হাতিরঝিলের সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০
রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প এলাকার সৌন্দর্য রক্ষায় গুচ্ছ নির্দেশনা, পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় থাকা রেস্তোরাঁ-দোকানসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক স্থাপনা অবৈধ ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সেসব স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া হাতিরঝিলের পানি দূষণরোধে ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধের পরামর্শ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, হাতিরঝিলের সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ।
হাতিরঝিল এলাকায় লে আউট পরিকল্পনার নির্দেশনার বাইরে বাণিজ্যিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধে করা রিট আবেদনের ওপর দেওয়া রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত বছরের ৩০ জুন বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিল। গত সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আদালতের রায়ের কথা শুনেছি। অনুলিপি পাওয়ার পর নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প এলাকায় মূল পরিকল্পনার বাইরে অবৈধ স্থাপনায় রাজউকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রুলসহ মূল পরিকল্পনার বাইরে থাকা সব স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশসহ এ প্রশ্নে রুল দেয় হাইকোর্ট। পরে রাজউকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প এলাকায় স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাতিরঝিলের ইতিহাস টেনে হাইকোর্ট বলে, ‘হাতিরঝিলসহ তেজগাঁও এলাকার অনেক ভূসম্পত্তি ভাওয়াল রাজার এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজার হাতির পাল এই ঝিলে স্নান ও বিচরণ করত। কালের পরিক্রমায় এর নাম হয় “হাতিরঝিল”।’
প্রকৃতির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে আদালত বলে, ‘মানবজাতি কর্র্তৃক প্রণীত আইন মানার কোনো বাধ্যবাধকতা বা আবশ্যকতা প্রকৃতির নেই; বরং মানবজাতি অতি অবশ্য প্রকৃতির সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে চলতে বাধ্য। প্রকৃতির আইনগত অধিকার স্বীকার করে আমরা প্রকৃতিকে কোনো দয়া করছি না; বরং মানবজাতি নিজেদের রক্ষা করছি মাত্র।’
রায়ের পর্যবেক্ষণে পানির গুরুত্ব নিয়ে হাইকোর্ট বলে, ‘প্রতিটি ফোঁটা পানি অতিমূল্যবান। সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনো সম্পদ এ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোঁটা পানির দূষণ প্রতিরোধ একান্ত আবশ্যক।’ আদালত আরও বলে, দেয়ার ইজ নো ‘প্ল্যানেট বি’। দ্বিতীয় কোনো পৃথিবী নেই। এ পৃথিবী ব্যতীত আর কোনো গ্রহে পানির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এক ফোঁটা পানি এ পৃথিবীর বাইরে থেকে আনতে সক্ষম হয়নি। অথচ এ খরচের শতভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করলে আমরা আমাদের গ্রহের পানিকে দূষণমুক্ত ব্যবহারযোগ্য রাখতে সক্ষম। হাতিরঝিলের পানি ও এর নজকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এই অমূল্য সম্পদকে কোনোভাবেই ধ্বংস করা যাবে না।’
রায়ে চারটি নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট। এগুলো হলো ১. সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদ রায় মোতাবেক রাজধানী ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকা যা ‘হাতিরঝিল’ নামে পরিচিত পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি তথা জনগণের জাতীয় সম্পত্তি।
২. ‘হাতিরঝিল’ এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন ও তুরাগ নদের রায় অনুযায়ী বেআইনি ও অবৈধ।
৩. ‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দকৃত সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ও এখতিয়ারবহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
৪. এই রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
হাতিরঝিল নিয়ে যেসব পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত সেগুলো হলো ১. হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনায় একটি পৃথক কর্তৃৃপক্ষ তথা ‘হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা, ২. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল বিভাগ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ, ৩) জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট, ৪) নির্ধারিত দূরত্বে বিনা মূল্যে জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা, ৫) পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি। ৬) পানির জন্য ক্ষতিকর সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। ৭) লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা।
এ ছাড়া হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করাসহ সম্পূর্ণ প্রকল্পটির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ বাজেট থেকে বরাদ্দ করা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০

রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প এলাকার সৌন্দর্য রক্ষায় গুচ্ছ নির্দেশনা, পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় থাকা রেস্তোরাঁ-দোকানসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক স্থাপনা অবৈধ ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সেসব স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া হাতিরঝিলের পানি দূষণরোধে ওয়াটার ট্যাক্সি বন্ধের পরামর্শ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, হাতিরঝিলের সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ।
হাতিরঝিল এলাকায় লে আউট পরিকল্পনার নির্দেশনার বাইরে বাণিজ্যিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধে করা রিট আবেদনের ওপর দেওয়া রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত বছরের ৩০ জুন বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিল। গত সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আদালতের রায়ের কথা শুনেছি। অনুলিপি পাওয়ার পর নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প এলাকায় মূল পরিকল্পনার বাইরে অবৈধ স্থাপনায় রাজউকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রুলসহ মূল পরিকল্পনার বাইরে থাকা সব স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশসহ এ প্রশ্নে রুল দেয় হাইকোর্ট। পরে রাজউকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প এলাকায় স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাতিরঝিলের ইতিহাস টেনে হাইকোর্ট বলে, ‘হাতিরঝিলসহ তেজগাঁও এলাকার অনেক ভূসম্পত্তি ভাওয়াল রাজার এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজার হাতির পাল এই ঝিলে স্নান ও বিচরণ করত। কালের পরিক্রমায় এর নাম হয় “হাতিরঝিল”।’
প্রকৃতির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে আদালত বলে, ‘মানবজাতি কর্র্তৃক প্রণীত আইন মানার কোনো বাধ্যবাধকতা বা আবশ্যকতা প্রকৃতির নেই; বরং মানবজাতি অতি অবশ্য প্রকৃতির সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে চলতে বাধ্য। প্রকৃতির আইনগত অধিকার স্বীকার করে আমরা প্রকৃতিকে কোনো দয়া করছি না; বরং মানবজাতি নিজেদের রক্ষা করছি মাত্র।’
রায়ের পর্যবেক্ষণে পানির গুরুত্ব নিয়ে হাইকোর্ট বলে, ‘প্রতিটি ফোঁটা পানি অতিমূল্যবান। সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনো সম্পদ এ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোঁটা পানির দূষণ প্রতিরোধ একান্ত আবশ্যক।’ আদালত আরও বলে, দেয়ার ইজ নো ‘প্ল্যানেট বি’। দ্বিতীয় কোনো পৃথিবী নেই। এ পৃথিবী ব্যতীত আর কোনো গ্রহে পানির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এক ফোঁটা পানি এ পৃথিবীর বাইরে থেকে আনতে সক্ষম হয়নি। অথচ এ খরচের শতভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করলে আমরা আমাদের গ্রহের পানিকে দূষণমুক্ত ব্যবহারযোগ্য রাখতে সক্ষম। হাতিরঝিলের পানি ও এর নজকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এই অমূল্য সম্পদকে কোনোভাবেই ধ্বংস করা যাবে না।’
রায়ে চারটি নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট। এগুলো হলো ১. সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদ রায় মোতাবেক রাজধানী ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকা যা ‘হাতিরঝিল’ নামে পরিচিত পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি তথা জনগণের জাতীয় সম্পত্তি।
২. ‘হাতিরঝিল’ এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন ও তুরাগ নদের রায় অনুযায়ী বেআইনি ও অবৈধ।
৩. ‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দকৃত সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ও এখতিয়ারবহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
৪. এই রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
হাতিরঝিল নিয়ে যেসব পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত সেগুলো হলো ১. হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনায় একটি পৃথক কর্তৃৃপক্ষ তথা ‘হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা, ২. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল বিভাগ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ, ৩) জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট, ৪) নির্ধারিত দূরত্বে বিনা মূল্যে জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা, ৫) পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি। ৬) পানির জন্য ক্ষতিকর সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। ৭) লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা।
এ ছাড়া হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করাসহ সম্পূর্ণ প্রকল্পটির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ বাজেট থেকে বরাদ্দ করা।