার্যক্রম পালনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
গতকালের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সঞ্চালন করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।