টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ৭৭% মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনা প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। সে হিসাবে অন্তত ১২ লাখ মানুষ টিকা পাওয়ার কথা। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ৯ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর দুই ডোজ পেয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ২৫৯ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৯ জন টিকা পেয়েছে। এছাড়া তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। একই বছর ডিসেম্বরের শেষদিকে ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। পরে করোনা মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়। সেই হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ীই দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এছাড়া আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে আছেন। তাদের কেউ কেউ আমাদের এখান থেকে টিকা নিয়ে যান, আবার বিদেশ থেকে কেউ কেউ টিকা নিয়ে আসেন। সে হিসাবে আমরা যে লক্ষ্যের কথা বলেছি তা ঠিক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ দিয়েছি ৯ কোটি ২৪ লাখ ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। আমাদের হাতে আরও প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। সবাই (লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী) টিকা পাবেন এমন টিকা মজুদ রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচির প্রধান ও কভিড-১৯ টিকাদানবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমরা যখন জাতীয়ভাবে টিকাদান পরিকল্পনা করি তখন ৭০ ভাগ লোককে টিকা দিতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন সুপারিশ ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৭০ শতাংশের লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়ার পর আমরাও এই হিসাবে টিকা দিচ্ছি।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনা প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। সে হিসাবে অন্তত ১২ লাখ মানুষ টিকা পাওয়ার কথা। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ৯ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর দুই ডোজ পেয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫ হাজার ২৫৯ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৯ জন টিকা পেয়েছে। এছাড়া তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। একই বছর ডিসেম্বরের শেষদিকে ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। পরে করোনা মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়। সেই হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ীই দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এছাড়া আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে আছেন। তাদের কেউ কেউ আমাদের এখান থেকে টিকা নিয়ে যান, আবার বিদেশ থেকে কেউ কেউ টিকা নিয়ে আসেন। সে হিসাবে আমরা যে লক্ষ্যের কথা বলেছি তা ঠিক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ দিয়েছি ৯ কোটি ২৪ লাখ ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। আমাদের হাতে আরও প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। সবাই (লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী) টিকা পাবেন এমন টিকা মজুদ রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচির প্রধান ও কভিড-১৯ টিকাদানবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমরা যখন জাতীয়ভাবে টিকাদান পরিকল্পনা করি তখন ৭০ ভাগ লোককে টিকা দিতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন সুপারিশ ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৭০ শতাংশের লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়ার পর আমরাও এই হিসাবে টিকা দিচ্ছি।’