সাকিবেও শেষ রক্ষা হলো না পিপলস ব্যাংকের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান পরিচালক হওয়ার আগ্রহ দেখালেও শেষ রক্ষা হয়নি প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির লেটার অব ইনটেন্টের (এলওআই) মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ। ফলে প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির পক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসা শুরুর পথ বন্ধ হয়ে গেল।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে পরিচালকরা এলওআইর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংককে তিনবার এলওআই’র মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যেহেতু তারা শর্ত পূরণ করতে পারেনি, সেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ নতুন করে এলওআই’র মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে আবেদন তারা করেছিল তা বাতিল হয়ে গেল।’ জানা গেছে, প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ড ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এ জন্য গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনাপত্তি চেয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেয় প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক।
তা ছাড়া আগের ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালকের মধ্যে এখন শুধু প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী আছেন। নতুন করে আরও ২১ জন পরিচালকসহ ২৩ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তার আছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআই’র শর্ত অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন জমা ও পরিচালক নিয়োগ করতে না পারায় এ লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। এই শর্ত পূরণে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে নেয় প্রস্তাবিত ব্যাংকটি। সর্বশেষ এলওআই’র মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু ওই আবেদন যাচাই-বাছাই করার আগেই এলওআই’র মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদ।
জানা গেছে, সাকিব ও তার মাকে বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিতে চেয়েছেন সাকিব। এ বিষয়ে গত ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান। ওই সময় পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস ব্যাংক নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক গত বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান পরিচালক হওয়ার আগ্রহ দেখালেও শেষ রক্ষা হয়নি প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির লেটার অব ইনটেন্টের (এলওআই) মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ। ফলে প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির পক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসা শুরুর পথ বন্ধ হয়ে গেল।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে পরিচালকরা এলওআইর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংককে তিনবার এলওআই’র মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যেহেতু তারা শর্ত পূরণ করতে পারেনি, সেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ নতুন করে এলওআই’র মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে আবেদন তারা করেছিল তা বাতিল হয়ে গেল।’ জানা গেছে, প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ড ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এ জন্য গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনাপত্তি চেয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেয় প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক।
তা ছাড়া আগের ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালকের মধ্যে এখন শুধু প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী আছেন। নতুন করে আরও ২১ জন পরিচালকসহ ২৩ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তার আছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআই’র শর্ত অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন জমা ও পরিচালক নিয়োগ করতে না পারায় এ লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। এই শর্ত পূরণে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে নেয় প্রস্তাবিত ব্যাংকটি। সর্বশেষ এলওআই’র মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু ওই আবেদন যাচাই-বাছাই করার আগেই এলওআই’র মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদ।
জানা গেছে, সাকিব ও তার মাকে বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিতে চেয়েছেন সাকিব। এ বিষয়ে গত ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান। ওই সময় পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস ব্যাংক নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক গত বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক।