রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভের সময় তাকে আটক করা হয়। রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কাকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করে। শুক্রবার এ কর্মসূচি পালনের সময়ই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দিল্লিতে। প্রেসিডেন্ট ভবনের উদ্দেশে পদযাত্রার সময় আটক করা হয় রাহুল গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। এমনকি দলীয় সংসদ সদস্যদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বেকারত্ব সমস্যা, জিএসটি বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধির মতো একাধিক ইস্যুর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গতকাল দিল্লির রাজপথে নামে কংগ্রেস। পার্লামেন্ট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত এ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে কালো পোশাক পরে রাস্তায় নামতেই শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বহু কংগ্রেস নেতা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। পরে প্রিয়াঙ্কাকেও আটক করে পুলিশ।
এছাড়া সংসদ ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজয়চকের কাছে আসতে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ। রাহুল গান্ধী ছাড়াও পি চিদম্বরম, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, রাজীব শুক্লার মতো কংগ্রেস নেতৃত্ব এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরও আটক করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কোনো অনুমতি না নিয়েই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। আর সে কারণেই মাঝপথে মিছিলে বাধা দেওয়া হয়।
মূলত গতকাল সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেস কর্মীরা দিল্লিতে জড়ো হতে থাকেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। দিল্লির সীমানা এলাকাগুলোতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছিল। এছাড়া কংগ্রেস সদর দপ্তরের সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল আধা সামরিক বাহিনী।
তবে সব উপেক্ষা করেই কংগ্রেস কর্মীরা এদিন পথে নামেন। মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা দলের সদর দপ্তরের সামনেই কাঠের জ্বালানিতে রান্না করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন। যুব কংগ্রেস কর্মীরাও দলের সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভে বাধা দিতে গেলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশের হাতে বহু কংগ্রেস নেতাকর্মী আটক হন।
মিছিল শুরুর আগে সাংবাদিকদের রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশে গত ৭০ বছরে যা যা তৈরি হয়েছে, এই আট বছরে তা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। আমাদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয় না, কারণে-অকারণে গ্রেপ্তার করা হয়।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভের সময় তাকে আটক করা হয়। রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কাকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করে। শুক্রবার এ কর্মসূচি পালনের সময়ই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দিল্লিতে। প্রেসিডেন্ট ভবনের উদ্দেশে পদযাত্রার সময় আটক করা হয় রাহুল গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। এমনকি দলীয় সংসদ সদস্যদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বেকারত্ব সমস্যা, জিএসটি বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধির মতো একাধিক ইস্যুর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গতকাল দিল্লির রাজপথে নামে কংগ্রেস। পার্লামেন্ট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত এ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে কালো পোশাক পরে রাস্তায় নামতেই শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বহু কংগ্রেস নেতা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। পরে প্রিয়াঙ্কাকেও আটক করে পুলিশ।
এছাড়া সংসদ ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজয়চকের কাছে আসতে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ। রাহুল গান্ধী ছাড়াও পি চিদম্বরম, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, রাজীব শুক্লার মতো কংগ্রেস নেতৃত্ব এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরও আটক করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কোনো অনুমতি না নিয়েই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। আর সে কারণেই মাঝপথে মিছিলে বাধা দেওয়া হয়।
মূলত গতকাল সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেস কর্মীরা দিল্লিতে জড়ো হতে থাকেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। দিল্লির সীমানা এলাকাগুলোতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছিল। এছাড়া কংগ্রেস সদর দপ্তরের সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল আধা সামরিক বাহিনী।
তবে সব উপেক্ষা করেই কংগ্রেস কর্মীরা এদিন পথে নামেন। মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা দলের সদর দপ্তরের সামনেই কাঠের জ্বালানিতে রান্না করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন। যুব কংগ্রেস কর্মীরাও দলের সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভে বাধা দিতে গেলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশের হাতে বহু কংগ্রেস নেতাকর্মী আটক হন।
মিছিল শুরুর আগে সাংবাদিকদের রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশে গত ৭০ বছরে যা যা তৈরি হয়েছে, এই আট বছরে তা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। আমাদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয় না, কারণে-অকারণে গ্রেপ্তার করা হয়।’