নতুন দামে রাতারাতি বাজারে সয়াবিন!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম | ৯ মে, ২০২২ ০০:০০
ঈদের আগে থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার দাম বাড়ালেও গত দুদিন বাজারে ভয়াবহ সংকট ছিল সয়াবিনের। গতকাল রবিবার বাজারে নতুন দামের সয়াবিন আসতে শুরু করেছে। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে রাতারাতি পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল এসেছে। বোতলের গায়ে উৎপাদনের মেয়াদ দেওয়া রয়েছে ৭ মে। নতুন দাম ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯৮৫ টাকা। তবে ব্র্যান্ড ভেদে কোনো কোনো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৭৫ টাকাও রাখছেন বিক্রেতারা।
গতকাল রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে এখনো পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল দেখা যায়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম আরও বাড়বে। ২৫০ টাকা লিটার হবে। এ কারণে ডিলাররা তেল বাজারে ছাড়তে চাচ্ছিল না। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের লেখালেখি এবং ভোক্তা অধিকারের অভিযান শুরু হওয়ায় তেল সরবরাহ বাড়িয়েছে সরবরাহকারীরা। তা ছাড়া তেল সংকটের পেছনে ভোক্তাদের ‘প্যানিক বায়িং’ বা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বেশি করে তেল কিনে রাখাকেও দায়ী করেন তারা।
কারওয়ান বাজারের চাটখিল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ডিলাররা আমাদের তেল দেয়নি গত কয়েক দিন। আজ (রবিবার) ৫০০ কার্টন তেল দিয়েছে। এখন আর তেলের কোনো সংকট নেই। কিন্তু দাম ৯৮৫ টাকা। এই দামে তেল বিক্রি করা তো কোনো বিষয় ছিল না। কিন্তু পুরনো তেলের বোতলের গায়ে তো দাম লেখা ছিল কম। ওই তেল কোনো দোকানদার আগের দরে বিক্রি করবে না বলেই সংকট তৈরি করে।
কারওয়ান বাজারের আরও কয়েকজন খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই সংকটকে কাজে লাগিয়ে তেলের পুরনো বোতলগুলোও নতুন দামে বিক্রি করতে চেষ্টা করেছেন বিক্রেতারা। এটাই ছিল গত কয়েক দিনের তেল সংকটের প্রধান কারণ।
এদিকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় খোলা ও বোতলজাত তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন দরেই গতকাল এসব তেল বিক্রি হচ্ছিল। তবে সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে দোকানগুলো থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেলেও গতকাল কিছু কিছু দোকানে এক লিটার ও দুই লিটারের সয়াবিনের বোতল বিক্রি হতে দেখা গেছে। দোকানিরা জানান, বিভিন্ন পরিবেশকের নিয়োজিত বিক্রয় প্রতিনিধিরা কিছু কিছু তেল দিচ্ছে। তারা জানান, পাঁচ লিটারের সয়াবিনের কোনো বোতল এখনো সরবরাহ করা হচ্ছে না। ১ লিটার, দুই লিটার ও ৩ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
দুপুরে নগরীর কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে কয়েক বোতল করে সয়াবিনের বোতল রাখা হয়েছে। নতুন দরেই এসব তেল বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। সেখানে বাজার করতে যাওয়া একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, কয়েকটি দোকানে ঘুরলেও কোথাও ৫ লিটারের সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নতুন দরে এক লিটার ও দুই লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখনো পর্যন্ত তেলের সরবরাহ পাননি বললে জানালেন নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারের নাছির স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, পুষ্টি ও তীর মার্কা সয়াবিন তেলের নির্ধারিত পরিবেশকের বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা জানিয়েছে, দুয়েক দিনের মধ্যে তারা তেল সরবরাহ দেবে।
এদিকে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রবিবার থেকে খোলা পাম অয়েল ও খোলা সয়াবিনের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে তেলের দরও আগের দিনের চেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশকরা।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও খাতুনগঞ্জের আর এম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে তেলের দামও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। প্রতি মণ খোলা সয়াবিন ৭২০০ টাকা ও পাম অয়েল ৪৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের দিন এসব তেল মণপ্রতি আরও ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত দরে ভোজ্য তেলসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য বিক্রির বিষয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ির পর বাজারে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল সরবরাহ কমে যায়। রোজার শেষ দিকে এসে বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট দেখা দেয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের বাড়তি দরের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি অ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই বাড়তি দাম অনুমোদন দেওয়া হয়। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা ও ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৮৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার থেকেই নতুন দাম কার্যকরের কথা বলা হয় মিল মালিকদের পক্ষ থেকে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই তিন দিনে পুরনো তেল নতুন দামে বিক্রির জন্য বোতলের গায়ে নতুন দর লেখার কাজ শেষ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন সেই তেলই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তা ছাড়া তেল মজুদদারির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায়ও বাজারে তেল সরবরাহ বাড়াতে শুরু করেছে সরবরাহকারীরা।
গতকাল সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা এলাকার বাগানবাজার ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আলমগীর। পরে ওই ব্যবসায়ীকে অবৈধভাবে তেল মজুদ করার অপরাধে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মজুদকৃত তেল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খোলাবাজারে বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম | ৯ মে, ২০২২ ০০:০০

