গম রপ্তানির অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি | ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০
‘নদী সম্মেলন’ ও জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দিতে ভারত গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আজ ও কাল দুদিন দেশটির আসামের গুয়াহাটিতে নদী সম্মেলন হবে। এ বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর যোগ দেবেন।
নদী সম্মেলনের পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আগামী সোমবার হবে জেসিসি বৈঠক। এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ভারতের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নদী সম্মেলনে এবং জেসিসি দুটিতেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা। ফলে সংশ্লিষ্ট ইস্যুর বাইরে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে গমসহ ভোগ্যপণ্য আমদানির বিষয় এবং ভারতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনা এবং ভারত থেকে দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নদী সম্মেলন’ মানেই ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হবেই। তবে তিস্তা নিয়ে বা কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে না এ সম্মেলন থেকে।
ওই কর্মকর্তা জানান, আজ শনিবার ও কাল রবিবার আসামের গুয়াহাটিতে এ সম্মেলনে থাকবেন ভারত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রতিবেশী কিছু দেশের প্রতিনিধিরাও। এই প্রথম বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজধানীর বাইরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কোনো একটি রাজ্যে বৈঠক করছেন।
দুই দেশের দুটি গবেষণা সংস্থা-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ এবং এশিয়ান কনফ্লোয়েন্স যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং ভারতে নিযুক্ত বিমসটেক দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরাও সম্মেলনে আমন্ত্রিত। গুয়াহাটিতে সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যেও সৌজন্য বৈঠক হবে। জানা গেছে, গুয়াহাটিতে ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ ফরম্যাটের আয়োজনে দুই দেশের এজেন্ডাভিত্তিক কোনো আলোচনা হবে না। তবে সাইডলাইনে হয়তো উভয়পক্ষ পানিসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে। গুয়াহাটির বৈঠকে শুধু তিস্তা নয়, মনু, ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই ও মুহুরী নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সিলেট সীমান্তে কুশিয়ারা নদী থেকে বাংলাদেশ যাতে পানি তুলতে পারে সেটিও আলোচনায় থাকবে। আগামী জুনে ঢাকায় জয়েন্ট রিভার কমিশন (জেআরসি) বৈঠকে নদী সম্মেলনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দেশ রূপান্তরকে গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘দুই দেশের অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনা, নদী কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কীভাবে নদীর কানেকটিভিটি বাড়ানো যায় আমরা তো সেটা চাইব।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় এজেন্ডায় যা যা থাকার সবই আছে। ট্রেড আছে, কানেকটিভিটি আছে, কমার্স সেক্টর কো-অপারেশন, ওয়াটার কানেকটিভিটি আলোচনায় থাকবে। তিস্তা, কুশিয়ারা, ছয়টি অভিন্ন নদীর বিষয় এজেন্ডায় রয়েছে। আরও থাকছে আইসিটি, ফুড সিকিউরিটি, রিনিউয়েবল এনার্জি, ক্লাইমেট ইস্যুসহ নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জেসিসি বৈঠকে সাধারণত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সোমবারের বৈঠকেও বাণিজ্য, পানি, জলবিদ্যুৎ, জ্বালানি, সীমান্তসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে নতুন এজেন্ডা খাদ্য নিরাপত্তা তথা ভারত থেকে গম আমদানির বিষয়ে গুরুত্বসহ আলোচনা হবে। সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার কারণে ভারত বাণিজ্যিকভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করেছে। এতে সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এই বৈঠকে সরকারি পর্যায়ে গম আমদানির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ আলোচনা করবে। বাংলাদেশ কী পরিমাণ গম আমদানি করতে চায় তার চাহিদা ভারতকে জানাবে।
দিল্লির কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে আবহাওয়ার কারণে আগামী ফসল খারাপ হতে পারে। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রতিবেশীর ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন গুয়াহাটি থেকে দিল্লি যাবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. মোমেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জেসিসি বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চাইবে। এছাড়া সম্প্রতি কয়েকজন রোহিঙ্গা ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ নোট ভারবালে (কূটনৈতিকপত্র) ভারতের কাছে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাইয়ে ভারত সফরে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সফরের আগে এ বৈঠকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ার করুন
