যশোর-৩ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দায়িত্ব পালনরত চার সাংবাদিকও আক্রান্ত হন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের মুড়লি এলাকায় নির্বাচনী তাঁবু উদ্বোধন করতে গেলে বিএনপি প্রার্থী হামলার শিকার হন।
সন্ত্রাসীরা এ সময় সংবাদকর্মীদের মারধর ও টিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার পর যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।
সময় টিভির যশোর প্রতিনিধি জুয়েল মৃধা জানান, বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বক্তব্য নিতে সাংবাদিকরা তার কাছে যান। এ সময় মুখবাধা একদল যুবক এসে গালিগালাজ করে এবং ক্যামেরাপারসন আজাদকে মারপিট করে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা প্রথম আলোর আলোকচিত্রী এহসান-উদ-দৌলা মিথুনকে ধাওয়া ও মারধর করে। হামলার শিকার হন স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজের আলোকচিত্রী মিলন।
প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী অমিত জানান, বিকেলে শহরের মুড়লি ক্লাব হাউসের কাছে নির্বাচনী তাঁবু উদ্বোধনের কথা ছিল। বিকেল চারটার দিকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁবুতে হামলা করেছে এমন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলের দিকে যান। সেখানে গেলে একজন ছুরি নিয়ে তার দিকে তেড়ে আসে। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে রক্ষা করেন।
বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সংবাদকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিএনপি প্রার্থী বলেন, এর আগে রিটার্নিং অফিসারকে পাঁচটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনো কাজ হয়নি।
ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামলার শিকার হয়েছেন বলে দেখতে পান। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনো জানা যায়নি।
নৌকার নির্বাচন পরিচালনাকারীদের অন্যতম প্রধান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথকে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
এর আগে দুপুরে সদর উপজেলার হালসা বাজারে অমিতের সভাস্থলে বোমা হামলা, চেয়ার ভাঙচুর ও মাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তারা সেখানে বিএনপির ৮-১০ কর্মীকে মারধর করে; যাদের পাঁচজনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বোমা হামলা হয়েছে ঝিকরগাছায়ও।