দারুণ শুরুর পরও হঠাৎ বিপর্যয় নেমে এসেছিল দলের। সেখান থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে উত্তরাঞ্চলকে লড়াইয়ে ফেরার মঞ্চ তৈরি করেন আরিফুল হক। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু মাত্র ২ দুই রানের জন্য হাতছাড়া করেছেন সেঞ্চুরি।
সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তার সেঞ্চুরির মিসের দিনটি অবশ্য নিজের করে নেন আব্দুর রাজ্জাক। আরিফুলের উইকেটটি সহ শিকার করেন ইনিংসে ৭ উইকেট।
রাজ্জাকের দাপট দেখানো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রান করেছে উত্তরাঞ্চল। বিপরীতে দক্ষিণাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংস শুরু করে প্রথম দিনের খেলা শেষে করেছে ১ উইকেটে ২১।
ভালো শুরুর পরও এদিন রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে পথ হারায় উত্তরাঞ্চল। ১ উইকেটে ৬০ রান করলেও একপর্যায়ে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের পরিণত হয় দলটি।
সেখান থেকে উত্তরাঞ্চলকে ম্যাচে ফেরার আভাস দেন আরিফুল ও জিয়াউর রহমান জুটি। দুজন সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৩৫ রানের জুটি। ৬৯ রান করা জিয়াউর রহমানকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন নাহিদুল ইসলাম।
আরিফুল দক্ষিণাঞ্চলের বোলারদের নবম শিকার হন। রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরের বলেই রাজ্জাক এবাদতের উইকেট তুলে নিয়ে গুটিয়ে দেন উত্তরাঞ্চলের ইনিংস।
আরিফুল পুরো তিন ঘণ্টা ব্যাট করে ১৫১ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি খেলেন ৬ ছক্কা ও ৩ চারে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই একাদশে ছিলেন আরিফুল। ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে অবশ্য ছিলেন না। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টেই খেলেছেন।
সিলেটে টেস্ট অভিষেকে অন্যদের ব্যর্থতার মাঝে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এই ব্যাটার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮ টি সেঞ্চুরির রয়েছে তার।