এবারের এক পর্বের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি। তাবলিগ জামাতের নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল মিটে গেছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এই তারিখ ঘোষণা করেন। এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
রাজধানীর টঙ্গীতে গত কয়েক বছর দুই পর্বে দেশের ৬৪ জেলার মানুষের জন্য ইজতেমা আয়োজিত হয়ে আসছে। এবার তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে কারণে তা স্থগিত ছিল। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে কোন্দল মেটাতে বৈঠক করেন।
এরপর বৃহস্পতিবার বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
তিনি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বুধবার বৈঠকের পর দ্বন্দ্ব মিটে গেছে। এখন আর কোনো বিরোধ নেই। ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে ইজতেমা হবে।‘
তাবলিগের দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে মাওলানা জুবায়েরুল হাসান, মাওলানা ওমর ফারুক, সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম ও খান শাহাবুদ্দিন নাসিম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এক পর্বে ইজতেমা করতে গেলে ভিড় সামাল দিতে সমস্যা হবে কি না- এই প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সামাল দেবে’।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নির্ধারিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব গত নির্বাচনের আগে স্থগিত হয়। কিন্তু তার মধ্যেই সাদপন্থীরা ডিসেম্বরের শুরুতে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দিলে দেওবন্দপন্থিরা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ দখল করে পাহারা বসায়।
১ ডিসেম্বর ভোর থেকে সাদের অনুসারী শত শত মানুষ টঙ্গীর পথে রওনা হলে পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বাঁশ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এর মধ্যে পড়ে প্রাণ যায় সত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধের, দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে দুই পক্ষের অনুসারীদের বের করে দিয়ে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।