কৌশল আর হিসাবের খেলা
পাভেল হায়দার চৌধুরী | ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। তার আগে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে মেয়র প্রার্থীদের কৌশল আর হিসাব-পাল্টা হিসাবের খেলা।
এবার এই পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ ছয়জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে মঙ্গলবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে বুঝিয়েছেন। তবে ইমরান বলেছেন তার কিছু শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ হলেই তিনি সরে যাবেন। তিনি কুমিল্লায় রাজনীতি করার সুযোগ চান। আজ জানা যাবে তিনি প্রার্থী থাকবেন কি থাকবেন না।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত চান বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার দুজনই ভোটের মাঠে থাকুন। অন্যদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সাবেক দুই নেতা চান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থানীয় যে অনৈক্য রয়েছে তা দূর না হোক। আওয়ামী লীগের দুজনের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী সরে গেলেও অনৈক্য থেকে গেলে তাদের জয় পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে তারা মনে করছেন। আবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান চান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনও যাতে নৌকার প্রার্থীর পরিবর্তন ঘটে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা ও কুমিল্লার স্থানীয় এক ডজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের এমন হিসাব-নিকাশের কথা জানা গেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার নৌকার প্রার্থী করেছে দলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে। কিন্তু তা মেনে নেননি কুমিল্লার আওয়ামী পরিবারের আরেক নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সদস্য সাবেক দুই নেতার মাঠে থাকায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত। মনিরুল হক সাক্কু আগের দুবারের মেয়র। ২০১২ সালে তিনি পরাজিত করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরানের বাবা কুমিল্লার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানকে। ২০১৭ সালে পরাজিত করেছেন ইমরানের বোন আঞ্জুমান সুলতানা সীমা। সীমা এখন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।
তবে এবার বিএনপি সাক্কুকে বহিষ্কার করায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। কারণ বিএনপি শুধু তাকে বহিষ্কারই করেনি, দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করতেও নির্দেশ দিয়েছে। কায়সারের ক্ষেত্রে অসুবিধার দিক এটা। তবে বিএনপির সাবেক এই নেতারা অসুবিধায় যেমন পড়েছেন, তেমনি সুবিধাও বোধ করছেন। প্রার্থী একজন থাকলে জয়ের পাল্লা সাক্কু বা কায়সারের দিকে ঝুঁকে থাকত এমন হিসাব ভোটের মাঠে চলছে।
কুমিল্লার স্থানীয় লোকজন বলছেন, ভোটের মাঠে চার মেয়র প্রার্থীই সমান অবস্থানে রয়েছেন। এখনো কাউকে এগিয়ে কাউকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, গুঞ্জন রয়েছে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, সেক্ষেত্রে রিফাত অনেকটা এগিয়ে থাকবেন। তবে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্ত রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে আবার পরাজিত হতে হবে দলের প্রার্থীকে।
স্থানীয় সূত্রগুলো আরও জানায়, কুমিল্লার আওয়ামী রাজনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত। এর যেকোনো এক পক্ষ দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিলেও নৌকার প্রার্থী শেষ পর্যন্ত যেই থাকুক জয়ের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকবেই। কারণ, ওই অংশ যদি নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে সেক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল খারাপ হওয়ার সুযোগ থাকে। যার নজির গত দুটি নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগে ঐক্য নিশ্চিত করতে না পারায় বিএনপির প্রার্থী সাক্কুই মেয়র হয়েছেন। আর সাক্কুকে মেয়র করতে আওয়ামী লীগের যে পক্ষ কাজ করেছে এবার তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার রাজনীতি হতে পারে বলে কুমিল্লায় বেশ গুঞ্জন রয়েছে। আফজল পরিবারের প্রার্থী ইমরান ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালেও নৌকার জন্য একই ছাতার নিচে আসবেন কি না সেই সন্দেহ সবার ভেতরে। কারণ কুমিল্লার প্রভাবশালী নেতা আফজল ও তার মেয়ে আঞ্জুমান সুলতানা সীমা দুজনেই আওয়ামী লীগে অনৈক্য থাকার কারণে হেরেছেন। এবার একই অনৈক্য বজায় থাকলে নৌকার প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মূল কথা নৌকাকে জিততে হলে স্থানীয় অনৈক্যের রাজনীতিতে ঐক্য ফেরানোর কোনো বিকল্প নেই।
