করোনায় বিশ্বে বেকার হবে ২০ কোটি ৭০ লাখ
রূপান্তর ডেস্ক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
করোনা মহামারীতে চলতি বছর বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ। এই সংখ্যা করোনা মহামারী শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালের চেয়ে ২ কোটি ১০ লাখ বেশি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-ট্রেন্ডস ২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ও ডেল্টা বিশ্বের সব দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে চলতি বছর বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ হবে। করোনার প্রাদুর্ভাব এবং সময়কাল সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বে আগামী বছর পর্যন্ত বেকার মানুষের সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি থাকবে। আগামী দিনে চাকরি হারানো সব মানুষের চাকরি ফিরে পাওয়া ও মহামারীর আগের কর্মক্ষমতায় ফিরে যাওয়া বেশিরভাগ দেশের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
বিশ্বে নারীর কর্মসংস্থানের ওপর সংকটের অসম প্রভাব আগামী বছরগুলোতে কমে যাবে। তবে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় তরুণদের জন্য, বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত, তাদের কর্মসংস্থানের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, ‘করোনায় গত দুই বছর ধরে চলমান এই সংকট থেকে উত্তরণের গতি ধীর হবে, কিছুটা অনিশ্চিতও। ইতিমধ্যে বিশ্বে শ্রমবাজার ভেঙে পড়েছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য চরম আকারে বেড়ে গেছে। অনেক কর্মী তাদের পেশা পরিবর্তন করে ফেলেছে। শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার করা ছাড়া মহামারীর প্রভাবে এই সংকট থেকে উত্তরণের প্রকৃত কোনো উপায় নেই।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

করোনা মহামারীতে চলতি বছর বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ। এই সংখ্যা করোনা মহামারী শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালের চেয়ে ২ কোটি ১০ লাখ বেশি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-ট্রেন্ডস ২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ও ডেল্টা বিশ্বের সব দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে চলতি বছর বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ হবে। করোনার প্রাদুর্ভাব এবং সময়কাল সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বে আগামী বছর পর্যন্ত বেকার মানুষের সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি থাকবে। আগামী দিনে চাকরি হারানো সব মানুষের চাকরি ফিরে পাওয়া ও মহামারীর আগের কর্মক্ষমতায় ফিরে যাওয়া বেশিরভাগ দেশের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
বিশ্বে নারীর কর্মসংস্থানের ওপর সংকটের অসম প্রভাব আগামী বছরগুলোতে কমে যাবে। তবে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় তরুণদের জন্য, বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত, তাদের কর্মসংস্থানের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, ‘করোনায় গত দুই বছর ধরে চলমান এই সংকট থেকে উত্তরণের গতি ধীর হবে, কিছুটা অনিশ্চিতও। ইতিমধ্যে বিশ্বে শ্রমবাজার ভেঙে পড়েছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য চরম আকারে বেড়ে গেছে। অনেক কর্মী তাদের পেশা পরিবর্তন করে ফেলেছে। শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার করা ছাড়া মহামারীর প্রভাবে এই সংকট থেকে উত্তরণের প্রকৃত কোনো উপায় নেই।’