খালেদা জিয়া দুর্বল হয়ে পড়েছেন
দেওয়া হচ্ছে তরল খাবার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগের চাইতে দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দলের এক সদস্য। তিনি জানান, গত সোমবার রাতে চতুর্থ দফায় রক্তক্ষরণ হওয়ায় হিমোগ্লোবিন কমে দুর্বল হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি এখন কঠিন খাবার খেতে পারছেন না। দেশ রূপান্তরকে একই তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের ওই চিকিৎসক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক হলেও খুবই দুর্বল তিনি। এর আগে তিনবার খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এ কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে তাকে রক্ত দেওয়া হলে কিছুটা স্বাভাবিক হন খালেদা জিয়া। চতুর্থ দফা রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।’
অন্যদিকে গতকাল রাতে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘চেয়ারপারসন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজও (গতকাল) মেডিকেল টিমের সদস্যরা ফলোআপ করেছেন। তাকে অক্সিজেন দেওয়া লাগছে না। রক্তও দেওয়া লাগেনি। তবে রক্তক্ষরণ হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছেন। শুধুমাত্র তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার মেজো বোন সেলিমা ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া শক্ত খাবার খেতে পারছেন না। তার জন্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রান্না করে লিকুইড খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। সেটিই খাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সিঁথি ছাড়া খালেদা জিয়াকে দেখাশোনা করার জন্য দুজন ব্যক্তিগত সহকারী রয়েছেন হাসপাতালে। সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি না।’
গত ১৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজন হলে ভর্তি করা হবে। ওইদিন রাতেই তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৬ দিন পর গত ৭ নভেম্বর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। তারও আগে করোনায় আক্রান্ত হলে খালেদা জিয়াকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখনো তিনি এক মাসের বেশি হাসপাতালে ছিলেন।
শেয়ার করুন
দেওয়া হচ্ছে তরল খাবার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগের চাইতে দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দলের এক সদস্য। তিনি জানান, গত সোমবার রাতে চতুর্থ দফায় রক্তক্ষরণ হওয়ায় হিমোগ্লোবিন কমে দুর্বল হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি এখন কঠিন খাবার খেতে পারছেন না। দেশ রূপান্তরকে একই তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের ওই চিকিৎসক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক হলেও খুবই দুর্বল তিনি। এর আগে তিনবার খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এ কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে তাকে রক্ত দেওয়া হলে কিছুটা স্বাভাবিক হন খালেদা জিয়া। চতুর্থ দফা রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।’
অন্যদিকে গতকাল রাতে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘চেয়ারপারসন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজও (গতকাল) মেডিকেল টিমের সদস্যরা ফলোআপ করেছেন। তাকে অক্সিজেন দেওয়া লাগছে না। রক্তও দেওয়া লাগেনি। তবে রক্তক্ষরণ হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছেন। শুধুমাত্র তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার মেজো বোন সেলিমা ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া শক্ত খাবার খেতে পারছেন না। তার জন্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রান্না করে লিকুইড খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। সেটিই খাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সিঁথি ছাড়া খালেদা জিয়াকে দেখাশোনা করার জন্য দুজন ব্যক্তিগত সহকারী রয়েছেন হাসপাতালে। সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি না।’
গত ১৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজন হলে ভর্তি করা হবে। ওইদিন রাতেই তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৬ দিন পর গত ৭ নভেম্বর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। তারও আগে করোনায় আক্রান্ত হলে খালেদা জিয়াকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখনো তিনি এক মাসের বেশি হাসপাতালে ছিলেন।