জানতে চাইলে আরফানুল হক রিফাত দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মেয়র হিসেবে কুমিল্লার মানুষ এবার আমাকেই বেছে নেবে। ভোটের মাঠে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’
অন্যদিকে সাক্কু-কায়সার দুজনের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দুই প্রার্থীর গোপন দেনদরবার চলছে। সাক্কুর কাছে কায়সারের লোকজন সরে দাঁড়াতে বিশেষ তদবির করছেন। আবার সাক্কু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন দাবি করে তার লোকজন কায়সারকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ তিনজন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজ সকালে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে শহরের কোনো এক জায়গায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কায়সার-সাক্কু কেউই বসতে রাজি নন বলে সূত্র দাবি করে। কুমিল্লায় ইমরান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন এমন গুঞ্জন ওঠায় স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠরাও চাইছেন সাক্কু-কায়সারের মধ্যে একজন প্রার্থী মেয়র পদে লড়ুক। তাহলে জয়ের ব্যাপারে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা যাবে। কারণ তারা মনে করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলেও দলের ভোট তো আর আওয়ামী লীগের বাক্সে যাবে না।
জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কুমিল্লার জনগণের জন্য আমি পরীক্ষিত মেয়র। তাদের সুখ-দুঃখে আমাকে তারা পেয়েছে। এবারও জনগণ আমাকে বেছে নেবে।’
জানা গেছে, সাক্কুর ঘনিষ্ঠজনরা আফজল পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চেষ্টা করছেন। যাতে ইমরান সরে গেলেও ওই পক্ষের সমর্থন পাওয়া যায়। অন্যদিকে সাক্কু-কায়সার দুজনেই ভোটের মাঠে থাকুক তা চান নৌকার প্রার্থী রিফাত। দল ঐক্যবদ্ধ হলে এবং বিএনপির সাবেক দুই নেতাই ভোটের মাঠে থাকলে তাদের ভোট ভাগাভাগিতে সুফল আসবে রিফাতের।
শেয়ার করুন
পাভেল হায়দার চৌধুরী | ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। তার আগে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে মেয়র প্রার্থীদের কৌশল আর হিসাব-পাল্টা হিসাবের খেলা।
এবার এই পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ ছয়জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে মঙ্গলবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে বুঝিয়েছেন। তবে ইমরান বলেছেন তার কিছু শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ হলেই তিনি সরে যাবেন। তিনি কুমিল্লায় রাজনীতি করার সুযোগ চান। আজ জানা যাবে তিনি প্রার্থী থাকবেন কি থাকবেন না।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত চান বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার দুজনই ভোটের মাঠে থাকুন। অন্যদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সাবেক দুই নেতা চান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থানীয় যে অনৈক্য রয়েছে তা দূর না হোক। আওয়ামী লীগের দুজনের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী সরে গেলেও অনৈক্য থেকে গেলে তাদের জয় পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে তারা মনে করছেন। আবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান চান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনও যাতে নৌকার প্রার্থীর পরিবর্তন ঘটে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা ও কুমিল্লার স্থানীয় এক ডজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের এমন হিসাব-নিকাশের কথা জানা গেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার নৌকার প্রার্থী করেছে দলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে। কিন্তু তা মেনে নেননি কুমিল্লার আওয়ামী পরিবারের আরেক নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সদস্য সাবেক দুই নেতার মাঠে থাকায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত। মনিরুল হক সাক্কু আগের দুবারের মেয়র। ২০১২ সালে তিনি পরাজিত করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরানের বাবা কুমিল্লার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানকে। ২০১৭ সালে পরাজিত করেছেন ইমরানের বোন আঞ্জুমান সুলতানা সীমা। সীমা এখন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।
