অনেক সংশোধন করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার ক্ষেত্রে আরও সময় নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেছেন, এই আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে। গতকাল শনিবার ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে’ শীর্ষক এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি-এ ছায়া সংসদ বিতর্কের আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, এখানে আস্থার অভাব ছিল। আরও তদারকির দরকার ছিল। এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন ছিল না। এই আইনের খসড়া পড়ে মনে হয়েছে, এটি সার্চ কমিটি গঠনের খসড়া।
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রস্তাবিত আইনের সমালোচনাও করেন এই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতো জায়গায় আমাদের অন্তত সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ প্রয়োজন। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে এবং তিনি অব্যাহতি পান, তাহলে তাকে নিয়োগ দিতে বাধা নেই। এটি আমার কাছে ভালো লাগেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে জনগণেরও মতামত নেওয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এমন একটি আইন হলে এটির যোগ্যতা প্রমাণ করা উচিত।
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ৫০ বছরে অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল চায় না একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনলোজি ও বিরোধী দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশ নেন। বিতর্কে বিজয়ী হন বিরোধী দলের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার ক্ষেত্রে আরও সময় নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেছেন, এই আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে। গতকাল শনিবার ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে’ শীর্ষক এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি-এ ছায়া সংসদ বিতর্কের আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, এখানে আস্থার অভাব ছিল। আরও তদারকির দরকার ছিল। এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন ছিল না। এই আইনের খসড়া পড়ে মনে হয়েছে, এটি সার্চ কমিটি গঠনের খসড়া।
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রস্তাবিত আইনের সমালোচনাও করেন এই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতো জায়গায় আমাদের অন্তত সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ প্রয়োজন। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে এবং তিনি অব্যাহতি পান, তাহলে তাকে নিয়োগ দিতে বাধা নেই। এটি আমার কাছে ভালো লাগেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে জনগণেরও মতামত নেওয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এমন একটি আইন হলে এটির যোগ্যতা প্রমাণ করা উচিত।
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ৫০ বছরে অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল চায় না একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনলোজি ও বিরোধী দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশ নেন। বিতর্কে বিজয়ী হন বিরোধী দলের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা।