৯৯৯-এ ফোন করে খাবার পেল তিন দিনের অভুক্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম চাটিবহর কোনাগাঁও গ্রামের ৩২টি পরিবারের সদস্যরা ছিলেন টানা তিন দিন ধরে অভুক্ত। বন্যা শুরুর পর আটকা পড়েন তারা। নিজেদের যা খাবার ছিল দুদিনেই ফুরিয়ে যায় সব। এরপর থেকে তারা পড়েন চরম খাবার সংকটে। অনাহারে একে একে কাটে তিন দিন। গত মঙ্গলবার প্রায় অসহ্য ক্ষুধার তাড়নায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ওই গ্রামের এক নারী হনুফা বেগম। সেই কলে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমানকে। পুলিশের এ কর্মকর্তা পরে হনুফার থেকে জানেন তাদের অবস্থান ও আটকে পড়াদের সংখ্যা। পরে রাতেই ৩২ পরিবারের সদস্যদের জন্য শুকনো খাবারসহ জরুরি কিছু জিনিস পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হনুফা জানান, গত বুধবার থেকে বন্যা শুরু হলে পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় গত শুক্রবার থেকে তাদের গ্রামের ৩২টি পরিবার বন্যার পানিতে আটকে পড়ে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। কূল-কিনারা না পেয়ে গ্রামের পাশে থাকা বড় বড় কয়েকটি বালুবাহী স্টিলের নৌকায় আশ্রয় নেয়। মোবাইল নেটওয়ার্কও অকার্যকর হয়ে পড়ে। একসময় খাবারের মজুদও শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় টানা তিন দিন তাদের অভুক্ত থাকতে হয়। পরে তিনি একজনের পরামর্শে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোন পেয়ে রাতেই পুলিশ সদস্যরা তাদের শুকনো খাবার তুলে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুর রহমান বলেন, গ্রামটি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অধীন হলেও এর অবস্থান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। রাতের অন্ধকারে বন্যার পানি পাড়ি দিয়ে অভুক্ত পরিবারগুলোর কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে মনে একটা শান্তিভাব এসেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যরা এভাবে ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম চাটিবহর কোনাগাঁও গ্রামের ৩২টি পরিবারের সদস্যরা ছিলেন টানা তিন দিন ধরে অভুক্ত। বন্যা শুরুর পর আটকা পড়েন তারা। নিজেদের যা খাবার ছিল দুদিনেই ফুরিয়ে যায় সব। এরপর থেকে তারা পড়েন চরম খাবার সংকটে। অনাহারে একে একে কাটে তিন দিন। গত মঙ্গলবার প্রায় অসহ্য ক্ষুধার তাড়নায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ওই গ্রামের এক নারী হনুফা বেগম। সেই কলে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমানকে। পুলিশের এ কর্মকর্তা পরে হনুফার থেকে জানেন তাদের অবস্থান ও আটকে পড়াদের সংখ্যা। পরে রাতেই ৩২ পরিবারের সদস্যদের জন্য শুকনো খাবারসহ জরুরি কিছু জিনিস পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হনুফা জানান, গত বুধবার থেকে বন্যা শুরু হলে পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় গত শুক্রবার থেকে তাদের গ্রামের ৩২টি পরিবার বন্যার পানিতে আটকে পড়ে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। কূল-কিনারা না পেয়ে গ্রামের পাশে থাকা বড় বড় কয়েকটি বালুবাহী স্টিলের নৌকায় আশ্রয় নেয়। মোবাইল নেটওয়ার্কও অকার্যকর হয়ে পড়ে। একসময় খাবারের মজুদও শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় টানা তিন দিন তাদের অভুক্ত থাকতে হয়। পরে তিনি একজনের পরামর্শে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোন পেয়ে রাতেই পুলিশ সদস্যরা তাদের শুকনো খাবার তুলে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুর রহমান বলেন, গ্রামটি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অধীন হলেও এর অবস্থান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। রাতের অন্ধকারে বন্যার পানি পাড়ি দিয়ে অভুক্ত পরিবারগুলোর কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে মনে একটা শান্তিভাব এসেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যরা এভাবে ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান।