দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে পদ্মা সেতুর ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে পিলারের নকশা দুটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১১টি পিলারের নকশা জটিলতা কেটে গেলো।
৬ ও ৭ নম্বর পিলারের কাজ শুরুর পর ৩টি করে পাইল বসানো হলে কাজ থেমে যায়। এরপর মাওয়া প্রান্তে পিলারের কাজের গতি কিছুটা থেমে গিয়ে জাজিরা প্রান্তে কাজ শুরু হয়। এখন শুরুর দিকে বসানো ৩টি পাইল না সরিয়ে নতুন ৪টি ট্যাম্প পাইল স্থাপন করা হবে। স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতি অবলম্বন করে এ দু’টি পিলারের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ ট্যাম্প পাইলের দৈর্ঘ্য হবে ১০৪ মিটার।
সেতু বিভাগ জানিয়েছে, মাটির গঠনগত বৈচিত্র্য ও গভীরতার তারতম্যের কারণে পদ্মা সেতুর মাঝনদী ও মাওয়া প্রান্তের এসব পিলার নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। নকশা চূড়ান্ত হওয়া পিলারে স্ক্রিন গ্রাউটিং করে সমাধান মিলেছে। পিডিএ (পাইল ড্রাইভিং অ্যানালাইসিস) টেস্টে যেসব পাইল উত্তীর্ণ হতে পারে না সেগুলোর জন্য রয়েছে স্ক্রিন গ্রাউটিং এর ব্যবস্থা। হাতেগোনা বিশ্বের কয়েকটি সেতুতে এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি সেতুর ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ নম্বর পিলারের নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। গত অক্টোবরের শেষ দিকে চূড়ান্ত হয় ২৯, ৩০, ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের নকশা।
সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৫টি পিলার সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসের শেষে সেতুর ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। এ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে সেতুর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।