তবে এবার বিএনপি সাক্কুকে বহিষ্কার করায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। কারণ বিএনপি শুধু তাকে বহিষ্কারই করেনি, দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করতেও নির্দেশ দিয়েছে। কায়সারের ক্ষেত্রে অসুবিধার দিক এটা। তবে বিএনপির সাবেক এই নেতারা অসুবিধায় যেমন পড়েছেন, তেমনি সুবিধাও বোধ করছেন। প্রার্থী একজন থাকলে জয়ের পাল্লা সাক্কু বা কায়সারের দিকে ঝুঁকে থাকত এমন হিসাব ভোটের মাঠে চলছে।
কুমিল্লার স্থানীয় লোকজন বলছেন, ভোটের মাঠে চার মেয়র প্রার্থীই সমান অবস্থানে রয়েছেন। এখনো কাউকে এগিয়ে কাউকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, গুঞ্জন রয়েছে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, সেক্ষেত্রে রিফাত অনেকটা এগিয়ে থাকবেন। তবে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্ত রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে আবার পরাজিত হতে হবে দলের প্রার্থীকে।
স্থানীয় সূত্রগুলো আরও জানায়, কুমিল্লার আওয়ামী রাজনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত। এর যেকোনো এক পক্ষ দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিলেও নৌকার প্রার্থী শেষ পর্যন্ত যেই থাকুক জয়ের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকবেই। কারণ, ওই অংশ যদি নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে সেক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল খারাপ হওয়ার সুযোগ থাকে। যার নজির গত দুটি নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগে ঐক্য নিশ্চিত করতে না পারায় বিএনপির প্রার্থী সাক্কুই মেয়র হয়েছেন। আর সাক্কুকে মেয়র করতে আওয়ামী লীগের যে পক্ষ কাজ করেছে এবার তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার রাজনীতি হতে পারে বলে কুমিল্লায় বেশ গুঞ্জন রয়েছে। আফজল পরিবারের প্রার্থী ইমরান ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালেও নৌকার জন্য একই ছাতার নিচে আসবেন কি না সেই সন্দেহ সবার ভেতরে। কারণ কুমিল্লার প্রভাবশালী নেতা আফজল ও তার মেয়ে আঞ্জুমান সুলতানা সীমা দুজনেই আওয়ামী লীগে অনৈক্য থাকার কারণে হেরেছেন। এবার একই অনৈক্য বজায় থাকলে নৌকার প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মূল কথা নৌকাকে জিততে হলে স্থানীয় অনৈক্যের রাজনীতিতে ঐক্য ফেরানোর কোনো বিকল্প নেই।
জানতে চাইলে আরফানুল হক রিফাত দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মেয়র হিসেবে কুমিল্লার মানুষ এবার আমাকেই বেছে নেবে। ভোটের মাঠে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’
অন্যদিকে সাক্কু-কায়সার দুজনের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দুই প্রার্থীর গোপন দেনদরবার চলছে। সাক্কুর কাছে কায়সারের লোকজন সরে দাঁড়াতে বিশেষ তদবির করছেন। আবার সাক্কু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন দাবি করে তার লোকজন কায়সারকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ তিনজন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজ সকালে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে শহরের কোনো এক জায়গায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কায়সার-সাক্কু কেউই বসতে রাজি নন বলে সূত্র দাবি করে। কুমিল্লায় ইমরান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন এমন গুঞ্জন ওঠায় স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠরাও চাইছেন সাক্কু-কায়সারের মধ্যে একজন প্রার্থী মেয়র পদে লড়ুক। তাহলে জয়ের ব্যাপারে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা যাবে। কারণ তারা মনে করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলেও দলের ভোট তো আর আওয়ামী লীগের বাক্সে যাবে না।
জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কুমিল্লার জনগণের জন্য আমি পরীক্ষিত মেয়র। তাদের সুখ-দুঃখে আমাকে তারা পেয়েছে। এবারও জনগণ আমাকে বেছে নেবে।’
জানা গেছে, সাক্কুর ঘনিষ্ঠজনরা আফজল পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চেষ্টা করছেন। যাতে ইমরান সরে গেলেও ওই পক্ষের সমর্থন পাওয়া যায়। অন্যদিকে সাক্কু-কায়সার দুজনেই ভোটের মাঠে থাকুক তা চান নৌকার প্রার্থী রিফাত। দল ঐক্যবদ্ধ হলে এবং বিএনপির সাবেক দুই নেতাই ভোটের মাঠে থাকলে তাদের ভোট ভাগাভাগিতে সুফল আসবে রিফাতের।