যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা
ওমিক্রনে সাধারণ ঠাণ্ডার ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সম্ভবত সাধারণ ঠা-া-জ্বরের জন্য দায়ী অপর একটি ভাইরাসের জিনগত উপাদানের অংশকে বেছে নিয়ে নিজের বিন্যাস ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। আক্রান্ত একই কোষে ঠা-া-জ্বরের ভাইরাসের সঙ্গে ওমিক্রনের এই জিনগত বিন্যাস আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়নি বলে গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
গবেষকরা বলছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের আগের কোনো সংস্করণেই এই জিনগত বিন্যাসের উপস্থিতি ছিল না। সাধারণ ঠা-া-জ্বরসহ অন্যান্য অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়।
ক্যামব্রিজ ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক ডেটা বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান এনফারেন্সের কর্মকর্তা ভেনকি সৌন্দরাজন বলেছেন, জিনগত বিশেষ এই বিন্যাস ঘটিয়ে ওমিক্রন নিজেকে মানুষের শরীরে প্রবেশের জন্য আরও বেশি উপযোগী করে তুলেছে, যা তাকে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সহায়তা করেছে। গত বৃহস্পতিবার ওএসএফ প্রিপ্রিন্টসের সার্ভারে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর অর্থ ভাইরাসটি সম্ভবত আরও সহজে সংক্রমণ ঘটাতে পারে; যা শুধুমাত্র হালকা বা উপসর্গহীন রোগ হয়ে যায়।
ভেনকি সৌন্দরাজন বলেছেন, নতুন এই রূপান্তর প্রথম দুই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ঘটে থাকতে পারে। যেখানে সার্স-কভ-২ ভাইরাস অন্য ভাইরাস থেকে জিনগত বিন্যাসের উপাদান নিজের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে নিতে পারে। সৌন্দরাজন ও তার সহকর্মীদের এই গবেষণা এখন পর্যন্ত পিয়ার রিভিউড হয়নি। তিনি আরও বলেন, একই ধরনের জিনগত বিন্যাস মানুষের সাধারণ ঠা-া-জ্বরের জন্য দায়ী আরেকটি করোনাভাইরাস যা এইচসিওভি-২২৯ই নামে পরিচিত এবং এইডসের জন্য দায়ী হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসেও (এইচআইভি) দেখা যায় বলে জানিয়েছেন সৌন্দরাজন।
তবে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন অত্যধিক সংক্রামক কিনা তা এখনো জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া এটি অত্যন্ত গুরুতর রোগ অথবা ডেল্টাকে ছাড়িয়ে আরও বেশি প্রাধান্য বিস্তারকারী হয়ে উঠতে পারে কিনা সেটিও এখনো অজানা। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সম্ভবত সাধারণ ঠা-া-জ্বরের জন্য দায়ী অপর একটি ভাইরাসের জিনগত উপাদানের অংশকে বেছে নিয়ে নিজের বিন্যাস ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। আক্রান্ত একই কোষে ঠা-া-জ্বরের ভাইরাসের সঙ্গে ওমিক্রনের এই জিনগত বিন্যাস আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়নি বলে গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
গবেষকরা বলছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের আগের কোনো সংস্করণেই এই জিনগত বিন্যাসের উপস্থিতি ছিল না। সাধারণ ঠা-া-জ্বরসহ অন্যান্য অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়।
ক্যামব্রিজ ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক ডেটা বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান এনফারেন্সের কর্মকর্তা ভেনকি সৌন্দরাজন বলেছেন, জিনগত বিশেষ এই বিন্যাস ঘটিয়ে ওমিক্রন নিজেকে মানুষের শরীরে প্রবেশের জন্য আরও বেশি উপযোগী করে তুলেছে, যা তাকে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সহায়তা করেছে। গত বৃহস্পতিবার ওএসএফ প্রিপ্রিন্টসের সার্ভারে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর অর্থ ভাইরাসটি সম্ভবত আরও সহজে সংক্রমণ ঘটাতে পারে; যা শুধুমাত্র হালকা বা উপসর্গহীন রোগ হয়ে যায়।
ভেনকি সৌন্দরাজন বলেছেন, নতুন এই রূপান্তর প্রথম দুই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ঘটে থাকতে পারে। যেখানে সার্স-কভ-২ ভাইরাস অন্য ভাইরাস থেকে জিনগত বিন্যাসের উপাদান নিজের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে নিতে পারে। সৌন্দরাজন ও তার সহকর্মীদের এই গবেষণা এখন পর্যন্ত পিয়ার রিভিউড হয়নি। তিনি আরও বলেন, একই ধরনের জিনগত বিন্যাস মানুষের সাধারণ ঠা-া-জ্বরের জন্য দায়ী আরেকটি করোনাভাইরাস যা এইচসিওভি-২২৯ই নামে পরিচিত এবং এইডসের জন্য দায়ী হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসেও (এইচআইভি) দেখা যায় বলে জানিয়েছেন সৌন্দরাজন।
তবে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন অত্যধিক সংক্রামক কিনা তা এখনো জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া এটি অত্যন্ত গুরুতর রোগ অথবা ডেল্টাকে ছাড়িয়ে আরও বেশি প্রাধান্য বিস্তারকারী হয়ে উঠতে পারে কিনা সেটিও এখনো অজানা। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।