ঈদের আগে থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার দাম বাড়ালেও গত দুদিন বাজারে ভয়াবহ সংকট ছিল সয়াবিনের। গতকাল রবিবার বাজারে নতুন দামের সয়াবিন আসতে শুরু করেছে। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে রাতারাতি পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল এসেছে। বোতলের গায়ে উৎপাদনের মেয়াদ দেওয়া রয়েছে ৭ মে। নতুন দাম ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯৮৫ টাকা। তবে ব্র্যান্ড ভেদে কোনো কোনো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৭৫ টাকাও রাখছেন বিক্রেতারা।
গতকাল রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে এখনো পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল দেখা যায়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম আরও বাড়বে। ২৫০ টাকা লিটার হবে। এ কারণে ডিলাররা তেল বাজারে ছাড়তে চাচ্ছিল না। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের লেখালেখি এবং ভোক্তা অধিকারের অভিযান শুরু হওয়ায় তেল সরবরাহ বাড়িয়েছে সরবরাহকারীরা। তা ছাড়া তেল সংকটের পেছনে ভোক্তাদের ‘প্যানিক বায়িং’ বা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বেশি করে তেল কিনে রাখাকেও দায়ী করেন তারা।
কারওয়ান বাজারের চাটখিল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ডিলাররা আমাদের তেল দেয়নি গত কয়েক দিন। আজ (রবিবার) ৫০০ কার্টন তেল দিয়েছে। এখন আর তেলের কোনো সংকট নেই। কিন্তু দাম ৯৮৫ টাকা। এই দামে তেল বিক্রি করা তো কোনো বিষয় ছিল না। কিন্তু পুরনো তেলের বোতলের গায়ে তো দাম লেখা ছিল কম। ওই তেল কোনো দোকানদার আগের দরে বিক্রি করবে না বলেই সংকট তৈরি করে।
কারওয়ান বাজারের আরও কয়েকজন খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই সংকটকে কাজে লাগিয়ে তেলের পুরনো বোতলগুলোও নতুন দামে বিক্রি করতে চেষ্টা করেছেন বিক্রেতারা। এটাই ছিল গত কয়েক দিনের তেল সংকটের প্রধান কারণ।
এদিকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় খোলা ও বোতলজাত তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন দরেই গতকাল এসব তেল বিক্রি হচ্ছিল। তবে সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে দোকানগুলো থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেলেও গতকাল কিছু কিছু দোকানে এক লিটার ও দুই লিটারের সয়াবিনের বোতল বিক্রি হতে দেখা গেছে। দোকানিরা জানান, বিভিন্ন পরিবেশকের নিয়োজিত বিক্রয় প্রতিনিধিরা কিছু কিছু তেল দিচ্ছে। তারা জানান, পাঁচ লিটারের সয়াবিনের কোনো বোতল এখনো সরবরাহ করা হচ্ছে না। ১ লিটার, দুই লিটার ও ৩ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
দুপুরে নগরীর কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে কয়েক বোতল করে সয়াবিনের বোতল রাখা হয়েছে। নতুন দরেই এসব তেল বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। সেখানে বাজার করতে যাওয়া একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, কয়েকটি দোকানে ঘুরলেও কোথাও ৫ লিটারের সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নতুন দরে এক লিটার ও দুই লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখনো পর্যন্ত তেলের সরবরাহ পাননি বললে জানালেন নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারের নাছির স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, পুষ্টি ও তীর মার্কা সয়াবিন তেলের নির্ধারিত পরিবেশকের বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা জানিয়েছে, দুয়েক দিনের মধ্যে তারা তেল সরবরাহ দেবে।
এদিকে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রবিবার থেকে খোলা পাম অয়েল ও খোলা সয়াবিনের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে তেলের দরও আগের দিনের চেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশকরা।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও খাতুনগঞ্জের আর এম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে তেলের দামও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। প্রতি মণ খোলা সয়াবিন ৭২০০ টাকা ও পাম অয়েল ৪৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের দিন এসব তেল মণপ্রতি আরও ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত দরে ভোজ্য তেলসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য বিক্রির বিষয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ির পর বাজারে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল সরবরাহ কমে যায়। রোজার শেষ দিকে এসে বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট দেখা দেয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের বাড়তি দরের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি অ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই বাড়তি দাম অনুমোদন দেওয়া হয়। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা ও ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৮৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার থেকেই নতুন দাম কার্যকরের কথা বলা হয় মিল মালিকদের পক্ষ থেকে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই তিন দিনে পুরনো তেল নতুন দামে বিক্রির জন্য বোতলের গায়ে নতুন দর লেখার কাজ শেষ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন সেই তেলই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তা ছাড়া তেল মজুদদারির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায়ও বাজারে তেল সরবরাহ বাড়াতে শুরু করেছে সরবরাহকারীরা।
গতকাল সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা এলাকার বাগানবাজার ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আলমগীর। পরে ওই ব্যবসায়ীকে অবৈধভাবে তেল মজুদ করার অপরাধে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মজুদকৃত তেল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খোলাবাজারে বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।