ভোলা-৩ আসনের লালমোহন উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দলের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া দিন ভর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৪ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে লালমোহন উপজেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
শনিবার বিকেল ৩টা থেকে উপজেলার লাঙ্গলখালী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসার সামনে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুইটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া ভোলা-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সকালে ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে তার নির্বাচনী এলাকায় এলে দিন ভর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে চ্যানেল আই’র ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং চ্যানেলের স্টাফ রিপোর্টার এমদাদ হোসেনসহ ৪ সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে লালমোহন উপজেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মেজর হাফিজ তার নির্বাচনী এলাকায় এসেই নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, "সকালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তজুমদ্দিন উপজেলায় নৌকার কর্মীদের ওপর মেজর হাফিজ গাড়ি উঠিয়ে দেয়। এতে সেখানে ৫ জন আহত হয়।
অপর দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় শনিবার সকালে মেজর হাফিজ তার নির্বাচনী এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের লোকজন তার গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে। দুপুরে লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালী এলাকায় মেজর হাফিজের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগে কর্মীরা।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছে। তবে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।