টাকায় আটায় পুঁজিতে ধাক্কা
ডলারের মূল্যে রেকর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মে, ২০২২ ০০:০০
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য, কাঁচামাল ও জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে নজিরবিহীন। কিন্তু একই হারে বিদেশি মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়েনি। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে। চাহিদা-সরবরাহে ঘাটতি থাকায় অস্থির হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর। বাধ্য হয়ে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে আরেক ধাপ অবমূল্যায়ন করেছে টাকার মান। গতকাল সোমবার এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৮০ পয়সা কমেছে, যা টাকার অবমূল্যায়নে এক দিনের হিসাবে ইতিহাস গড়েছে।
এ নিয়ে দুই মাসেরও কম সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ১ টাকা ৩০ পয়সা কমানো হলো। গতকাল ডলারের আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত ২৩ মার্চ ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। এক বছরে ডলারের বিপরীতে ২ টাকা ৭০ পয়সা মূল্য হারিয়েছে টাকা।
অবশ্য ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় আমদানি ব্যয় বাড়লেও রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ডলারের দাম খোলাবাজারের চেয়ে অনেক কম। খোলাবাজারে এখন ডলারের দাম ৯৪ টাকারও বেশি। মিরপুর ১ নম্বরের আলিফ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করছে ৯৪ টাকা ৬০ পয়সায়। আর বাজারে সরবরাহ কম থাকায় আমদানির এলসির বিপরীতে ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৪-৯৫ টাকায়। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, মার্কিন ডলার এখন আর আন্তঃব্যাংক নির্ধারিত হারে বিক্রি হচ্ছে না। এটি ওই হারের অনেক ওপরে উঠে গেছে।
ডলারের চাহিদা বাড়ায় রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১০ কোটি ডলার ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপরও চাহিদা সামাল দেওয়া যায়নি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত হারের চেয়ে খোলাবাজার ও ব্যাংকগুলোতে অনেক বেশি দরে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, আমদানির চাপ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আমদানির দায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডলারে পরিশোধ করতে হয়। এ কারণে ডলারের চাহিদা বেশি। আমদানির তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। ফলে ব্যাংকব্যবস্থা ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে বাধ্য হয়েই ডলারের দর বাড়াতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রিও করছে। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজার্ভ নেমে এসেছে ৪১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে; যা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক আমদানি ব্যয় বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে দেশের আমদানি ব্যয় দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। অবশ্য আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশে। তবে আমদানির তুলনায় রপ্তানি অনেক কম থাকা ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় লেনদেন ভারসাম্যে সবচেয়ে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে একই সময়ে প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হয় ২ হাজার ২১৩ কোটি ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫৪ শতাংশ বেশি। দেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি ব্যয় হয় শিল্পের কাঁচামালে। এর পরের অবস্থান ভোগ্যপণ্যের। আমদানি ব্যয়ে জ্বালানির অবস্থান পঞ্চম হলেও এ খাতে ব্যয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। গত জুলাই-মার্চ সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৭ শতাংশ আমদানি খরচ বেড়ে গেছে জ্বালানিতে। গত জুলাই-মার্চে আমদানি হয় ৫৪৬ কোটি ডলারের জ্বালানি। গত জুলাই-মার্চে ভোগ্যপণ্যের আমদানি খরচ বেড়েছে ৪১ শতাংশ, মূলধনি যন্ত্রের ৪২ শতাংশ ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এর ফলে সামগ্রিকভাবে জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি খরচ বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।
আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে তুলনামূলক আয় কম থাকায় নজিরবিহীন ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) ঘাটতির চেয়েও ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। আর জুলাই-মার্চ সময়ের চেয়ে বেশি প্রায় ৬৪ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২৮ কোটি ডলার। আর পুরো অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল ২ হাজার ২৮০ কোটি ডলার।
গত বছরের ২৪ আগস্ট দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আগের সব ইতিহাস ভেঙে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে রিজার্ভ নেমে এসেছে ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মে, ২০২২ ০০:০০

