কুয়েট শিক্ষকের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্তে নতুন কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত আগের কমিটি বাতিল করে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার সকালে কুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিল। তার মৃত্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর গত শুক্রবার কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
গত মঙ্গলবার কুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর মানসিক নিপীড়নের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক সেলিমের পরিবারও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে। কুয়েট প্রশাসনের পাঠানো গতকালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি সভায় আলোচনা হয়। সেখানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করে ছাত্র শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কার হওয়া ৯ ছাত্র হলো সাদমান নাহিয়ান সেজান, মো. তাহামিদুল হক ইশরাক, মো. সাদমান সাকিব, আ স ম রাগিব আহসান মুন্না, মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, মো. রিয়াজ খান নিলয়, ফয়সাল আহমেদ রিফাত ও মো. নাইমুর রহমান অন্তু। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার দেখা করে আসার পর বাড়ি ফিরে মারা যান শিক্ষক সেলিম।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তবে সেজান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সবেমাত্র বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন সবাই বসে কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক কাজী সাজ্জাত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউই রিসিভ করেননি। পরে বার্তা পাঠানো হলে ভিসি পাল্টা বার্তা পাঠিয়ে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর রেজিস্ট্রারকে বার্তা পাঠিয়ে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক ড. ইসমাইল সাইফুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি ৯ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর নতুন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে যেহেতু আমি সিন্ডিকেট সদস্য নই, তাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারব না।’
তদন্তে নতুন কমিটি : শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নতুন তদন্ত কমিটিতে ইইই বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদকে সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আলহাজ উদ্দীনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মাহবুব হাসান, খুলনা জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি (ন্যূনতম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার) ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের একজন প্রতিনিধিকে (ন্যূনতম সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার) সদস্য করা হয়েছে।
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে গত ৩০ নভেম্বর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া দুজন সদস্য ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক কল্যাণ কুমার হালদার। তাদের মধ্যে কল্যাণ কুমার হালদার লিখিতভাবে এবং মো. আরিফুল ইসলাম মৌখিকভাবে তদন্ত করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই জরুরি সভা মুলতবি করা হয়। এরপর গত শুক্রবার সকালে সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সিন্ডিকেট বৈঠক শুরু হয়। ওই সভায় ৩ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়ে ভোগান্তি নিয়ে হল ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত আগের কমিটি বাতিল করে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার সকালে কুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিল। তার মৃত্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর গত শুক্রবার কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
গত মঙ্গলবার কুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর মানসিক নিপীড়নের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক সেলিমের পরিবারও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে। কুয়েট প্রশাসনের পাঠানো গতকালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি সভায় আলোচনা হয়। সেখানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করে ছাত্র শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কার হওয়া ৯ ছাত্র হলো সাদমান নাহিয়ান সেজান, মো. তাহামিদুল হক ইশরাক, মো. সাদমান সাকিব, আ স ম রাগিব আহসান মুন্না, মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, মো. রিয়াজ খান নিলয়, ফয়সাল আহমেদ রিফাত ও মো. নাইমুর রহমান অন্তু। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার দেখা করে আসার পর বাড়ি ফিরে মারা যান শিক্ষক সেলিম।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তবে সেজান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সবেমাত্র বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন সবাই বসে কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক কাজী সাজ্জাত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউই রিসিভ করেননি। পরে বার্তা পাঠানো হলে ভিসি পাল্টা বার্তা পাঠিয়ে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর রেজিস্ট্রারকে বার্তা পাঠিয়ে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক ড. ইসমাইল সাইফুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি ৯ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর নতুন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে যেহেতু আমি সিন্ডিকেট সদস্য নই, তাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারব না।’
তদন্তে নতুন কমিটি : শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নতুন তদন্ত কমিটিতে ইইই বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদকে সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আলহাজ উদ্দীনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মাহবুব হাসান, খুলনা জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি (ন্যূনতম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার) ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের একজন প্রতিনিধিকে (ন্যূনতম সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার) সদস্য করা হয়েছে।
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে গত ৩০ নভেম্বর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া দুজন সদস্য ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক কল্যাণ কুমার হালদার। তাদের মধ্যে কল্যাণ কুমার হালদার লিখিতভাবে এবং মো. আরিফুল ইসলাম মৌখিকভাবে তদন্ত করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই জরুরি সভা মুলতবি করা হয়। এরপর গত শুক্রবার সকালে সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সিন্ডিকেট বৈঠক শুরু হয়। ওই সভায় ৩ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়ে ভোগান্তি নিয়ে হল ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।