‘ব্যর্থ পথেই’ হাঁটছে খাদ্য মন্ত্রণালয়
বেসরকারিভাবে চাল আমদানি
আশরাফুল হক | ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০
চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি (এফপিএমসি)। গতকাল সোমবার এফপিএমসির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এফপিএমসির চাল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব আকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্কহার কমিয়ে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হয়েছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। ওই সময় ১৮ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আমদানি হয়েছিল মাত্র ৩ লাখ টন। প্রায় সাড়ে চারশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির আবেদন করেছিল। সবাইকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আমদানি করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের শেষ দিকে এবং ২০২১ সালের শুরুতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বেসরকারিভাবে চাল আমদানি শুল্ক আগের ৬২ দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। বৈধ আমদানিকারকরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে নীতিমালার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের চাল আমদানির অনুমতি দেয়। আবেদনে সাড়া পাওয়া গেলেও গত বছর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে ততটা উৎসাহী ছিলেন না। ওই বছরও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সুপারিশ করেছিল এফপিএমসি। এবারও এফপিএমসি একই সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পরও এফপিএমসি কেন একই সুপারিশ করল জানতে চাইলে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি। বিষয়টি এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়েই রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে তখন এর ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে। প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুমও বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তিনি বিষয়টি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এফপিএমইউ হচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা অধিদপ্তর। আর এফপিএমসি হচ্ছে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি। গুরুত্বপূর্ণ এ কমিটিতে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী সদস্য। তারা বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারকে সুপারিশ করেন।
গতকাল এফপিএমসির বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নেন।
এফপিএমসির বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সিদ্ধ চালের রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ৯২ ডলার বেড়েছে। তবে ভারতীয় সিদ্ধ চালের রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ৩ ডলার হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে ইউক্রেনের গমের রপ্তানিমূল্য ১৬৬ ডলার ও রাশিয়ার গমের রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ১৮৮ ডলার বেড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, সরকারের সংগ্রহে যে খাদ্যশস্য বিশেষ করে চাল ও গম রয়েছে তা পর্যাপ্ত বলে তারা মনে করেন। গত ১ জুন সরকারের সংগ্রহে চাল ও গম ছিল ১২ লাখ ৭৫ হাজার টন। গত বছর এই দিনে মজুদ ছিল ৯ লাখ ৫৪ হাজার টন। ২০২০ সালের একই দিনে এ মজুদ ছিল ১১ লাখ ৩৯ হাজার টন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য থেকে জানা যায়, আগের সপ্তাহে সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। মাঝারি চালের দাম ৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং মোটা চালের গড় দাম ৪ টাকা ৪৪ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। গত ২ জুন খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। এর আগে ২৬ মে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ সালে সরকারিভাবে চাল আমদানি হয়নি। পরের বছর ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার টন। গত ১ জুন পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টন। বেসরকারিভাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৬ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। গত ১ জুন পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার টন।
এদিকে বৈঠকের আগে খাদ্য অধিদপ্তর খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চালের আমদানি শুল্ক হ্রাস করার সুপারিশ করেছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আগাম বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বোরো-পরবর্তী সময়ে চালের মূল্য অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
গতকাল এফপিএমসির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাল শুল্কমুক্তভাবে যেন আনা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এতে কৃষক, বাজার ও সংশ্লিষ্ট অন্যরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
চলমান অভিযান নিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, অভিযানের সুফল ভোক্তা পেতে শুরু করেছে। বেসরকারিভাবে আমদানি হলেও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শেয়ার করুন
বেসরকারিভাবে চাল আমদানি
আশরাফুল হক | ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০

চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি (এফপিএমসি)। গতকাল সোমবার এফপিএমসির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এফপিএমসির চাল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব আকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্কহার কমিয়ে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হয়েছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। ওই সময় ১৮ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আমদানি হয়েছিল মাত্র ৩ লাখ টন। প্রায় সাড়ে চারশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির আবেদন করেছিল। সবাইকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আমদানি করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের শেষ দিকে এবং ২০২১ সালের শুরুতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বেসরকারিভাবে চাল আমদানি শুল্ক আগের ৬২ দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। বৈধ আমদানিকারকরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে নীতিমালার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে খাদ্য মন্ত্রণালয় তাদের চাল আমদানির অনুমতি দেয়। আবেদনে সাড়া পাওয়া গেলেও গত বছর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে ততটা উৎসাহী ছিলেন না। ওই বছরও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সুপারিশ করেছিল এফপিএমসি। এবারও এফপিএমসি একই সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পরও এফপিএমসি কেন একই সুপারিশ করল জানতে চাইলে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি। বিষয়টি এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়েই রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে তখন এর ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে। প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুমও বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তিনি বিষয়টি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এফপিএমইউ হচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা অধিদপ্তর। আর এফপিএমসি হচ্ছে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি। গুরুত্বপূর্ণ এ কমিটিতে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী সদস্য। তারা বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারকে সুপারিশ করেন।
গতকাল এফপিএমসির বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নেন।
এফপিএমসির বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সিদ্ধ চালের রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ৯২ ডলার বেড়েছে। তবে ভারতীয় সিদ্ধ চালের রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ৩ ডলার হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে ইউক্রেনের গমের রপ্তানিমূল্য ১৬৬ ডলার ও রাশিয়ার গমের রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ১৮৮ ডলার বেড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, সরকারের সংগ্রহে যে খাদ্যশস্য বিশেষ করে চাল ও গম রয়েছে তা পর্যাপ্ত বলে তারা মনে করেন। গত ১ জুন সরকারের সংগ্রহে চাল ও গম ছিল ১২ লাখ ৭৫ হাজার টন। গত বছর এই দিনে মজুদ ছিল ৯ লাখ ৫৪ হাজার টন। ২০২০ সালের একই দিনে এ মজুদ ছিল ১১ লাখ ৩৯ হাজার টন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য থেকে জানা যায়, আগের সপ্তাহে সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। মাঝারি চালের দাম ৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং মোটা চালের গড় দাম ৪ টাকা ৪৪ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। গত ২ জুন খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। এর আগে ২৬ মে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ সালে সরকারিভাবে চাল আমদানি হয়নি। পরের বছর ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার টন। গত ১ জুন পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টন। বেসরকারিভাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৬ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। গত ১ জুন পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার টন।
এদিকে বৈঠকের আগে খাদ্য অধিদপ্তর খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চালের আমদানি শুল্ক হ্রাস করার সুপারিশ করেছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আগাম বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বোরো-পরবর্তী সময়ে চালের মূল্য অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
গতকাল এফপিএমসির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাল শুল্কমুক্তভাবে যেন আনা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এতে কৃষক, বাজার ও সংশ্লিষ্ট অন্যরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
চলমান অভিযান নিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, অভিযানের সুফল ভোক্তা পেতে শুরু করেছে। বেসরকারিভাবে আমদানি হলেও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।