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য, কাঁচামাল ও জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে নজিরবিহীন। কিন্তু একই হারে বিদেশি মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়েনি। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে। চাহিদা-সরবরাহে ঘাটতি থাকায় অস্থির হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর। বাধ্য হয়ে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে আরেক ধাপ অবমূল্যায়ন করেছে টাকার মান। গতকাল সোমবার এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৮০ পয়সা কমেছে, যা টাকার অবমূল্যায়নে এক দিনের হিসাবে ইতিহাস গড়েছে।
এ নিয়ে দুই মাসেরও কম সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ১ টাকা ৩০ পয়সা কমানো হলো। গতকাল ডলারের আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত ২৩ মার্চ ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। এক বছরে ডলারের বিপরীতে ২ টাকা ৭০ পয়সা মূল্য হারিয়েছে টাকা।
অবশ্য ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় আমদানি ব্যয় বাড়লেও রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ডলারের দাম খোলাবাজারের চেয়ে অনেক কম। খোলাবাজারে এখন ডলারের দাম ৯৪ টাকারও বেশি। মিরপুর ১ নম্বরের আলিফ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করছে ৯৪ টাকা ৬০ পয়সায়। আর বাজারে সরবরাহ কম থাকায় আমদানির এলসির বিপরীতে ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৪-৯৫ টাকায়। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, মার্কিন ডলার এখন আর আন্তঃব্যাংক নির্ধারিত হারে বিক্রি হচ্ছে না। এটি ওই হারের অনেক ওপরে উঠে গেছে।
ডলারের চাহিদা বাড়ায় রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১০ কোটি ডলার ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপরও চাহিদা সামাল দেওয়া যায়নি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত হারের চেয়ে খোলাবাজার ও ব্যাংকগুলোতে অনেক বেশি দরে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, আমদানির চাপ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আমদানির দায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডলারে পরিশোধ করতে হয়। এ কারণে ডলারের চাহিদা বেশি। আমদানির তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। ফলে ব্যাংকব্যবস্থা ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে বাধ্য হয়েই ডলারের দর বাড়াতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রিও করছে। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজার্ভ নেমে এসেছে ৪১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে; যা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক আমদানি ব্যয় বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে দেশের আমদানি ব্যয় দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। অবশ্য আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশে। তবে আমদানির তুলনায় রপ্তানি অনেক কম থাকা ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় লেনদেন ভারসাম্যে সবচেয়ে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে একই সময়ে প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হয় ২ হাজার ২১৩ কোটি ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫৪ শতাংশ বেশি। দেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি ব্যয় হয় শিল্পের কাঁচামালে। এর পরের অবস্থান ভোগ্যপণ্যের। আমদানি ব্যয়ে জ্বালানির অবস্থান পঞ্চম হলেও এ খাতে ব্যয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। গত জুলাই-মার্চ সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৭ শতাংশ আমদানি খরচ বেড়ে গেছে জ্বালানিতে। গত জুলাই-মার্চে আমদানি হয় ৫৪৬ কোটি ডলারের জ্বালানি। গত জুলাই-মার্চে ভোগ্যপণ্যের আমদানি খরচ বেড়েছে ৪১ শতাংশ, মূলধনি যন্ত্রের ৪২ শতাংশ ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এর ফলে সামগ্রিকভাবে জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি খরচ বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।
আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে তুলনামূলক আয় কম থাকায় নজিরবিহীন ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) ঘাটতির চেয়েও ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। আর জুলাই-মার্চ সময়ের চেয়ে বেশি প্রায় ৬৪ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২৮ কোটি ডলার। আর পুরো অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল ২ হাজার ২৮০ কোটি ডলার।
গত বছরের ২৪ আগস্ট দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আগের সব ইতিহাস ভেঙে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে রিজার্ভ নেমে এসেছে ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে।