ভর্তি হতে হয় তিনবার পর্যন্ত
শরীফুল আলম সুমন | ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০
তানভীর হাসান চলতি বছর ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এসএসসিতেও তার জিপিএ-৫ ছিল। তার প্রথম লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। সেটা না হলে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই তার পছন্দ। একেবারে সবশেষ পছন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ। কিন্তু পছন্দক্রম অনুসারে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগই তিনি পাচ্ছেন না।
তানভীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আবেদন করেছি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু পরে ভর্তি পরীক্ষা হবে। তাই আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে। এরপর অন্য কোথাও সুযোগ পেলে সেই ভর্তি বাতিল করে সেখানে ভর্তি হতে হবে।’
আগে প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতো। এতে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতেন না, তারা সহজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু কভিডের কারণে প্রায় দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে, তাই তারা কিছুটা আগেই ভর্তি শেষ করতে পারছে। আবার গত বছর থেকে চালু হওয়া গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি-প্রক্রিয়া আগের চেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৩ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলেও গুচ্ছভুক্ত ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। যদিও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষা আগস্টে এগিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা করছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেহেতু সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উপাচার্য পরিষদ আছে। তারা যদি শিক্ষার্থীদের পছন্দের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নির্ধারণ করতেন, তাহলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান সম্ভব হতো। হয়তো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভতির্র প্রক্রিয়া কিছুটা পেছাতে হবে। কিন্তু তাদের মধ্যেও কোনো সমন্বয় দেখা যাচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি অভিভাবকদেরও বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পরীক্ষার ফল দেওয়ার পর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত দ্রুত ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা। কেন একজন শিক্ষার্থীকে সাত-আট মাস বসে থাকতে হবে? এতে তো শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে পড়বে, আবার সেশনজটেও পড়তে হবে। আমরা কেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলব। তাই অন্য বিশ^বিদ্যালয়গুলোর উচিত হবে, তাদের ভর্তির প্রক্রিয়াও এগিয়ে আনা।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমাদুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা যেহেতু গুচ্ছের সঙ্গে রয়েছি, তাই একসঙ্গেই ভর্তি পরীক্ষা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, ভর্তি পরীক্ষা কিছুটা এগিয়ে আনা যায় কি না। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে অবশ্যই সমন্বয় থাকা উচিত। তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে না।’
করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আট মাস পিছিয়ে নেওয়া হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থী। ফলে এমনিতেই পিছিয়ে আছেন এই শিক্ষার্থীরা। এরপর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় দেরি করায় সেশনজটে পড়ছেন তারা।
তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজেদের মতো করে ভর্তি করছে। এতে একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় আসছে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেলে অন্যদের ফের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হচ্ছে। এভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে আসন ফাঁকা রেখেই গত বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হয়েছে। এ সমস্যার সমাধান না হলে এবারও সমস্যায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ৩ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ৪ জুন এবং লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলবে ৩১ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৬ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত।
এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন যুক্ত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে সাধারণ গুচ্ছের বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ২২। তাদের ভর্তি পরীক্ষা ৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রকৌশল গুচ্ছের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গুচ্ছের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ২২ মে তাদের আবেদন শুরু হয়েছে, চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস ৩ জুলাই থেকে শুরু হবে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ আগস্ট। এ ছাড়া বিশেষায়িত আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৫১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৪টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলোতে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকেন।
শেয়ার করুন
শরীফুল আলম সুমন | ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০

তানভীর হাসান চলতি বছর ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এসএসসিতেও তার জিপিএ-৫ ছিল। তার প্রথম লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। সেটা না হলে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই তার পছন্দ। একেবারে সবশেষ পছন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ। কিন্তু পছন্দক্রম অনুসারে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগই তিনি পাচ্ছেন না।
তানভীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আবেদন করেছি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু পরে ভর্তি পরীক্ষা হবে। তাই আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে। এরপর অন্য কোথাও সুযোগ পেলে সেই ভর্তি বাতিল করে সেখানে ভর্তি হতে হবে।’
আগে প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতো। এতে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতেন না, তারা সহজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু কভিডের কারণে প্রায় দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে, তাই তারা কিছুটা আগেই ভর্তি শেষ করতে পারছে। আবার গত বছর থেকে চালু হওয়া গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি-প্রক্রিয়া আগের চেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৩ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলেও গুচ্ছভুক্ত ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। যদিও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষা আগস্টে এগিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা করছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেহেতু সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উপাচার্য পরিষদ আছে। তারা যদি শিক্ষার্থীদের পছন্দের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নির্ধারণ করতেন, তাহলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান সম্ভব হতো। হয়তো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভতির্র প্রক্রিয়া কিছুটা পেছাতে হবে। কিন্তু তাদের মধ্যেও কোনো সমন্বয় দেখা যাচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি অভিভাবকদেরও বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পরীক্ষার ফল দেওয়ার পর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত দ্রুত ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা। কেন একজন শিক্ষার্থীকে সাত-আট মাস বসে থাকতে হবে? এতে তো শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে পড়বে, আবার সেশনজটেও পড়তে হবে। আমরা কেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলব। তাই অন্য বিশ^বিদ্যালয়গুলোর উচিত হবে, তাদের ভর্তির প্রক্রিয়াও এগিয়ে আনা।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমাদুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা যেহেতু গুচ্ছের সঙ্গে রয়েছি, তাই একসঙ্গেই ভর্তি পরীক্ষা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, ভর্তি পরীক্ষা কিছুটা এগিয়ে আনা যায় কি না। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে অবশ্যই সমন্বয় থাকা উচিত। তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে না।’
করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আট মাস পিছিয়ে নেওয়া হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থী। ফলে এমনিতেই পিছিয়ে আছেন এই শিক্ষার্থীরা। এরপর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় দেরি করায় সেশনজটে পড়ছেন তারা।
তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজেদের মতো করে ভর্তি করছে। এতে একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় আসছে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেলে অন্যদের ফের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হচ্ছে। এভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে আসন ফাঁকা রেখেই গত বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হয়েছে। এ সমস্যার সমাধান না হলে এবারও সমস্যায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ৩ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ৪ জুন এবং লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলবে ৩১ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৬ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত।
এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন যুক্ত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে সাধারণ গুচ্ছের বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ২২। তাদের ভর্তি পরীক্ষা ৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রকৌশল গুচ্ছের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গুচ্ছের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ২২ মে তাদের আবেদন শুরু হয়েছে, চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস ৩ জুলাই থেকে শুরু হবে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ আগস্ট। এ ছাড়া বিশেষায়িত আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৫১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৪টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলোতে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকেন।