ঢাকায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বাইরে
প্রতীক ইজাজ | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে রোগী সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকায়। গত ১৫ দিনে মোট রোগীর ৯১ শতাংশই ছিল রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় এবং ৯৩ শতাংশ রোগী ছিল ঢাকা বিভাগের। এখানে সংক্রমণের বর্তমান হার ১৬ শতাংশের ওপরে। সে হিসাবে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ২ জন করোনায় আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ২৪৩টি। তার মধ্যে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৩ জন। সে হিসাবে শনাক্ত হার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশ। গত ১৫ দিনে দেশে শনাক্ত ৬ হাজার ৭১৬ জন রোগীর মধ্যে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় ৬ হাজার ১২৬ ও ঢাকা বিভাগে ৬ হাজার ২৫৬ জন।
এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১ হাজার ১৬৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, তাদের মধ্যে ৮৭৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এ সময় যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে সংক্রমণের হার। সে হিসাবে ঢাকায় মানুষের ঘনত্ব বেশি, রোগীও বেশি। তবে ঢাকায় বেশি হলেই যে শুধু সংক্রমণ ঢাকাতেই থাকবে, সে নিশ্চয়তা নেই। সংক্রমণ আস্তে আস্তে ঢাকার বাইরে ছড়াবে। যেহেতু আন্তঃজেলা ভ্রমণে আমরা কেউ মাস্ক পরি না। ছড়াতে ছড়াতে গ্রামাঞ্চলেও নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ২১৪টি, তার মধ্যে ঢাকায় ৭ হাজার ২৪৩টি। ঢাকায় রোগী বেশি, পরীক্ষাও বেশি। এখানে ১৬ শতাংশের ওপরে সংক্রমণ। এরপর চট্টগ্রামে রোগী বেশি। সেখানে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৬৯টি, তার মধ্যে ৬৯ জন পজিটিভ। অর্থাৎ সংক্রমণ হার ৭ শতাংশ।’
এ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এখন ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। আস্তে আস্তে ঢাকার বাইরে যাবে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬৫টি, ১৬ জন শনাক্ত হয়েছে। রংপুরে নমুনা পরীক্ষা করেছে ২০টি, তার মধ্যে দুটি পজিটিভ; খুলনায় নমুনা পরীক্ষা করেছে ৭২টি, তার মধ্যে ৬টি পজিটিভ; বরিশালে ৪৫টি নমুনার মধ্যে ৯টি পজিটিভ। শুধু সিলেট বিভাগে আজ (গতকাল) কোনো রোগী নেই। এতেই বোঝা যাচ্ছে ঢাকার বাইরেও সংক্রমণ বাড়ছে।’
ঢাকায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ : করোনা শুরুর পর থেকেই ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। এ মাসের শুরু থেকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকায়ও সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ সংক্রমণ চলছে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় ও ঢাকা বিভাগে। গত ১৫ দিনের দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৭১৬ জন। তার মধ্যে ঢাকা জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ১২৬ জন, যা মোট রোগীর ৯১ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৫৬ জন, যা ১৫ দিনের মোট রোগীর ৯৩ শতাংশ।
ঢাকার পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ চট্টগ্রাম বিভাগে। এখানে গত ১৫ দিনে মোট শনাক্ত হয়েছে ৩২০ জন। এরপর রাজশাহীতে ৫১, বরিশাল বিভাগে ৩২, খুলনায় ২৯ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন। সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে রংপুর বিভাগে ৪ ও সিলেট বিভাগে ৯ জন।
ঢাকার বাইরে সংক্রমণ বাড়ছে : গত ১৫ দিনের করোনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরে ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়ছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায় ১৯০, বরিশালে ১১৭ ও কক্সবাজারে ৯৮ জন। এরপর নারায়ণগঞ্জে ৩৫, গাজীপুরে ৩০, কুমিল্লায় ১৪, পাবনায় ১৩, বগুড়ায় ১২, রাজশাহী ও নরসিংদীতে ১১ জন করে, কুষ্টিয়া ও খুলনায় ৯ জন করে, সিলেট ও জয়পুরহাটে ৮ জন করে, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে ৭ জন করে, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলে ৬ জন করে এবং চাঁদপুর ও যশোর জেলায় ৫ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
৪ মাস পর সর্বোচ্চ শনাক্ত হার : ৪ মাস ৯ দিন পর দেশে আবার করোনায় শনাক্তের হার বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর আগে এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হার ছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত বুধবার এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত এক দিনে ১ হাজার ৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ও করোনায় মারা গেছে আরও একজন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জন ও মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১।
সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ দুটি : ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘এখন সংক্রমণ বেশি হওয়ার মূল কারণ আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ও দেশের ভেতর ইনডোর প্রোগ্রাম। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বাইরে থেকে সংক্রমণ দেশে আসছে। ইনডোর প্রোগ্রাম থেকে ছড়াচ্ছে কারণ এখানে কেউ মাস্ক পরি না, স্বাস্থ্যবিধি মানি না। এসব ক্ষেত্রে মাস্ক পরাটা জরুরি।’
এ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখন উচিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে সহযোগিতা করা। সচেতন করার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করা উচিত। এখনো লাখ লাখ মানুষ খুদেবার্তা পাওয়ার পরও করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। টিকা নিলে সংক্রমণ হবে না, এমন নিশ্চয়তা কেউ দেয় না। তাই টিকা নিতে হবে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলে যেকোনো করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’
শেয়ার করুন
প্রতীক ইজাজ | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০

দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে রোগী সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকায়। গত ১৫ দিনে মোট রোগীর ৯১ শতাংশই ছিল রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় এবং ৯৩ শতাংশ রোগী ছিল ঢাকা বিভাগের। এখানে সংক্রমণের বর্তমান হার ১৬ শতাংশের ওপরে। সে হিসাবে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ২ জন করোনায় আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ২৪৩টি। তার মধ্যে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৩ জন। সে হিসাবে শনাক্ত হার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশ। গত ১৫ দিনে দেশে শনাক্ত ৬ হাজার ৭১৬ জন রোগীর মধ্যে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় ৬ হাজার ১২৬ ও ঢাকা বিভাগে ৬ হাজার ২৫৬ জন।
এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১ হাজার ১৬৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, তাদের মধ্যে ৮৭৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এ সময় যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে সংক্রমণের হার। সে হিসাবে ঢাকায় মানুষের ঘনত্ব বেশি, রোগীও বেশি। তবে ঢাকায় বেশি হলেই যে শুধু সংক্রমণ ঢাকাতেই থাকবে, সে নিশ্চয়তা নেই। সংক্রমণ আস্তে আস্তে ঢাকার বাইরে ছড়াবে। যেহেতু আন্তঃজেলা ভ্রমণে আমরা কেউ মাস্ক পরি না। ছড়াতে ছড়াতে গ্রামাঞ্চলেও নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ২১৪টি, তার মধ্যে ঢাকায় ৭ হাজার ২৪৩টি। ঢাকায় রোগী বেশি, পরীক্ষাও বেশি। এখানে ১৬ শতাংশের ওপরে সংক্রমণ। এরপর চট্টগ্রামে রোগী বেশি। সেখানে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৬৯টি, তার মধ্যে ৬৯ জন পজিটিভ। অর্থাৎ সংক্রমণ হার ৭ শতাংশ।’
এ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এখন ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। আস্তে আস্তে ঢাকার বাইরে যাবে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬৫টি, ১৬ জন শনাক্ত হয়েছে। রংপুরে নমুনা পরীক্ষা করেছে ২০টি, তার মধ্যে দুটি পজিটিভ; খুলনায় নমুনা পরীক্ষা করেছে ৭২টি, তার মধ্যে ৬টি পজিটিভ; বরিশালে ৪৫টি নমুনার মধ্যে ৯টি পজিটিভ। শুধু সিলেট বিভাগে আজ (গতকাল) কোনো রোগী নেই। এতেই বোঝা যাচ্ছে ঢাকার বাইরেও সংক্রমণ বাড়ছে।’
ঢাকায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ : করোনা শুরুর পর থেকেই ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। এ মাসের শুরু থেকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকায়ও সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ সংক্রমণ চলছে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় ও ঢাকা বিভাগে। গত ১৫ দিনের দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৭১৬ জন। তার মধ্যে ঢাকা জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ১২৬ জন, যা মোট রোগীর ৯১ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৫৬ জন, যা ১৫ দিনের মোট রোগীর ৯৩ শতাংশ।
ঢাকার পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ চট্টগ্রাম বিভাগে। এখানে গত ১৫ দিনে মোট শনাক্ত হয়েছে ৩২০ জন। এরপর রাজশাহীতে ৫১, বরিশাল বিভাগে ৩২, খুলনায় ২৯ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন। সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে রংপুর বিভাগে ৪ ও সিলেট বিভাগে ৯ জন।
ঢাকার বাইরে সংক্রমণ বাড়ছে : গত ১৫ দিনের করোনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরে ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়ছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায় ১৯০, বরিশালে ১১৭ ও কক্সবাজারে ৯৮ জন। এরপর নারায়ণগঞ্জে ৩৫, গাজীপুরে ৩০, কুমিল্লায় ১৪, পাবনায় ১৩, বগুড়ায় ১২, রাজশাহী ও নরসিংদীতে ১১ জন করে, কুষ্টিয়া ও খুলনায় ৯ জন করে, সিলেট ও জয়পুরহাটে ৮ জন করে, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে ৭ জন করে, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলে ৬ জন করে এবং চাঁদপুর ও যশোর জেলায় ৫ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
৪ মাস পর সর্বোচ্চ শনাক্ত হার : ৪ মাস ৯ দিন পর দেশে আবার করোনায় শনাক্তের হার বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর আগে এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হার ছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত বুধবার এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত এক দিনে ১ হাজার ৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ও করোনায় মারা গেছে আরও একজন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জন ও মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১।
সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ দুটি : ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘এখন সংক্রমণ বেশি হওয়ার মূল কারণ আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ও দেশের ভেতর ইনডোর প্রোগ্রাম। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বাইরে থেকে সংক্রমণ দেশে আসছে। ইনডোর প্রোগ্রাম থেকে ছড়াচ্ছে কারণ এখানে কেউ মাস্ক পরি না, স্বাস্থ্যবিধি মানি না। এসব ক্ষেত্রে মাস্ক পরাটা জরুরি।’
এ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখন উচিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে সহযোগিতা করা। সচেতন করার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করা উচিত। এখনো লাখ লাখ মানুষ খুদেবার্তা পাওয়ার পরও করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। টিকা নিলে সংক্রমণ হবে না, এমন নিশ্চয়তা কেউ দেয় না। তাই টিকা নিতে হবে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলে যেকোনো করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’