পাড়ার চা দোকান থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খবর নিয়ে আলাপ হচ্ছে বেশি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে নানা ধরনের স্লোগান, বক্তব্য ও স্থিরচিত্র। তেমন একটি ছবি নিয়ে ফেসবুকে লিখলেন নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বুধবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, আদালত চত্বর থেকে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তিনি সন্তানকে চুমু দিচ্ছেন। একইদিনের আরেকটি খবর হলো সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দেখতে যান প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু।
এ দুই ভিন্ন চিত্র নিয়ে ফারুকী বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে লেখেন। শুরুতে বলেন, “নসরুল হামিদ বিপু ভাই আহত গয়েশ্বর রায় দাদাকে দেখতে গিয়ে যে কথাগুলো বললেন আমরা আশা করবো এই স্পিরিটটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এই রাজনীতিই আমরা ২০১৮-তে দেখতে চাই। বিপক্ষ প্রার্থী বা সমর্থকদের মারধর বা গ্রেপ্তারের রাজনীতি না। এই দেশে দুই পক্ষকেই থাকতে হবে। কেউ কাউকে নির্মূল করতে পারব না।”
আলোচিত ছবি নিয়ে ফারুকী লেখেন, “গত কিছুদিন যাবৎ যা হচ্ছে তা দেখে একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ নিডস এমপ্যাথি। কাউকে গুম করার আগে, আঘাত করার আগে ভাবা দরকার এই আঘাত আমার ওপর আসলে কেমন লাগবে আমার। কোনো বাবাকে সন্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার আগে ভাবা দরকার, আমার ক্ষেত্রে এটা হলে কেমন লাগবে। কালকে কোর্ট প্রাঙ্গণে হাতকড়া লাগানো বাবার সন্তানকে চুমু খাওয়ার ছবিটা দেখে এক বিনিদ্র রাত কেটেছে আমার। বাবারা সন্তানদের কাছে সুপারম্যান। সেই সুপারম্যানের এই অসহায়ত্ব আমাকে পরাজিত করেছে। আমি ভাবছিলাম, ‘উই নিড অ্যামপ্যাথি’! এমনকি যে পুলিশ ভাই তাকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারও হয়তো এ রকম একটা বাচ্চা আছে। তারও অবকাশ আছে ভাবার, আহারে আমার সঙ্গে এ রকম হলে আমার ভেতরটায় কী হতো?”
সবশেষে লেখেন, “এমপ্যাথি, এমপ্যাথি ইজ হোয়াট উই নিড। এটা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে বলেছিলাম, এখনো বলি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই নানা ইস্যুতে সরব মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সম্প্রতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩ দফা ইশতেহার দেন তিনি।
ফারুকীর মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ সিনেমা ‘ডুব’। অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও পার্নো মিত্রসহ ঢাকা-কলকাতার অনেকেই। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘শনিবার বিকেল’।