দেশবাসীকে শপথ করাতে প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বিশেষ প্রতিনিধি | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ওই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম এবং বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথবাক্য পাঠ করবেন। তবে কী ধরনের শপথ পাঠ করাবেন তা জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠানের একটি সম্ভাব্য কর্মসূচি পাঠিয়ে নির্দেশনার চিঠিতে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে অবিলম্বে বিস্তারিত গাইডলাইন পাঠাবে।
এতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টায় সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ শপথে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথবাক্য পাঠ করাবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া যাবে। অন্যান্য স্থান সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করবে। এসময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন।
গত ২ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নিরাপত্তা উপকমিটির সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের মানুষকে শপথ পড়াবেন। এ সময় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে সবসময় একটা কুচকাওয়াজ হয়। এবারের কুচকাওয়াজ অন্যবারের চেয়ে বড় আকারে হবে। সেখানে ৬টি দেশের প্রতিনিধি আসবেন। সেখানে অনেকগুলো দেশের অংশগ্রহণ থাকবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে সময়মতো তাদের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানো, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যেন অনুষ্ঠানগুলো হয় সেটার নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে।
করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট ছাড়া কেউ সেখানে যেতে পারবেন না উল্লেখ করে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আরও বলেন, আমন্ত্রণপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় কোথায় করোনা পরীক্ষা করতে হবে। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে তাই করোনা পরীক্ষাটা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু আমরা ফলো করব। সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানটি সারা দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে সম্প্রচার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিনিধি | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ওই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম এবং বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথবাক্য পাঠ করবেন। তবে কী ধরনের শপথ পাঠ করাবেন তা জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠানের একটি সম্ভাব্য কর্মসূচি পাঠিয়ে নির্দেশনার চিঠিতে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে অবিলম্বে বিস্তারিত গাইডলাইন পাঠাবে।
এতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টায় সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ শপথে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথবাক্য পাঠ করাবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া যাবে। অন্যান্য স্থান সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করবে। এসময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন।
গত ২ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নিরাপত্তা উপকমিটির সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের মানুষকে শপথ পড়াবেন। এ সময় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে সবসময় একটা কুচকাওয়াজ হয়। এবারের কুচকাওয়াজ অন্যবারের চেয়ে বড় আকারে হবে। সেখানে ৬টি দেশের প্রতিনিধি আসবেন। সেখানে অনেকগুলো দেশের অংশগ্রহণ থাকবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে সময়মতো তাদের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানো, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যেন অনুষ্ঠানগুলো হয় সেটার নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে।
করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট ছাড়া কেউ সেখানে যেতে পারবেন না উল্লেখ করে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আরও বলেন, আমন্ত্রণপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় কোথায় করোনা পরীক্ষা করতে হবে। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে তাই করোনা পরীক্ষাটা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু আমরা ফলো করব। সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানটি সারা দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে সম্প্রচার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।