খালেদা জিয়ার ফের রক্তক্ষরণ, কথা বলতে পারছেন না
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তবে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তা বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। গত সোমবার রাতে ১২টায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আমাকে টেলিফোন করে বললেন, আপনি এখনই চলে আসুন হাসপাতালে। আমি রাতেই হাসপাতালে গেলাম। গিয়ে দেখি আমাদের যেসব চিকিৎসক তার চিকিৎসা করছেন প্রায় ১০ জন, তারা বসে ছিলেন। তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন-চিন্তিত ছিলেন। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভয় পাচ্ছিলাম যে-কোনো সময় আবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেটাই হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আগে তিনবার যেভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছিল একইভাবে গত সোমবার রাতেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গেছে। একজন সংগ্রামী মহিলা দেশনেত্রী তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, অসুখের সঙ্গেও লড়ছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আবার ডা. জাহিদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে জানালেন, ম্যাডাম এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডাক্তাররা বলছেন এই ভালো ভালো নয়। কারণ তারা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তার যে অসুখ সেই অসুখের চিকিৎসা এখন আর এখানে নেই। এই চিকিৎসা করতে হলে তাকে অবশ্যই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে, সেখানে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব।’
কথা বলতে পারছেন না খালেদা জিয়া : বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি গতকাল দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আম্মা কথা বলতে পারছেন না। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’ এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশবাসীর দোয়া চান শর্মিলা রহমান। তার হাসপাতালে অবস্থানকালে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও ডা. এবিএম জাহিদ হাসপাতালে আসেন। গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পাশে থাকতে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন সিঁথি।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত সেন্টারে নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তবে সেই আবেদনের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তবে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তা বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। গত সোমবার রাতে ১২টায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আমাকে টেলিফোন করে বললেন, আপনি এখনই চলে আসুন হাসপাতালে। আমি রাতেই হাসপাতালে গেলাম। গিয়ে দেখি আমাদের যেসব চিকিৎসক তার চিকিৎসা করছেন প্রায় ১০ জন, তারা বসে ছিলেন। তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন-চিন্তিত ছিলেন। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভয় পাচ্ছিলাম যে-কোনো সময় আবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেটাই হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আগে তিনবার যেভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছিল একইভাবে গত সোমবার রাতেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গেছে। একজন সংগ্রামী মহিলা দেশনেত্রী তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, অসুখের সঙ্গেও লড়ছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আবার ডা. জাহিদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে জানালেন, ম্যাডাম এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডাক্তাররা বলছেন এই ভালো ভালো নয়। কারণ তারা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তার যে অসুখ সেই অসুখের চিকিৎসা এখন আর এখানে নেই। এই চিকিৎসা করতে হলে তাকে অবশ্যই বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে, সেখানে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব।’
কথা বলতে পারছেন না খালেদা জিয়া : বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি গতকাল দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আম্মা কথা বলতে পারছেন না। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’ এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশবাসীর দোয়া চান শর্মিলা রহমান। তার হাসপাতালে অবস্থানকালে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও ডা. এবিএম জাহিদ হাসপাতালে আসেন। গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পাশে থাকতে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন সিঁথি।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত সেন্টারে নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তবে সেই আবেদনের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।