বিক্রেতাকে সিগারেটের দাম মেটাননি লন্ডনের রানি ভিক্টোরিয়ার চতুর্থ মেয়ে প্রিন্সেস লুইজ। সম্প্রতি বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিগারেটের মূল্য পরিশোধ করার আগেই মারা যান ওই প্রিন্সেস।
চলতি বছরের শুরুতে প্রিন্সেস লুইজের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করে ন্যাশনাল আর্কাইভ ইন কেইউ। এই বিবরণী প্রকাশ করতে গিয়েই মূলত বের হয়ে আসে মাত্র ১৫ শিলিং বকেয়ার খবর। রাজপরিবারের কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত নথিপত্র এবং সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করা হয় না সাধারণত। কিন্তু ব্যতিক্রম হিসেবেই প্রিন্সেস লুইজের সবকিছু প্রকাশ করা হয়। প্রিন্সেস লুইজ ব্যক্তিজীবনে বিখ্যাত শিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া ও প্রিন্স আলবার্টের ষষ্ঠ সন্তান এবং চতুর্থ মেয়ে। প্রকাশিত নথিপত্র অনুসারে, মারা যাওয়ার সময় প্রিন্সেস লুইজ দুই লাখ ৩৯ হাজার ২৬০ পাউন্ড, ১৮ শিলিং এবং ছয় পেন্স রেখে যান, বর্তমানের হিসাবে যার মূল্য ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তারপরেও কেন সিগারেটের দাম বকেয়া ছিল এর উত্তর লুকিয়ে আছে রাজপরিবারের সংস্কারের মধ্যে। তার ভাই এডওয়ার্ড টু ১৯০১ সালে রাজা হন, তখন তিনি প্রথমবারের মতো রাজকীয় প্রাসাদের স্মোকিং কক্ষে সিগারেট খাওয়ার সুযোগ পান। এ কারণেই প্রিন্সেস লুইজ তৎকালীন জনপ্রিয় সিগারেট ৩০০ প্লেয়ারর্স অথবা উডবাইনস খেতেন কি না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
এ বিষয়ে প্রিন্সেস লুইসের জীবনীকার লুসিন্দা হকসলে জানান, প্রিন্সেস নিয়মিত সিগারেট খেতেন, তবে তার মা সেটি পছন্দ না করায় মায়ের কাছ থেকে সব সময় তা লুকিয়ে রাখতেন।