logo
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
শনিবার রাতেই ভোট জালিয়াতি হয়েছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার রাতেই ভোট জালিয়াতি হয়েছে : রিজভী

সারা দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে গত শনিবার রাতেই ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। আর দিনের বেলা নির্বাচনের নামে তামাশা করছে। এ নির্বাচন সাজানো। গতকাল রবিবার বিকেলে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তৃতীয় দফা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পদদলিত করে ক্ষমতার মসনদে থাকবেন শেখ হাসিনা।  চেতনার সন্ত্রাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ভূলুণ্ঠিত করে রক্তাক্ত নির্বাচন করছে। এ ভয়ংকর পরিস্থিতির অবসান করবে জনগণ।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের আসনে ৯৫ ভাগ কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। নোয়াখালী তিন এর ১২৯টি কেন্দ্রের ১২৭টি কেন্দ্রই দখল করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। প্রার্থীর এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের ভোট বর্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, এ বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

এর আগে দুপুরে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারা দেশের প্রায় ২০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতাসীনরা দখল করেছে। ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং ধানের শীষের ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

রিজভী বলেন, এত কিছু করার পরও মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেছে। জনগণ এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন। জনগণের শক্তি নিয়ে আমরা এগোচ্ছি, জুলুম মানব না, এদের পতন হবেই। আন্দোলনের অংশ হিসেবে অংশ নেওয়া এ নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকব।

সারা দেশে ভোটের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদকে  ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তার কেন্দ্রের আশপাশে বোমা ফুটছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের আসনের সব কেন্দ্র দখল করে ফেলেছে। ভোলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় নির্বাচন উৎসবমুখর হবে, আনন্দঘন হবে সেটা ভাবার কোনো কারণ  নেই। তার প্রমাণ আজ নির্বাচনে বিএনপির দুজন নেতা হত্যা করা হয়েছে। তারপরও ভোটাররা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।