রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আরসা’ প্রধানের ভাই আটক
কক্সবাজার ও উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
কক্সবাজারের উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মো. শাহ আলি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। তিনি মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মান জুনুনির ভাই বলে জানিয়েছেন এপিবিএন কর্মকর্তারা। গতকাল রবিবার ভোরে উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকা থেকে শাহ আলিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও টাকা উদ্ধার করা হয়। ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক দেশ রূপান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনি। সম্প্রতি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা তথ্য পায় যে, আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কবে থেকে কেন এই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তবে ভাইয়ের মতো আটক শাহ আলিও আরসার সঙ্গে জড়িত কি-না নিশ্চিত করতে না পারলেও ভাইয়ের সঙ্গে তার যোগোযোগ রয়েছে বলে দাবি করছেন এপিবিএন কর্মকর্তারা।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের রোষানলে পড়ে নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারে তৈরি করা হয় শরণার্থী ক্যাম্প। আর এসব ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বসবাসকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিল বলে বিস্তর অভিযোগ আরসার বিরুদ্ধে।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার থাকা তাদের নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। তাকে হত্যার পেছনে আরসার হাত ছিল বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। যদিও কয়েকদিন পরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোনো আরসা নেই।
আরসা এখন অনেকের কাছে আল ইয়াকিন নামেও পরিচিত। কক্সবাজারবাসীর কাছে যাদের পরিচিতি ‘জঙ্গি বাহিনী’। রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি, আরসা কিংবা মিয়ানমার সরকারের মদদপুষ্ট কেউ মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, ‘এ পর্যন্ত তথাকথিত আরসা নামধারী ১১৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান সংশ্লিষ্ট এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
শেয়ার করুন
কক্সবাজার ও উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

কক্সবাজারের উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মো. শাহ আলি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। তিনি মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মান জুনুনির ভাই বলে জানিয়েছেন এপিবিএন কর্মকর্তারা। গতকাল রবিবার ভোরে উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকা থেকে শাহ আলিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও টাকা উদ্ধার করা হয়। ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক দেশ রূপান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনি। সম্প্রতি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা তথ্য পায় যে, আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কবে থেকে কেন এই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তবে ভাইয়ের মতো আটক শাহ আলিও আরসার সঙ্গে জড়িত কি-না নিশ্চিত করতে না পারলেও ভাইয়ের সঙ্গে তার যোগোযোগ রয়েছে বলে দাবি করছেন এপিবিএন কর্মকর্তারা।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের রোষানলে পড়ে নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারে তৈরি করা হয় শরণার্থী ক্যাম্প। আর এসব ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বসবাসকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিল বলে বিস্তর অভিযোগ আরসার বিরুদ্ধে।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার থাকা তাদের নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। তাকে হত্যার পেছনে আরসার হাত ছিল বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। যদিও কয়েকদিন পরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোনো আরসা নেই।
আরসা এখন অনেকের কাছে আল ইয়াকিন নামেও পরিচিত। কক্সবাজারবাসীর কাছে যাদের পরিচিতি ‘জঙ্গি বাহিনী’। রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি, আরসা কিংবা মিয়ানমার সরকারের মদদপুষ্ট কেউ মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, ‘এ পর্যন্ত তথাকথিত আরসা নামধারী ১১৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান সংশ্লিষ্ট এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’