বাসযোগ্য ১৭২ শহরের মধ্যে ঢাকা ১৬৬তম
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০
বাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানির দিক থেকে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২২ সালের সূচকে ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম। ১০০-ভিত্তিক সূচকে ঢাকার স্কোর এবার ৩৯ দশমিক ২। গত বছর স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৫। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে আগের বছরের চেয়ে এ তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছে ঢাকা। ২০২১ সালের সূচকে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৭তম। তালিকার একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক।
শহরের স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো এই পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাসযোগ্যতার তালিকা তৈরি করে থাকে ইআইইউ। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বাসযোগ্যতার সূচকে এ বছর ঢাকার স্কোর ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৯ দশমিক ২। আগের বছর প্রাপ্ত স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৬। করোনা মহামারীর সময় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার কারণে স্কোর বেড়েছে বলে ইআইইউ জানিয়েছে।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালে ইআইউর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পরের বছর তালিকায় শহরগুলোর অবস্থান ব্যাপক ওলটপালট হয়। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের মতো পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী শহরগুলোর সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার স্কোরকে প্রভাবিত করে। তবে মহামারীর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ২০২২ সালের সূচক অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বাসযোগ্য শহর হিসেবে রয়েছে শীর্ষস্থানে। লকডাউনের কারণে জাদুঘর ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে আগের বছর ইউরোপের এ শহরটির অবনমন হয়েছিল। ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও শীর্ষে ছিল ভিয়েনা। দ্বিতীয় হয়েছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং কানাডার ক্যালগারি। তার পরের অবস্থানটি কানাডার আরেক শহর ভ্যাংকুভারের। শীর্ষ ১০ শহরের ছয়টিই পশ্চিম ইউরোপের।
আগের বছর শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড এবার ৩৪তম স্থানে নেমে গেছে। মহামারীর বিধিনিষেধের কারণে শহরটির এই ছিটকে পড়া বলে জানিয়েছে ইআইইউ।
তালিকায় তলানির দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস (স্কোর ৩২.২)। আর ৩৪.২ স্কোর নিয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির অবস্থান তলানির দিক থেকে তৃতীয়। রাশিয়া হামলা করায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে তালিকায় রাখা হয়নি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০

বাসযোগ্য শহরের তালিকায় তলানির দিক থেকে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২২ সালের সূচকে ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম। ১০০-ভিত্তিক সূচকে ঢাকার স্কোর এবার ৩৯ দশমিক ২। গত বছর স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৫। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে আগের বছরের চেয়ে এ তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছে ঢাকা। ২০২১ সালের সূচকে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৭তম। তালিকার একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক।
শহরের স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো এই পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাসযোগ্যতার তালিকা তৈরি করে থাকে ইআইইউ। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বাসযোগ্যতার সূচকে এ বছর ঢাকার স্কোর ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৯ দশমিক ২। আগের বছর প্রাপ্ত স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৬। করোনা মহামারীর সময় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার কারণে স্কোর বেড়েছে বলে ইআইইউ জানিয়েছে।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালে ইআইউর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পরের বছর তালিকায় শহরগুলোর অবস্থান ব্যাপক ওলটপালট হয়। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের মতো পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী শহরগুলোর সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার স্কোরকে প্রভাবিত করে। তবে মহামারীর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ২০২২ সালের সূচক অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বাসযোগ্য শহর হিসেবে রয়েছে শীর্ষস্থানে। লকডাউনের কারণে জাদুঘর ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে আগের বছর ইউরোপের এ শহরটির অবনমন হয়েছিল। ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও শীর্ষে ছিল ভিয়েনা। দ্বিতীয় হয়েছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং কানাডার ক্যালগারি। তার পরের অবস্থানটি কানাডার আরেক শহর ভ্যাংকুভারের। শীর্ষ ১০ শহরের ছয়টিই পশ্চিম ইউরোপের।
আগের বছর শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড এবার ৩৪তম স্থানে নেমে গেছে। মহামারীর বিধিনিষেধের কারণে শহরটির এই ছিটকে পড়া বলে জানিয়েছে ইআইইউ।
তালিকায় তলানির দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস (স্কোর ৩২.২)। আর ৩৪.২ স্কোর নিয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির অবস্থান তলানির দিক থেকে তৃতীয়। রাশিয়া হামলা করায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে তালিকায় রাখা হয়নি।