ওমিক্রনে পুনঃসংক্রমণের হার ডেল্টার চেয়ে ৩ গুণ বেশি
রূপান্তর ডেস্ক | ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
করোনাভাইরাসে দ্বিতীয়বার বা পুনঃসংক্রমণের সম্ভাবনা ভাইরাসের ডেল্টা বা বিটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে তিনগুণ বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের করা সর্বশেষ একটি প্রাথমিক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে এএফপি। গত বৃহস্পতিবার ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
সারা বিশ্ব এখন কার্যত ওমিক্রন আতঙ্কে ভুগছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্তের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাইরাসের এই ধরনটি বিশ্বের প্রায় ৩০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রন নিয়ে সৃষ্ট আতঙ্কে আফ্রিকার দেশগুলোর বিরুদ্ধে একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে বিশ্বের বহু দেশ। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই গবেষণায় এই ভয়ানক তথ্য উঠে এলো।
গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রথমবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার করোনা আক্রমণ করার ক্ষেত্রে ডেল্টা বা বিটা ভ্যারিয়েন্টের যে শক্তি ছিল, তার থেকে তিনগুণ বেশি শক্তি নিয়ে মানুষকে আক্রমণ করছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এছাড়া আগের সংক্রমণ থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেদ করে ভাইরাসের এই ধরন শরীরে প্রবেশ করছে বলেও ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে। আর এ নিয়েই নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত যত মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে মোট ২০ লাখ ৮০ হাজারের মতো মানুষের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, এর মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত ৯০ দিনের ব্যবধানে ফের তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শেষ তিনটি করোনার ঢেউয়ের বিচারেই এই সংক্রমণের হিসাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাদের শরীরে ফের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ভাইরাসের ডেল্টা সংক্রমণের সময় আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানী আনা ভন গটবার্গ বলেছিলেন, ওমিক্রন অতিরিক্ত মাত্রায় সারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

করোনাভাইরাসে দ্বিতীয়বার বা পুনঃসংক্রমণের সম্ভাবনা ভাইরাসের ডেল্টা বা বিটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে তিনগুণ বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের করা সর্বশেষ একটি প্রাথমিক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে এএফপি। গত বৃহস্পতিবার ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
সারা বিশ্ব এখন কার্যত ওমিক্রন আতঙ্কে ভুগছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্তের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাইরাসের এই ধরনটি বিশ্বের প্রায় ৩০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রন নিয়ে সৃষ্ট আতঙ্কে আফ্রিকার দেশগুলোর বিরুদ্ধে একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে বিশ্বের বহু দেশ। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই গবেষণায় এই ভয়ানক তথ্য উঠে এলো।
গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রথমবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার করোনা আক্রমণ করার ক্ষেত্রে ডেল্টা বা বিটা ভ্যারিয়েন্টের যে শক্তি ছিল, তার থেকে তিনগুণ বেশি শক্তি নিয়ে মানুষকে আক্রমণ করছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এছাড়া আগের সংক্রমণ থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেদ করে ভাইরাসের এই ধরন শরীরে প্রবেশ করছে বলেও ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে। আর এ নিয়েই নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত যত মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে মোট ২০ লাখ ৮০ হাজারের মতো মানুষের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, এর মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত ৯০ দিনের ব্যবধানে ফের তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শেষ তিনটি করোনার ঢেউয়ের বিচারেই এই সংক্রমণের হিসাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাদের শরীরে ফের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ভাইরাসের ডেল্টা সংক্রমণের সময় আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানী আনা ভন গটবার্গ বলেছিলেন, ওমিক্রন অতিরিক্ত মাত্রায় সারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে।