শরীর উষ্ণ রাখে যেসব খাবার
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫২
সামনেই অপেক্ষা করছে হিম বাতাসের শৈত্যপ্রবাহ। এসময় শরীর উষ্ণ আর সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর আর ডায়েটসম্মত খাবার ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের কর্কশ আবহাওয়ায় সুষম খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
শীতকালীন শাক-সবজি যেমন- গাজর, বিটরুট, মুলা, ডালিম এগুলো খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এগুলো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে-
ওটমিল: এতে আঁশ এবং প্রোটিন রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বাটি ওটমিল খেলে হার্ট সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো যায়। সবজির সঙ্গে মসলাযুক্ত এক বাটি ওটস স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুটোই ঠিক রাখে।
গ্রিন টি: সাধারণ চায়ের তুলনায় গ্রিনটি বেশি স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। গ্রিন টি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির মতো শীতকালীন রোগবালাই প্রতিরোধ করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। এতে অন্যান্য চায়ের মতো ক্যাফেইনও বিদ্যমান। প্রতিদিন তিন কাপের বেশি গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে, আবার বিকেলে এক কাপ পান করা যেতে পারে। এতে হজমক্রিয়ায় বাড়ায়।
মধু: প্রতিদিন মধু খেলে রোগপ্রতিরোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে সাহায্য করে। মধুতে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম নেই। যেকেউ খাদ্যতালিকায় মধু রাখতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস, মধু পান করুন। মেদ ঝরতে সাহায্য করবে।
বীজ জাতীয় শস্যের মিশ্রণ: যারা পরিশ্রমের কাজ করেন যেমন- ড্রাইভিং, লেখাপড়া, রান্নাবান্না অথবা শপিং করে থাকেন তাদের জন্য এক মুঠো বাদাম এবং শস্যবীজ ভালো স্ন্যাকস হতে পারে। বাদাম, বীজ, ক্যাশউ, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, কাজু বাদাম, আখরোট এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রোটিন এবং আঁশসমৃদ্ধ এই খাবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পেট ভরা রাখবে।
শীতে সুস্থ এবং উষ্ণ থাকতে চাইলে আজই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো যুক্ত করুন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫২

সামনেই অপেক্ষা করছে হিম বাতাসের শৈত্যপ্রবাহ। এসময় শরীর উষ্ণ আর সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর আর ডায়েটসম্মত খাবার ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের কর্কশ আবহাওয়ায় সুষম খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
শীতকালীন শাক-সবজি যেমন- গাজর, বিটরুট, মুলা, ডালিম এগুলো খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এগুলো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে-
ওটমিল: এতে আঁশ এবং প্রোটিন রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বাটি ওটমিল খেলে হার্ট সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো যায়। সবজির সঙ্গে মসলাযুক্ত এক বাটি ওটস স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুটোই ঠিক রাখে।
গ্রিন টি: সাধারণ চায়ের তুলনায় গ্রিনটি বেশি স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। গ্রিন টি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির মতো শীতকালীন রোগবালাই প্রতিরোধ করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। এতে অন্যান্য চায়ের মতো ক্যাফেইনও বিদ্যমান। প্রতিদিন তিন কাপের বেশি গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে, আবার বিকেলে এক কাপ পান করা যেতে পারে। এতে হজমক্রিয়ায় বাড়ায়।
মধু: প্রতিদিন মধু খেলে রোগপ্রতিরোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে সাহায্য করে। মধুতে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম নেই। যেকেউ খাদ্যতালিকায় মধু রাখতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস, মধু পান করুন। মেদ ঝরতে সাহায্য করবে।
বীজ জাতীয় শস্যের মিশ্রণ: যারা পরিশ্রমের কাজ করেন যেমন- ড্রাইভিং, লেখাপড়া, রান্নাবান্না অথবা শপিং করে থাকেন তাদের জন্য এক মুঠো বাদাম এবং শস্যবীজ ভালো স্ন্যাকস হতে পারে। বাদাম, বীজ, ক্যাশউ, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, কাজু বাদাম, আখরোট এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রোটিন এবং আঁশসমৃদ্ধ এই খাবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পেট ভরা রাখবে।
শীতে সুস্থ এবং উষ্ণ থাকতে চাইলে আজই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো যুক্ত করুন।