উম্মুল ওয়ারা সুইটি | ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০

‘নদী সম্মেলন’ ও জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দিতে ভারত গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আজ ও কাল দুদিন দেশটির আসামের গুয়াহাটিতে নদী সম্মেলন হবে। এ বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর যোগ দেবেন।
নদী সম্মেলনের পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আগামী সোমবার হবে জেসিসি বৈঠক। এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ভারতের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নদী সম্মেলনে এবং জেসিসি দুটিতেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা। ফলে সংশ্লিষ্ট ইস্যুর বাইরে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে গমসহ ভোগ্যপণ্য আমদানির বিষয় এবং ভারতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনা এবং ভারত থেকে দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নদী সম্মেলন’ মানেই ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হবেই। তবে তিস্তা নিয়ে বা কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে না এ সম্মেলন থেকে।
ওই কর্মকর্তা জানান, আজ শনিবার ও কাল রবিবার আসামের গুয়াহাটিতে এ সম্মেলনে থাকবেন ভারত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রতিবেশী কিছু দেশের প্রতিনিধিরাও। এই প্রথম বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজধানীর বাইরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কোনো একটি রাজ্যে বৈঠক করছেন।
দুই দেশের দুটি গবেষণা সংস্থা-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ এবং এশিয়ান কনফ্লোয়েন্স যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং ভারতে নিযুক্ত বিমসটেক দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরাও সম্মেলনে আমন্ত্রিত। গুয়াহাটিতে সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যেও সৌজন্য বৈঠক হবে। জানা গেছে, গুয়াহাটিতে ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ ফরম্যাটের আয়োজনে দুই দেশের এজেন্ডাভিত্তিক কোনো আলোচনা হবে না। তবে সাইডলাইনে হয়তো উভয়পক্ষ পানিসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে। গুয়াহাটির বৈঠকে শুধু তিস্তা নয়, মনু, ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই ও মুহুরী নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সিলেট সীমান্তে কুশিয়ারা নদী থেকে বাংলাদেশ যাতে পানি তুলতে পারে সেটিও আলোচনায় থাকবে। আগামী জুনে ঢাকায় জয়েন্ট রিভার কমিশন (জেআরসি) বৈঠকে নদী সম্মেলনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দেশ রূপান্তরকে গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘দুই দেশের অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনা, নদী কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কীভাবে নদীর কানেকটিভিটি বাড়ানো যায় আমরা তো সেটা চাইব।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় এজেন্ডায় যা যা থাকার সবই আছে। ট্রেড আছে, কানেকটিভিটি আছে, কমার্স সেক্টর কো-অপারেশন, ওয়াটার কানেকটিভিটি আলোচনায় থাকবে। তিস্তা, কুশিয়ারা, ছয়টি অভিন্ন নদীর বিষয় এজেন্ডায় রয়েছে। আরও থাকছে আইসিটি, ফুড সিকিউরিটি, রিনিউয়েবল এনার্জি, ক্লাইমেট ইস্যুসহ নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জেসিসি বৈঠকে সাধারণত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সোমবারের বৈঠকেও বাণিজ্য, পানি, জলবিদ্যুৎ, জ্বালানি, সীমান্তসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে নতুন এজেন্ডা খাদ্য নিরাপত্তা তথা ভারত থেকে গম আমদানির বিষয়ে গুরুত্বসহ আলোচনা হবে। সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার কারণে ভারত বাণিজ্যিকভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করেছে। এতে সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এই বৈঠকে সরকারি পর্যায়ে গম আমদানির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ আলোচনা করবে। বাংলাদেশ কী পরিমাণ গম আমদানি করতে চায় তার চাহিদা ভারতকে জানাবে।
দিল্লির কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে আবহাওয়ার কারণে আগামী ফসল খারাপ হতে পারে। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রতিবেশীর ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন গুয়াহাটি থেকে দিল্লি যাবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. মোমেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জেসিসি বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চাইবে। এছাড়া সম্প্রতি কয়েকজন রোহিঙ্গা ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ নোট ভারবালে (কূটনৈতিকপত্র) ভারতের কাছে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাইয়ে ভারত সফরে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সফরের আগে এ বৈঠকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।